পরিবেশ বান্ধব কলকাতা পিছনে ফেলল দেশের বাকি মেট্রো শহরগুলিকে
সবচেয়ে কম কার্বন নিঃসরণ করে মধ্যপ্রদেশের ভোপাল শহর। কলকাতা প্রথমদিকে থাকতে না পারলেও মেট্রো শহরগুলির মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে।
দেশের আটটি মেট্রোপলিটন শহরও ৬টি মেগা সিটির মধ্যে সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। কোন শহর কতটা দূষণ ছড়ায়, কার্বন নিঃসরণ করে তার উপরে। তালিকায় সবচেয়ে কম কার্বন নিঃসরণ করে শীর্ষে রয়েছে মধ্যপ্রদেশের ভোপাল শহর। কলকাতা প্রথমদিকে থাকতে না পারলেও মেট্রো শহরগুলির মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে।
সিএসই-র রিপোর্ট
রিপোর্টটির শীর্ষক 'দ্য আর্বান কমিউট অ্যান্ড হাউ ইট কন্ট্রিবিউটস টু পলিউশন অ্যান্ড এনার্জি'। এটি তৈরি করেছে কেন্দ্রের সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট। কলকাতায় শুক্রবার এটি প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বায়ু দূষণকে সারা দেশের সমস্যা বলে ব্যাখ্যা করেছেন সংস্থার ডিরেক্ট-রিসার্চ অনুমিতা রায় চৌধুরী।
একদশকের মোটর বিস্ফোরণ
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ভারতে মোটর গাড়ির বিবর্তন বিস্ফোরক মাত্রায় হয়েছে। ১৯৫১-২০০৮ সালের মধ্যে ভারতে ষাট দশকে ১০৫ মিলিয়ন নথিভুক্ত হয়েছিল। তবে ২০০৯-২০১৫ সালের মধ্যে সমসংখ্যক গাড়ির রেজিস্ট্রেশন হয়েছে। যার অর্থ, গত একদশকে দূষণ এক অন্য মাত্রায় চলে গিয়েছে।
কার্বন নিঃসরণে জোর
যে ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে তাতে কোন শহর কত পরিমাণ কার্বন নিঃসরণ করছে ও পরিবেশ উত্তপ্ত করে তুলছে তার উপরে নির্ভর করা হয়েছে। একদিকে রয়েছে কার্বন নিঃসরণ ও অন্যদিকে রয়েছে কোন শহর কতটা শক্তি খরচ করছে তার হিসাব।
১৪ শহরের সমীক্ষা
মেগা শহরের মধ্যে রয়েছে দিল্লি, মুম্বই, কলকাতা, চেন্নাই. বেঙ্গালুরু ও হায়দরাবাদ। আর অন্য মেট্রোপলিটন শহরের মধ্যে রয়েছে ভোপাল, লখনৌ, জয়পুর চণ্ডীগড় আহমেদাবাদ, পুনে, কোচি ও বিজয়ওয়ারার মতো শহর।
ফার্স্ট বয় ভোপাল
সবচেয়ে কম কার্বন নিঃসরণ করে তালিকায় সকলের উপরে রয়েছে ভোপাল। তারপরে যথাক্রমে বিজয়ওয়ারা, চণ্ডীগড়, লখনৌ, কোচি, জয়পুর, কলকাতা, আহমেদাবাদ, পুনে, মুম্বই, হায়দরাবাদ, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, দিল্লি।
মেট্রো শহরের মধ্যে এগিয়ে কলকাতা
মেগা শহরের মধ্যে সবচেয়ে উপরে রয়েছে কলকাতা। তারপরে যথাক্রমে মুম্বই, হায়দরাবাদ, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই ও সবশেষে রাজধানী দিল্লি। আর এই কারণেই বোধহয় দেশের দূষণ মানচিত্রে দিল্লি সবসময়ই তলানিতে থাকছে।
কেন এগিয়ে কলকাতা
কলকাতা অন্য মেট্রো শহরের তুলনায় এগিয়ে কারণ জনবিস্ফোরণ ও মোটরগাড়ির রমরমা বাড়লেও এই শহর গণ পরিবহণ ব্যবস্থাকে সচল রাখলে সচেষ্ট হয়েছে। শহরের নকশা, চওড়া রাস্তা, পার্কিংয়ের সুব্যবস্থা এই সমস্যাকে অনেকটা কমিয়ে এনেছে। ফলে হংকং বা জাপানের শহরের সঙ্গে কলকাতার তুলনা টানা হয়েছে।