ক্যান্সার চিকিৎসায় দিশা দেখানোয় ভারতীয় বংশোদ্ভুত গবেষককে ১.১ মিলিয়ন ডলারের পুরস্কার
ক্যানসার গবেষণায় উল্লেখযোগ্য সাফল্যের জন্য ভারতীয় বংশোদ্ভুত এক আমেরিকানকে ১.১ মিলিয়ন ডলারের পুরস্কার দেওয়া হল। গবেষকের নাম নবীন বরদারাজন।
ক্যানসার গবেষণায় উল্লেখযোগ্য সাফল্যের জন্য ভারতীয় বংশোদ্ভুত এক আমেরিকানকে ১.১ মিলিয়ন ডলারের পুরস্কার দেওয়া হল। গবেষকের নাম নবীন বরদারাজন। একইসঙ্গে হিউস্টোন বিশ্ববিদ্যালয়ের অপর গবেষণাকারী সাংহুক চাংকেও পুরস্কৃত করেছে টেক্সাসের ক্যান্সার প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট।
কেমিকেল অ্যান্ড বায়ো-মলিকিউলার ইঞ্জিনিয়ারিং-এর অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর নবীন বরদারাজনকে ১,১৭৩,৪২০ আমেরিকান ডলার পুরস্কার দেওয়া হয়েছে টি-সেল ইমিউনোথেরাপির কার্যকারিতার গবেষণার জন্য। তাঁরই সহ-গবেষক বায়োলজি এবং বায়ো কেমিস্ট্রির অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর সাংহুক চাংকে ৮১১,৬১৭ আমেরিকান ডলার পুরস্কার দেওয়া হয়েছে সার্ভাইকাল ক্যানসার গবেষণায় সাফল্যের জন্য। গবেষক বরদারাজন তাঁর পুরস্কারের অর্থ ক্যান্সার রোগীদের চিকিৎসার জন্য ব্যয় করবেন বলে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
নবীন বরদারাজন জানিয়েছেন, সবাইকেই বুঝতে হবে প্রত্যেক টি সেল এবং তাদের ক্ষমতা সম্পর্কে। একবার যদি জানতে পারা যায়, উল্লেখযোগ্য সাড়া পেতে কী দরকার, তাহলে সেলের যৌগিক গঠনকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। যা ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কাজ করবে।
বরদারাজন জানিয়েছেন, উন্নত টি-সেল কী ভাবে তৈরি হয়, তা নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে পরবর্তী প্রজন্মের জেনেটিকালি মডিফায়েড সেলের গঠন সম্পর্কে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে, মহিলাদের ক্যান্সারে মৃত্যুর তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে সারভাইকাল ক্যান্সার। গত দশকে এই রোগের চিকিৎসায় খুব সামান্যই এগনো গিয়েছে। গবেষক সাংহুক চাং তাঁর পুরস্কারের অর্থ গবেষণায় ব্যয় করবেন বলে জানিয়েছেন। এতদিন পর্যন্ত সকলেরই জানা ছিল সারভাইকাল ক্যান্সারের জন্য দায়ী হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস। কিন্তু সাংহুক চাং তাঁর নতুন গবেষণায় দেখিয়েছেন, অন্য বেশ কিছু ফ্যাক্টরও সারভাইকাল ক্যান্সারের জন্য দায়ী।