(ছবি) মার্কিন নির্বাচনে উপ-রাষ্ট্রপতি পদে লড়াই করছেন কারা? জেনে নিন
মার্কিন নির্বাচনে উপ রাষ্ট্রপ্রধান পদে কে বসবে তা নিয়ে আলোচনা তো দুরস্ত নামগুলিই সকলে জানেন না। এই প্রতিবেদনে একনজরে পরিচিত হোন সেই নামগুলির সঙ্গেই।
মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে সারা বিশ্বের আগ্রহ এক কেন্দ্র বিন্দুতে এসে জমা হয়েছে। কে বসবেন বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর দেশের রাষ্ট্রপতির চেয়ারে তা জানার জন্য অধীর হয়ে রয়েছে গোটা বিশ্ব। তবে কে হবেন উপ-রাষ্ট্রপতি, বা কারা বিভিন্ন দলের হয়ে উপ-রাষ্ট্রপ্রধানের পদে লড়াই করছেন তা খুব বেশি মানুষ জানেন না বা খোঁজ রাখেন না।
মার্কিন নির্বাচনে ট্রাম্প-হিলারি ছাড়া আর কে কে লড়ছেন?
হিলারিই মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন জিতছেন, আভাস পেতেই চাঙ্গা শেয়ার মার্কেট
ঠিক যেমন প্রথম মার্কিন রাষ্ট্রপতি হিসাবে জর্জ ওয়াশিংটনকেই সকলে মনে রেখেছেন। তবে একইসঙ্গে উপ রাষ্ট্রপতির চেয়ারে বসা জন অ্যাডমসের নাম কতিপয় লোকে জানেন। এই অ্যাডামসই অবশ্য ওয়াশিংটনের পড়ে দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসাবে মার্কিন রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন।
মার্কিন নির্বাচন নিয়ে এই মজার অথচ গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলি আপনি নিশ্চিত জানেন না
জর্জ ওয়াশিংটন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি হিসাবে ১৭৮৮-১৭৯৬ পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি ছিলেন। পরে ১৭৯৬ সালে জন অ্যাডামস এই পদে আসেন। এখনও পর্যন্ত মার্কিন মুলুকের উপ রাষ্ট্রপতির পদ সামলে আসা জো বিডেনকে কটা লোক চেনে বলুন তো? তিনি কিন্তু ২০০৯ সাল থেকে এই পদে রয়েছেন।
ঠিক সেভাবেই এবারের নির্বাচনেও বেশিরভাগ মানুষই ডেমোক্র্যাট রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রিপাবলিকান পদপ্রার্থী হিলারি ক্লিন্টনকে নিয়ে আলোচনা করে চলেছেন। উপ রাষ্ট্রপ্রধান পদে কে বসবে তা নিয়ে আলোচনা তো দুরস্ত নামগুলিই সকলে জানেন না। এই প্রতিবেদনে একনজরে পরিচিত হোন সেই নামগুলির সঙ্গেই।
টিম কেইন, ডেমোক্র্যাট প্রার্থী
মার্কিন নির্বাচনের দ্বিতীয় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদ অর্থাত উপ-রাষ্ট্রপতি পদে এবছর লড়ছেন টিম কেইন। তিনি ভার্জিনিয়ার একজন সেনেটরও বটে। ২০১২ সালে কেইন সেনেটে নির্বাচিত হন আর এবছর তিনি হিলারির সেকেন্ড ম্যান হিসাবে লড়াইয়ে নেমেছেন। এর আগে বহু গুরুত্বপূর্ণ পদ সামলেছেন কেইন। তিনি ২০০৬-১০ ভার্জিনিয়ার মেয়র ছিলেন। এছাড়া ২০০৯-১১ ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কমিটির চেয়ারম্যানও ছিলেন।
মাইক পেন্স, রিপাবলিকান পার্টি
এবারের নির্বাচনে মাইক পেন্স হলেন রিপাবলিকান রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সতীর্থ ও উপ-রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী। তিনি বর্তমানে ইন্ডিয়ানার ৫০তম গভর্নরও বটে। ২০১৩ সাল থেকে তিনি এই দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। দলের মধ্যে ট্রাম্পের প্রার্থীপদ নিয়ে বিতর্ক থাকলেও পেন্স যে নিজের পদে যোগ্য প্রার্থী তা নিয়ে দ্বিমত নেই।
উইলিয়াম ওয়েল্ড, লিবার্টেরিয়ান পার্টি
গ্যারি জনসন যেখানে লিবার্টেরিয়ানদের হয়ে রাষ্ট্রপতি পদে দাঁড়িয়েছেন তেমনি অভিজ্ঞ উইলিয়াম ওয়েল্ড উপ-রাষ্ট্রপ্রধানের পদের প্রার্থী। ১৯৯১-১৯৯৭ পর্যন্ত এই অভিজ্ঞ রাজনীতিক ম্যাসাচুসেটসের গভর্নরের দায়িত্ব সামলেছেন। রোনাল্ড রেগনের রাষ্ট্রপতিত্বকালে ১৯৮৬-৮৮ সাল পর্যন্ত ওয়েল্ড যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিমিনাল ডিভিশনের অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাটর্নি জেনারেল ছিলেন।
আজামু বারাকা, গ্রিন পার্টি
এবছর গ্রিন পার্টির হয়ে উপ-রাষ্ট্রপতি পদে দাঁড়িয়েছেন মানবাধিকার কর্মী হিসাবে পরিচিত আজামু বারাকা। তিনি এর আগে মার্কিন সেনাবাহিনীতে কাজ করেছেন। সেখান থেকে অবসর নেওয়ার পরে বারাকা সমাজসেবার কাজে নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন। গ্রিন পার্টির হয়ে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী জিল স্টেইনের সঙ্গী এবার তিনিই।
স্কট ব্র্যাডলি, কনস্টিটিউশন পার্টি
উতাহর বাসিন্দা পেশায় ব্যবসায়ী স্কট ব্র্যাডলি এবছর কনস্টিটিউশন পার্টির টিকিটে উপ-রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁর সঙ্গী দলের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী ড্যারেল ক্যাসেল। ব্র্যাডলি কনস্টিটিউশন ল'-এ ডক্টরেট করেছেন।
মাইন্ডি ফিন, ইন্ডিপেন্ডেন্ট পার্টি
এবছর মার্কিন নির্বাচনের একমাত্র মহিলা প্রার্থী যিনি উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বাকী দুই মহিলা, ডেমোক্র্যাট দলের হিলারি ক্লিন্টন ও গ্রিন পার্টির জিল স্টেইন রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী হিসাবে লড়ছেন। মাইন্ডি একজন স্যোশাল মিডিয়া বিশেষজ্ঞ। তিনি পলিটিক্যাল ম্যানেজমেন্টে স্নাতকোত্তর পাশ করেছেন।
এরা ছাড়াও আরও কয়েকটি দলের হয়ে রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেম কেউ কেউ। তবে তাঁরা বিশেষ ফারাক গড়বেন বলে কোনও বিশেষজ্ঞই মনে করছেন না।