বর্ধমান বিস্ফোরণের অভিযুক্তরা গা ঢাকা দিয়েছে দক্ষিণ ভারতে!
এনআইএ আধিকারিকদের মতে এই 'অপারেশন'-এ ১৮ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এত সময় দেওয়া হয়েছে, এত সহজে এই পরিকল্পনা ভেস্তে যেতে দেবে না তারা। এই দেশে বিভিন্ন জায়গায় তাদের বিকল্প মডিউল রয়েছে। মামলাটা একটু ঠান্ডা হলেই এই সমস্ত মডিউলকে চাঙ্গা করে তোলা হবে।
জেএমবি-র সদস্যরা দক্ষিণ ভারতে পালিয়েছে?
অনুমান করা হচ্ছে জেএমবি-র অধিকাংশ সদস্যরাই দক্ষিণ ভারতে পারি দিয়েছে। প্রায় ৬০০০ বাংলাদেশী রয়েছে যারা অসম ও পশ্চিমবঙ্গ থেকে ভারতীয় পরিচয় দিয়ে দক্ষিণ ভারতে চাষবাসের কাজে এবং নির্মাণ কর্মী হিসাবে যোগ দিয়েছে। বর্ধমান কাণ্ডের অভিযুক্তদের মধ্যে অধিকাংশই এই দলে যোগ দিয়েছে।
এনআইএ-র মতে এদের প্রত্যেকের কাছে বৈধ নথিপত্র রয়েছে। যা তদন্তের ক্ষেত্রে আরও সমস্যা তৈরি করছে। এরা এখন বেশ কিছুদিন গা ঢাকা দিয়ে থাকবে। মামলা একটু ঠাণ্ডা হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে এরা। ২০০৬ সালে বাংলাদেশ থেকে উৎখাত হওয়ার পরে সঠিক সময়ের জন্য দীর্ঘ সময় তারা অপেক্ষা করে ছিল এরা। এই সময়টাও এখন তাদের ধৈর্যের পরীক্ষার সময় বলেই মনে করছে তদন্তকারী আধিকারিকরা।
নীতিগতভাবে মিলে গিয়েছে জেএমবি এবং আল-উম্মাহ
আল উম্মাহ হচ্ছে জেএমবি-র নীতিগত জোড়িদার। দুই গোষ্ঠীই নীতিগত দিক থেকে মিলে গিয়েছে। এবং সিমির হাত ধরে বহু বছর ধরে এই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে যোগ রয়েছে। নিশ্চিতভাবেই আল-উম্মাহ জেএমবিকে সবরকম মদত দেবে।
আল-উম্মাহ-র সঙ্গে জেএমবি-র যোগ মানে কেরালায় আশ্রয় পেতে পারে জেএমবি সদস্যরা। কেরালার পাশাপাশি কর্ণাটক ও তামিলনাড়ুতেও মিলতে পারে আশ্রয়। এনআইএ এখন চেষ্টা করবে স্থানীয় পুলিশের মদতে বহিরাগতদের চিহ্নিত করতে, মূলত যারা পশ্চিমবঙ্গ ও অসম থেকে এসেছে।