সাম্প্রতিককালে ইউরোপ, আমেরিকার কোন জায়গা জঙ্গি হামলার রক্তাক্ত হয়েছে, দেখে নিন ফটো ফিচারে
ফের ইউরোপে নাশকতার ঘটনা ঘটল। এবার লক্ষ্য ইংল্যান্ড। ম্যাঞ্চেস্টারে মার্কিন পপ তারকা আরিয়ানা গ্রান্ডের কনসার্টের মাঝেই বিস্ফোরণের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ২২জন, আহত অন্তত ৫০জন সাধারণ মানুষ।
ফের ইউরোপে নাশকতার ঘটনা ঘটল। এবার লক্ষ্য ইংল্যান্ড। ম্যাঞ্চেস্টারে মার্কিন পপ তারকা আরিয়ানা গ্রান্ডের কনসার্টের মাঝেই বিস্ফোরণের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ২২জন, আহত অন্তত ৫০জন সাধারণ মানুষ। এই ঘটনায় এখনও কোনও জঙ্গি সংগঠন হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে যেভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরু করে ফ্রান্স, ইংল্যান্ড, জার্মানি- ইউরোপের বিভিন্ন দেশ সন্ত্রাস হামলার শিকার হয়ে চলেছে তা যথেষ্ট উদ্বেগের। গত কয়েকবছরে কোথায় কোথায় ব্যাপক সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনা ঘটেছে তা দেখে নেওয়া যাক একনজরে।
১৩ নভেম্বর, ২০১৫
প্যারিসে হামলা চালায় ইসলামিক স্টেট জঙ্গিরা। এই ঘটনায় ৭ জঙ্গি সহ মোট ১৩৭ জন নিহত হন। ঘটনায় মোট আহতের সংখ্যা ছিল ৩৬৮ জন।
২২ মার্চ, ২০১৬
বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে বোমা হামলা চালানো হয়। এই হামলার পিছনেও ছিল আইএস জঙ্গিরাই। ঘটনায় ৩৫ জন নিহত ও ৩৪০ জন আহত হন বলে খবর পাওয়া যায়। ৩ জঙ্গিকে খতম করা হয়।
১৪ জুলাই, ২০১৬
ফ্রান্সের নিসে জনবহুল রাস্তায় ট্রাক নিয়ে ঢুকে পড়ে ৮৭ জনকে মেরে ফেলা হয়। ঘটনায় ৪৩৪জন আহত হন। এই ঘটনাতেও দায় স্বীকার করে আইএসআইএস জঙ্গি সংগঠন। নিহত হয় জঙ্গি ট্রাকচালকও।
১৯ ডিসেম্বর, ২০১৬
ফের জার্মানিতে হামলা চালানো হয়। বার্লিনের ক্রিসমাস মার্কেটে এই হামলায় ১২জন নিহত হন। আহত হন মোট ৫৬ জন। এই ঘটনার পিছনেও ছিল ইসলামিক স্টেট জঙ্গিরা।
১৯ মে, ২০১৭
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কের টাইমস স্কোয়ারে গাড়ি চালিয়ে ১ জনকে পিষে দিয়ে ২০ জনকে আহত করে এক ব্যক্তি। অভিযুক্তের নাম আলিসা এলসম্যান। ইচ্ছে করে ফুটপাথের মধ্যে গাড়ি চালিয়ে এতজনকে আহত করা হয়।
২২ মে, ২০১৭
ম্যাঞ্চেস্টার এরিয়ায় একটি পপ শো কনসার্ট চলাকালীন বিস্ফোরণ ঘটেছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনায় আহত হয়েছেন ৫৯ জন। এখনও কোনও জঙ্গি সংগঠন এই হামলার দায় স্বীকার করেনি।