ভারত-জাপ সম্পর্কে নতুন দিগন্তের সূচনা, এই ছয় বিষয়েই আরও মজবুত হচ্ছে সম্পর্ক
এদিন আহমেদাবাদে পৌঁছনোর পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান শিনজো আবেকে। এই নিয়ে মোট ১০বার মোদী-আবে একে অপরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন।
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে অন্য মাত্রা দিতে ভারত সফরে এসেছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। এদিন আহমেদাবাদে পৌঁছনোর পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান শিনজো আবেকে। এই নিয়ে মোট ১০বার মোদী-আবে একে অপরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন। জাপানি প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাতে গুজরাতবাসী হিসাবে চেষ্টার কোনও খামতি রাখেননি নরেন্দ্র মোদী।
গণ অভ্যর্থনা
দুই বছর আগে আহমেদাবাদে চিনা রাষ্ট্রপতিকে স্বাগত জানিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার সেখানে আসছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আহমেদাবাদে বিমানবন্দর থেকে ৮ কিলোমিটার রাস্তা রোড শো হচ্ছে। সবরমতী আশ্রম ঘুরে দেখে মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করবেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। রাস্তার দুপাশে মঞ্চ বেঁধে নানা সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান পারফর্ম করে দেখানো হবে জাপানি প্রধানমন্ত্রীকে।
বুলেট ট্রেন
ভারতের স্বপ্নের হাইস্পিড রেল প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন শিনজো আবে ও নরেন্দ্র মোদী। জাপানের থেকে ঋণ নিয়ে ৫০৮ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথের প্রকল্প শুরু হচ্ছে। মুম্বই-আহমেদাবাদের মধ্যে এই রেলযোগাযোগ ২০২৩ সালের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা। এর ফলে ৭ ঘণ্টার রাস্তা মাত্র ২ ঘণ্টাতেই পৌঁছে যাওয়া যাবে বলে দাবি করা হচ্ছে।
উন্নয়নমূলক সহযোগিতার হাত বাড়ানো
ভারতের মেক ইন ইন্ডিয়া, স্কিল ইন্ডিয়া, ক্লিন গঙ্গা মিশনের মতো প্রকল্পগুলিতে বিনিয়োগের ব্যাপারে জাপান উৎসাহ প্রকাশ করেছে। জাপানি প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ভারতও উন্নয়নের পথে অগ্রসর হতে চাইছে। পাশাপাশি উত্তর-পূর্ব ভারতে বিনিয়োগের বিষয়েও জাপান আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
আন্তর্জাতিক সহযোগিতা
পরিকাঠামো উন্নয়নকে মাথায় রেখে এশিয়া ও আফ্রিকান দেশগুলিতে ভারত-জাপান দুটি দেশই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে বিনিয়োগ করতে এগিয়ে আসছে। দক্ষিণ এশিয়ায় চিনা আধিপত্য বাড়তে না দেওয়া জাপান ও ভারত দুই দেশেরই লক্ষ্য। ফলে বিভিন্ন কূটনৈতিক বিষয়কে মাথায় রেখেই জাপান-ভারত একে অপরকে সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছে।
কৌশলগত ও সেনা সহযোগিতা
জাপান সবসময়ই ভারতের অন্যতম কৌশলগত সহযোগী হিসাবে নিজেদের এগিয়ে রেখেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সঙ্গে নিয়ে জাপান-ভারত সেনা মহড়ায়ও শামিল হয়েছে। প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে নিয়েও দুই দেশের ভাবনার আদানপ্রদান হয়েছে।
গুজরাতের লাভ
জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সি ও গুজরাত মেরিটাইম বোর্ড যৌথভাবে উন্নয়নের কাজে হাত মিলিয়েছে। শিপইয়ার্ড বানানোর পাশাপাশি দুটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কও বানান হবে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়া ১৫টি জাপানি কোম্পানি আলাদা আলাদা ভাবে গুজরাতে বিনিয়োগ করবে বলে জানা গিয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল মোরেসকো, টয়োডা গোসেই, টোপরে, মুরাকামি।