ওরাল সেক্সে ক্যান্সার প্রবণতা বাড়ছে পুরুষদের মধ্যে, বিদেশের সমীক্ষায় তথ্য এল সামনে
যে সব পুরুষ ৫ বা তার বেশি সঙ্গীর সঙ্গে ওরাল সেক্স করে থাকেন তাঁদের এইচপিভি যুক্ত মাথা ও ঘাড়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি। সাম্প্রতিক সমীক্ষায় উঠে এসেছে এমনই তথ্য।
যে সব পুরুষ ৫ বা তার বেশি সঙ্গীর সঙ্গে ওরাল সেক্স করে থাকেন তাঁদের এইচপিভি যুক্ত মাথা ও ঘাড়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি। সাম্প্রতিক সমীক্ষায় উঠে এসেছে এমনই তথ্য।
যেসব পুরুষ এবিষয়ে সজাগ নন, তাঁদের জন্য সাবধান বাণী দিয়েছেন জন্স হফকিন্স ব্লুমবার্গ স্কুল অফ পাবলিক হেলথের গবেষকরা। । মহিলা থেকে পুরুষদের মধ্যে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি বলে জানিয়েছেন তিনি। যদি কেই ধূমপায়ী হন, তাহলে এই প্রবণতা আরও বেশি।
সমীক্ষার ফল অনুযায়ী পুরুষদের সঙ্গে মহিলাদেরও এইচপিভি ভ্যাকসিন নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে পুরুষদের ভ্যাকসিন নেওয়ার ক্ষেত্রে জোর দেওয়া হয়েছে সমীক্ষায়।
বিভিন্ন রকমের একশোরও বেশি এইচপিভি-র মধ্যে শুধুমাত্র কয়েকটি ক্যান্সারের জন্য দায়ী। ইতিমধ্যে এইচপিভি ১৬ এবং ১৮ ক্যান্সারের কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।
যে
সব
পুরুষ
ও
মহিলা
ওরাল
সেক্স
করেছেন
তাদের
ওপর
পরীক্ষা
চালিয়ে
দেখা
গিয়েছে
মহিলাদের
মধ্যে
ওরাল
ইনফেকশনের
মাধ্যমে
এইচপিভির
কারণে
ক্যান্সারের
প্রবণতা
কম।
অন্যদিকে,
যে
সব
পুরুষ
ধূমপান
করেন
না,
তাদের
মধ্যেও
এইচপিভির
কারণে
ক্যান্সারের
প্রবণতা
কম।
২০
থেকে
৬৯
বছর
বয়সী
১৩,০৮৯
জনের
ওপরে
ন্যাশনাল
হেলথ
অ্যান্ড
নিউট্রিশন
একজামিনেশন
সার্ভের
অঙ্গ
হিসেবে
সমীক্ষা
চালানো
হয়েছিল।
যে সব পুরুষের একজন ওরাল সেক্স পার্টনার রয়েছে কিংবা একেবারেই নেই, তাদের মধ্যে এইচপিভির জন্য ক্যান্সারের প্রবণতা সব থেকে কম। ধূমপায়ীদের মধ্যে যা ১.৮ শতাংশ এবং যারা ধূমপায়ী নন তাদের মধ্যে ০.৫ শতাংশ।
অন্যদিকে, মহিলারা যাদের দুই বা তার বেশি ওরাল সেক্স পার্টনার রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে ক্যান্সারের প্রবণতা ১.৫ শতাংশ।
এইচপিভির পুরো নাম হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস। যত ধরনের যৌন রোগ সাধারণত হয়ে থাকে, তার মধ্যে এই সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এইচপিভি খুব একটা ক্ষতিকারক হয় না।
তবে এইচপিভি আক্রান্ত হওয়ার পর চিকিৎসা শুরু করতে দেরি হলে, তা ক্যান্সারে রূপান্তরিত হয় বলেই সমীক্ষায় প্রকাশ পেয়েছে। তবে এর পরবর্তী পর্যায়ের গবেষণাও শুরু হয়েছে।