নিষিদ্ধ হতে পারে জাঙ্ক ফুডের বিজ্ঞাপন, মার্চের শেষে নির্দেশিকা জারির সম্ভাবনা
জাঙ্ক ফুডের (junk food) সঙ্গে স্থূলতার (obesity) সংযোগ আগেই পেয়েছেন গবেষকরা। জাঙ্ক ফুডে শক্তিযুক্ত সামগ্রি, ফ্যাটের উপস্থিতি, চিনি কিংবা রায়াসনিক উপস্থিতি এবং সোডিয়াম থাকে। যেখানে খুব কম পরিমাণে মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট
জাঙ্ক ফুডের (junk food) সঙ্গে স্থূলতার (obesity) সংযোগ আগেই পেয়েছেন গবেষকরা। জাঙ্ক ফুডে শক্তিযুক্ত সামগ্রি, ফ্যাটের উপস্থিতি, চিনি কিংবা রায়াসনিক উপস্থিতি এবং সোডিয়াম থাকে। যেখানে খুব কম পরিমাণে মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস এবং ফাইবার থাকে। যে কারণে শিশুরা স্থূলতায় আক্রান্ত হচ্ছে। এব্যাপারে ইতিমধ্যে রিপোর্ট জমা পড়েছে। সরকার খুব তাড়াতাড়ি এই ধরনের খাবারের বিজ্ঞাপনের (advertisement) ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে চলেছে বলে সূত্রের খবর।
সরকারি পর্যায়ে আলোচনা
শিশুদের মধ্যে বাড়ছে স্থূলতা। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন উপভোক্তা মন্ত্রক। তাদের ভাষায় জাঙ্ক ফুড স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। শিশুরা যেহেতু বিজ্ঞাপনের দ্বারা বেশি আকৃষ্ট হয়, সেই কারণে বিজ্ঞাপনের ওপরে লাগাম টানার কথা চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, মন্ত্রকের এক শীর্ষ আধিকারিক জানিয়েছে নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রকের সঙ্গে হওয়া বৈঠকে এব্যাপারে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এব্যাপারে ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভের রিপোর্টের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শিশুদের মধ্যে ক্রমবর্ধমান স্থূলতার উল্লেখ করা হয়েছে।
এফএসএসএআই-এর নতুন বিধি
ওই আধিকারিক সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়াও (FSSAI) এব্যাপারে বিধি নিয়ে আসছে। সেখানে নির্দিষ্ট পণ্যের প্যাকেটে পুষ্টির উপাদার সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্যের উল্লেখ থাকতে হবে।
মার্চের শেষে নিষেধাজ্ঞা জারির সম্ভাবনা
ওই আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, জাঙ্ক ফুডের বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত প্রভাবের কারণে, এই ধরনের খাবারের বিজ্ঞাপনে গাইডলাইন বেধে দেওয়া হতে পারে। যা মার্চের শেষে প্রকাশ করা হতে পারে।
বিভিন্ন ধরনের জাঙ্ক ফুড ও তার প্রভাব
গবেষকরা বিভিন্ন ধরনের জাঙ্ক ফুড এবং শরীরের ওপরে তার প্রভাব নিয়ে গবেষণা করেছেন। ফিস সস এবং সয়া সসের মধ্যে থাকে মনোসোডিয়াম গ্লুটামেট। যা দেহের ওজন বাড়িয়ে দেয়, স্থূলতা তৈরি করে। ডায়াবেটিস এবং এন্ডোক্রিন ডিসঅর্ডারও তৈরি করে। নরম পানীয়ের মধ্যে থাকে বেশি পরিমাণে ফ্রাক্টোজ। যা শরীরের ওজন বাড়ায় এবং ডায়াবেটিসের জন্য দায়ী। এছাড়াও উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, কিডনির রোগে উৎসাহ দেয়। মার্জারিন, প্যাস্ট্রি, আইসক্রিমে থাকে ট্রান্স ফ্যাট। যা থেকে হৃগরোগ এবং এমন কী ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে। বান-বাগেলে থাকে অ্যাজোডাই কার্বোনামাইড। যা থেকে অ্যাজমা এবং কার্সিনোজেনিসিটি হতে পারে। বার্গার-স্যান্ডইউচ র্যাপার, ব্রেড র্যাপারে থাকে পলিফ্লুরোঅ্যালকালাইন সাবসটেন্স। যা থেকে ব্রেস্ট ক্যানসার হতে পারে। দেহের ইমিউন সিস্টেমেও তা প্রভাব ফেলতে পারে।
Covid 19: বিদেশের ভ্যাকসিনে হচ্ছে লিউকেমিয়া! রিপোর্ট প্রকাশের পরেই চাঞ্চল্য