For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts
Oneindia App Download

ঈশ্বরের প্রকৃত দূত, সকলের মা 'মাদার টেরেসা', সন্ত হয়ে পেরোলেন একবছর

সন্ত হওয়ার পর প্রায় একবছর পার করে ফেললেন মাদার টেরেসা। তিনি সকলের মা। সকলের পরিত্রাতা। তাঁকে নিয়ে বিশেষ প্রতিবেদন একনজরে।

  • |
Google Oneindia Bengali News

গতবছরের সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতে রোমের ভ্যাটিকান সিটিতে এক অভূতপূর্ব অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে 'ভারতরত্ন' মাদার টেরেসাকে পোপ ফ্রান্সিস 'সন্ত' হিসাবে ঘোষণা করেন। তিনি একলহমায় হয়ে যান ভগবানের একেবারে কাছের মানুষ।

গরিব-আর্ত, সর্বহারাদের সেবায় নিজেকে শেষদিন পর্যন্ত নিয়োজিত করেছিলেন তিনি। মাদার ছিলেন স্বয়ং ঈশ্বরের দূত। যাদের সমাজে কোনও স্থান ছিল না, তাঁদের সযত্নে নিজের কোলে আশ্রয় দিয়েছিলেন আলবেনিয়া থেকে ভারতে আসা এক সন্ন্যাসিনী। তিনি পরে হয়ে ওঠেন সকলের প্রিয় মাদার।

নিজের ছোটবেলা থেকেই তিনি সিদ্ধান্ত নেন, সন্ন্যাস নিয়ে গরিব-আর্তদের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করবেন। আর সেটা ভেবেই সুদূর আলবেনিয়া ছেড়ে সেবার টানে ভারতে এসে পৌঁছন তিনি। এই শহরকে ভালোবেসে এখানেই আমৃত্যু থেকে গিয়ে সারা বিশ্বের কাছে কলকাতাকে উপরে তুলে ধরেছিলেন তিনি।

মাদারের জন্ম

মাদারের জন্ম

১৯১০ সালে আলবেনিয়ার স্কোপজে শহরে ২৬ অগাস্ট জন্মগ্রহণ করেন মাদার টেরেসা। বর্তমানে এটি ম্যাসেডোনিয়া রিপাবলিকের অন্তর্গত। সেইসময়ে এটি ছিল ওটোম্যান সাম্রাজ্যের অধীন। জন্মের সময়ে তাঁর নাম ছিল অ্যাগনেস। মাত্র ৮ বছর বয়সে তিনি তাঁর বাবাকে হারান।

ছোটবেলাতেই সন্ন্যাসিনী হওয়ার সিদ্ধান্ত

ছোটবেলাতেই সন্ন্যাসিনী হওয়ার সিদ্ধান্ত

ছোট্ট অ্যাগনেস অল্পবয়স থেকেই সন্ন্যাসিনীদের জীবন-কাহিনি শুনে বড় হচ্ছিল। বাংলায় কীভাবে গরিব-গুর্বোদের সেবা করা হয়, আর্তদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের জীবনযুদ্ধে উদ্বুদ্ধ করা হয় তা তিনি জেনেছিলেন। ফলে মাত্র ১২ বছর বয়সেই তিনি সিদ্ধান্ত নেন সন্ন্যাসিনী হয়েই আর্তের সেবা করবেন তিনি।

 ১৮ বছর বয়সে সংসার ত্যাগ

১৮ বছর বয়সে সংসার ত্যাগ

এরপরে ১৯২৮ সালে মাত্র ১৮ বছর বয়সে সংসার ত্যাগ করেন তিনি। যোগ দেন আয়ারল্যান্ডের লরেটো সন্ন্যাসিনীদের সংস্থায়। সেখানে ইংরেজির মাধ্যমে ভারতের শিশু-আর্তদের শিক্ষিত করা হতো। অ্যাগনেস ইংরেজি জানতেন না। তাই ইংরেজি শিখতেই তিনি সেখানে ভর্তি হন।

ভারতযাত্রা

ভারতযাত্রা

এরপরে ১৯২৯ সালে ভারতের মাটিতে পা রাখেন মাদার। এবং দার্জিলিংয়ে কাজ শুরু করেন। সেখানেই তিনি বাংলা শেখেন এবং সেন্ট টেরেসা কনভেন্ট স্কুলে পড়াতে শুরু করেন।

স্কুল শিক্ষিকা মাদার

স্কুল শিক্ষিকা মাদার

১৯৩১ সালে সন্ন্যাসিনী হিসাবে নিজের প্রথম পদক্ষেপ করেন। এরপরে এসে তিনি কলকাতার এন্টালিতে লরেটো কনভেন্ট স্কুলে পড়ান এবং ১৯৪৪ সালে তিনি তার প্রধানশিক্ষিকা নির্বাচিত হন।

গরিব-অসহায়ের সেবা

গরিব-অসহায়ের সেবা

পড়ানোর ফাঁকেই সিস্টার অ্যাগনেস আর্তদের সেবা চালিয়ে যেতে থাকেন। কলকাতা ও আশপাশের দরিদ্র, অনাথ শিশুদের তিনি কাছে টেনে নেন। ১৯৪৩ সালে কলকাতায় দুর্ভিক্ষের সময়ে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। এরপরে ১৯৪৬ সালেও হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গায় শহর কলকাতা ক্ষতবিক্ষত হয়।

সিস্টার টেরেসা থেকে মাদার

সিস্টার টেরেসা থেকে মাদার

এরপরই ১৯৪৬ সালের ১০ সেপ্টেম্বর দার্জিলিং থেকে কলকাতা ফেরার পথে নিজের অন্তরের ডাক শুনতে পান টেরেসা। তখনই ঠিক করেন, একেবারে সব ছেড়ে গরিব আর্তদের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করবেন। আর এভাবেই সিস্টার টেরেসা হয়ে ওঠেন 'মাদার টেরেসা'।

গর্বিত ভারতবাসী

গর্বিত ভারতবাসী

১৯৪৮ সালে লরেটো স্কুলের কনভেন্ট বেশভূষা ছেড়ে নীল পাড় সাদা শাড়িতে নিজেকে বদলে ফেলেন মাদার। ভারতের নাগরিকত্বও গ্রহণ করেন তিনি।

মিশনারিজ অব চ্যারিটি স্থাপন

মিশনারিজ অব চ্যারিটি স্থাপন

১৯৫০ সালের ৭ অক্টোবর ভ্যাটিকানের অনুমতি নিয়ে মিশনারিজ অব চ্যারিটি স্থাপন করেন মাদার। ক্ষুধার্ত, নগ্ন, গৃহহীন, আর্ত, নিপীড়িত, সর্বহারা, সমাজবর্জিত মানুষের পাশে তিনি দাঁড়ান পরম মমতাময় স্নেহ নিয়ে। কলকাতায় মাত্র ১৩ জন সিস্টার নিয়ে যে মিশনারিজ পথ চলা শুরু করেছিল, আজ সেটিই বিশ্বের ১৩৩টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।

মহাপ্রয়াণ মাদারের

মহাপ্রয়াণ মাদারের

১৯৯৭ সালের ১৩ মার্চ মিশনারিজ অব চ্যারিটির প্রধানের পদ থেকে স্বেচ্ছ্বায় সরে দাঁড়ান মাদার। অসুস্থতা তাঁকে ততদিনে একেবারে গ্রাস করে ফেলেছিল। বহুদিন রোগভোগের পরে মাদার দেহত্যাগ করেন ১৯৯৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর।

অনন্য সব সম্মান

অনন্য সব সম্মান

১৯৪৮ সালে ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার পরে ১৯৬২ সালে পদ্মশ্রী এবং র‌্যামন ম্যাগসেসে পুরস্কার সম্মান পান তিনি। ১৯৭৯ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার পান এবং ১৯৮০ সালে ভারত সরকার দেশের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান 'ভারতরত্ন' সম্মানে ভূষিত করে। শেষপর্যন্ত গতবছরে পোপ ফ্রান্সিস মাদারকে সন্ত উপাধিতে ভূষিত করেন।

English summary
Mother Teresa life and work; a short biography in Bengali
চটজলদি খবরের আপডেট পান
Enable
x
Notification Settings X
Time Settings
Done
Clear Notification X
Do you want to clear all the notifications from your inbox?
Settings X