ভারতের যুবসমাজের কর্মসংস্থানের অবস্থা কেমন? জেনে নিন চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট
ভারতের অর্থনীতি বাকী দুনিয়ার চেয়ে দ্বিগুণ গতিতে দৌড়চ্ছে। তবে কর্মসংস্থান তৈরির ক্ষেত্রে রথের চাকা কিন্তু উল্টো দিকে ঘুরছে।
ভারতের অর্থনীতি বাকী দুনিয়ার চেয়ে দ্বিগুণ গতিতে দৌড়চ্ছে। তবে কর্মসংস্থান তৈরির ক্ষেত্রে রথের চাকা কিন্তু উল্টো দিকে ঘুরছে। 'অর্গানাইজেশন অব ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট' (ওইসিডি) এর রিপোর্ট বলছে বর্তমান আর্থিক বছরে ভারতের অর্থনীতি ৭ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।[ইনস্যুরেন্স জালিয়াতিতে একেবারে উপরে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ]
তবে একইসঙ্গে বলা হয়েছে যে ভারতে কর্মসংস্থানের হার কমেছে এবং তা কর্মক্ষম জনসংখ্যার হারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এগোচ্ছে না। তবে এটা শুধু ভারতের সমস্যা নয়, সারা পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশই এই একই সমস্যায় ভুগছে।[পৃথিবীর এই দেশগুলিতে কাজের সুযোগ অফুরন্ত, তবে অভাব কর্মীর!]
ভারতের ৩০ শতাংশ যুব শক্তি যাদের বয়স ১৫-২৯ বছরের মধ্যে, তাদের কর্মসংস্থানের কোনও ব্যবস্থা নেই। এমনকী শিক্ষা ও কারুগরি শিক্ষায়ও তারা পিছিয়ে রয়েছে। অর্থনৈতিক সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে, এক্ষেত্রে চিনের চেয়ে ভারত তিনগুণ পিছিয়ে রয়েছে।[২ হাজার কর্মী ছাঁটাই করে রোবট নিয়োগ করছে এই সংস্থা!]
তবে ভারতের এত খারাপ অবস্থা কেন? এর পিছনে নির্দিষ্ট কিছু কারণ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ভারতে শ্রম আইন বেশ জটিল ও কঠোর। অন্যান্য উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশের তুলনায় কর্মসংস্থান সুরক্ষা আইনের অনেক বাধানিষেধ রয়েছে।[যৌন দাসত্বের কারবারে ভারতের ভরকেন্দ্র হয়ে উঠেছে পশ্চিমবঙ্গ]
আর সেজন্যই ভারতে কর্পোরেট সংস্থাগুলি অস্থায়ী শ্রমিকের উপরে বেশি নির্ভর করে। কড়া আইনের ফাঁদে যাতে না পড়তে হয় সেজন্য এই ধরনের কাজ ভারতীয় কর্পোরেটরা করে থাকে। এর পাশাপাশি শ্রমিকদের ইনসেন্টিভ দেওয়ার ক্ষেত্রে কর্পোরেট আয়কর আইনে কিছু দ্বিপাক্ষিক মতামত রয়েছে যা গোটা বিষয়টিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
বর্তমান সরকার সমস্যার সমাধানে চেষ্টা করে চলেছে। বর্তমান শ্রম আইনে কিছু রদবদল এনে ও কাজে আরও স্বচ্ছ্বতা এনে কর্মসংস্থান তৈরির চেষ্টা হচ্ছে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিকেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে হবে বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।
আর একটি বিষয় যেটি খুব গুরুত্বপূর্ণ তা হল, এদেশে কর্মসংস্থান সম্পর্কিত ডেটা খুব কম রয়েছে। এই সংক্রান্ত আরও তথ্য ডেটা ব্যাঙ্ক আকারে জমা করলে ভবিষ্যতের জন্য উপকার হবে। এক্ষেত্রে নীতি নির্ধারণেও সরকারের সুবিধা হবে। আর এভাবেই ভারতে কর্মসংস্থানের রেকর্ড আগের চেয়ে ভালো হতে পারে।