সাক্ষরতার হারে সারা দেশে বাংলা ২০ তম স্থানে! অন্য রাজ্যের কী হাল, জানুন একনজরে
আজ বিশ্ব সাক্ষরতা দিবস। ১৯৬৬ সালের ২৬ অক্টোবর ইউনেস্কো এই দিনটিকে বিশ্ব সাক্ষরতার দিন হিসাবে ঘোষণা করেছিল।
আজ আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস। ১৯৬৬ সালের ২৬ অক্টোবর ইউনেস্কো এই দিনটিকে বিশ্ব সাক্ষরতার দিন হিসাবে ঘোষণা করেছিল। সমগ্র মানবসমাজে শিক্ষা সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ভারত দ্রুতগতিতে এগিয়ে গেলেও এদেশে এখনও অন্তত ২৮ কোটি মানুষ নিরক্ষর যা সারা পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি। ২০২২ সালের মধ্যে সারা দেশে শিক্ষার হার একশো শতাংশ নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে। তবে কতটা সাফল্য আসবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই গিয়েছে। একনজরে দেখে নেওয়া যাক কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিসংখ্যান।
সবচেয়ে এগিয়ে কেরল
কেরল শিক্ষার হারে সবসময়ই অন্য রাজ্যের চেয়ে এগিয়ে থেকেছে। কেরলে ২০১১ সালের সুমারি অনুযায়ী সাক্ষরতার হার ৯৩.৯১ শতাংশ। যার মধ্যে পুরুষদের শিক্ষার হার ৯৬.০২ শতাংশ ও মহিলাদের শিক্ষার হার ৯১.৯৮ শতাংশ। ২০০১ সালে তা ছিল সামগ্রিকভাবে ৯০.৮৬ শতাংশ।
প্রথম পাঁচে কোন কোন রাজ্য
কেরল ছাড়া বাকী চারটি রাজ্য হল লাক্ষাদ্বীপ, মিজোরাম, ত্রিপুরা ও গোয়া। লাক্ষাদ্বীপের সাক্ষরতার হার ৯২.২৮ শতাংশ। মিজোরামে ৯১.৫৮ শতাংশ, ত্রিপুরায় ৮৭.৭৫ শতাংশ ও গোয়ায় ৮৭.৪০ শতাংশ।
ভারতের সার্বিক চিত্র
সারা দেশের সার্বিক অবস্থা মিলিয়ে ভারতের সাক্ষরতার হার ৭৪.০৪ শতাংশ। তার মধ্যে পুরুষদের সাক্ষরতার হার ৮২.১৪ শতাংশ ও মহিলাদের সাক্ষরতার হার ৬৫.৪৬ শতাংশ। ২০০১ সালে তা ছিল ৬৪.৮৩।
২০তম স্থানে বাংলা
সুমারি অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গ সারা দেশে সাক্ষরতার হারে ২০তম স্থানে রয়েছে। বাংলায় সাক্ষরতার হার ৭৭.০৮ শতাংশ। তার মধ্যে পুরুষদের সাক্ষরতার হার ৮২.৬৭ শতাংশ ও মহিলাদের হার ৭১.১৬ শতাংশ। ২০০১ সালের গণনায় সামগ্রিকভাবে বাংলায় সাক্ষরতার হার ছিল ৬৪.৮৩ শতাংশ।
সবচেয়ে পিছিয়ে বিহার
পড়শি রাজ্য বিহার সারা দেশে সাক্ষরতার হারে সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে। নীতীশ কুমারের রাজ্যে শিক্ষার হার ৬৩.৮২ শতাংশ। পুরুষদের শিক্ষার হার ৭৩.৩৯ শতাংশ ও নারীর শিক্ষার হার ৫৩.৩৩ শতাংশ। তবে ২০০১ সালের গণনায় বিহার ছিল মাত্র ৪৭ শতাংশ। সেখান থেকে অনেকটাই এগিয়ে এসেছে বিহার। তারপরই একেবারে নিচে রয়েছে তেলাঙ্গানা (৬৬.৫ শতাংশ), অরুণাচলপ্রদেশ (৬৬.৯৫ শতাংশ), রাজস্থান (৬৭.০৬ শতাংশ), অন্ধ্রপ্রদেশ (৬৭.৪০ শতাংশ)।