নৌ-সেনা দিবসে ভারতীয় নৌ-সেনা নিয়ে এমন তথ্য আপনাকে গর্বিত করবে
এদিন নৌসেনার ৪৫তম উদযাপন দিবস। একনজরে দেখে নেওয়া যাক জলপথে ভারতের পরিত্রাতা বাহিনী সম্পর্কে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
ভারতীয় নৌসেনা সারা পৃথিবীতে শক্তির বিচারে সপ্তম বৃহত্তম। দেশের উপকূল, সমুদ্রের রণকৌশল সাজানো সহ একাধিক সুরক্ষার কাজ নৌসেনা করে থাকে। এছাড়া প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় ভারতীয় নৌসেনা ঝাঁপিয়ে পড়ে। ঠিক যেমনটা কেরল-তামিলনাড়ুতে ঘূর্ণিঝড় ওখির আঘাতের পর উদ্ধারে নেমেছে নৌসেনা। এদিন নৌসেনার ৪৫তম উদযাপন দিবস। একনজরে দেখে নেওয়া যাক জলপথে ভারতের পরিত্রাতা বাহিনী সম্পর্কে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
রয়্যাল ইন্ডিয়ান নেভি
ভারতীয় নৌসেনাকে বলা হয় 'দ্য রয়্যাল ইন্ডিয়ান নেভি'। ভারত শাসন করা ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি এর প্রতিষ্ঠা করে। স্বাধীনতার পরে ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারি এর নাম পাল্টানো হয়।
অপারেশন ট্রাইডেন্ট
ঘটনা হল যেদিন প্রতিষ্ঠা হয়েছে, সেইদিনে ভারতীয় নৌসেনা দিবস পালিত হয় না। ১৯৭১ সালে ভারত-পাক যুদ্ধের সময় পাকিস্তানের করাচি নাভাল হেডকোয়ার্টারে অপারেশন ট্রাইডেন্ট চালানো হয়। তারপর থেকে এই দিনটিতেই নৌসেনা দিবস পালন করা হয়।
পাকিস্তানে হামলা
১৯৭১ সালে ভারতীয় নৌসেনা কেরিয়ার এয়ারক্রাফ্ট বম্বিং মিশন ও শত্রুপক্ষের ঘাঁটিতে ক্রুজ মিসাইল হামলা চালায়। অ্যান্টি শিপ ক্রুজ মিসাইল ব্যবহার করে পাকিস্তানি তেলের ট্যাঙ্কারগুলি অভিনব পদ্ধতিতে ভারত উড়িয়ে দেয়।
গর্বের নৌসেনা
২০১৬ সালের হিসাব অনুযায়ী সারা পৃথিবীতে শক্তি ও বহরে ভারতীয় নৌসেনা সপ্তম বৃহত্তম। ৫৮ হাজার সেনা ও অফিসার রয়েছে এই বাহিনীতে। ২টি এয়ারক্রাফ্ট কেরিয়ার, ১টি ট্রান্সপোর্ট ডক, ১৯টি ল্যান্ডিং শিপ-ট্যাঙ্ক, ১০টি ডেসট্রয়ার, ১৫টি ফ্রিগেট, একটি নিউক্লিয়ার-পাওয়ার অ্যাটাক সাবমেরিন, ১৪টি পাওয়ার অ্যাটাক সাবমেরিন, ২৫টি করভেট, ৪৭টি প্যাট্রোল ভেসেল, ৪টি ফ্রিট ট্যাঙ্কার, ১টি মিসাইল সাবমেরিন রয়েছেন।
আইএনএস বিক্রান্ত
আইএনএস বিরাট ছিল ভারতীয় নৌসেনার প্রথম এয়ারক্র্যাফ্ট কেরিয়ার এবং পৃথিবীর সবচেয়ে পুরনো এয়ারক্র্যাফ্ট কেরিয়ার। নৌসেনার দ্বিতীয় এয়ারক্র্যাফ্ট কেরিয়ার হল আইএনএস বিক্রমাদিত্য। তবে এবার দেশে তৈরি এয়ারক্র্যাফ্ট কেরিয়ার আইএনএস বিক্রান্ত নৌসেনায় যোগ দিয়েছে।
আইএনএস অরিহন্ত
আইএনএস অরিহন্ত একটি ৬ হাজার টনের এয়ারক্রাফ্ট সাবমেরিন এবং এটি ভারতীয় নৌসেনার নিউক্লিয়ার পাওয়ারর্ড ব্যালিস্টিক মিসাইল যা নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যদেশ তৈরি করেছে।
মার্কোস বাহিনী
মার্কোস বা মেরিন কম্যান্ডোরা 'মগরমাছ' নামে পরিচিত। ভারতীয় নৌসেনার বিশেষ বাহিনী এটি। ২০০৮ সালে মুম্বই জঙ্গি হামলার সময় এই বাহিনী পণবন্দিদের ছাড়াতে মদত করে।
অ্যাক্রোব্যাটিক দল
সারা পৃথিবীতে সকল দেশের নৌসেনার মধ্যে মাত্র তিনটি অ্যাক্রোব্যাটিক দল রয়েছে। যার মধ্যে একটি ভারতীয় নৌসেনায় রয়েছে। ভারতীয় সেনায় এই দলটির নাম সাগর পবন।
সফল মেরু অভিযান
উত্তর ও দক্ষিণ মেরুতে সফল অভিযান সেরে ফিরেছে ভারতীয় নৌসেনা। ২০০৮ সালের ৯ এপ্রিল দশজনের ভারতীয় নৌসেনার দল ইতিহাস তৈরি করে উত্তর মেরুতে পৌঁছয়।
এভারেস্টের চূড়ায়
ভারতীয় নৌসেনার সদস্যরাই সেনাবাহিনীর মধ্যে প্রথম ২০০৪ সালের ১৮ মে মাউন্ট এভারেস্ট অভিযান করে। সেই দলে ছিলেন সার্জন লেফটেন্যান্ট ভাইকিং ভানু, একজন নেভি চিকিৎসক, একজন রাকেশ কুমার, বিকাশ কুমার সহ অন্যান্যরা। এই দলটিই এভারেস্ট চূড়ায় পৌঁছয়।