For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts
Oneindia App Download

২ টাকায় জীবন শুরু করে ১০০ কোটির মালিক, কল্পনা সরোজরাই আসলে স্বাধীনতার কারিগর

গল্প মনে হতে পারে শুরু থেকে শেষ। তবে এটা কোনও গল্প নয়। এক দলিত, সমাজের পিছিয়ে পড়া আদিবাসী মহিলার জীবনের লড়াইয়ের কাহিনি।

  • |
Google Oneindia Bengali News

গল্প মনে হতে পারে শুরু থেকে শেষ। তবে এটা কোনও গল্প নয়। এক দলিত, সমাজের পিছিয়ে পড়া আদিবাসী মহিলার জীবনের লড়াইয়ের কাহিনি। যিনি জীবনে শত বাধা সত্ত্বেও উঠে দাঁড়িয়ে বুক চিতিয়ে লড়াই করেছেন। শুধু নিজের জন্য নয়, সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের জীবনের মানোন্নয়নে এগিয়ে এসেছেন। কিশোরী বয়সে মাত্র ২ টাকা রোজে দিন শুরু করে এখন তিনি দেশের অন্যতম সেরা মহিলা উদ্যোগপতি। তিনি কল্পনা সরোজ। যাঁর কোনও ম্যানেজমেন্ট ডিগ্রি না থাকা সত্ত্বেও দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে তাঁর ভাবনাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয়।

২ টাকায় জীবন শুরু করে ১০০ কোটির মালিক, কল্পনা সরোজরাই আসলে স্বাধীনতার কারিগর

মহারাষ্ট্রের আকোলা জেলায় একটি ছোট গ্রাম রূপরখেড়ায় ১৯৬১ সালে এক দলিত পরিবারে জন্ম কল্পনার। বাবা ছিলেন পুলিশ কনস্টেবল। পেতেন ৩০০ টাকা মাইনে। তাই দিয়ে পরিবারে প্রায় দশ জনের পেট চলত। ১২ বছর বয়স হতে না হতেই কল্পনার বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের পর কল্পনা চলে আসেন মুম্বই। তবে শ্বশুরবাড়িতে ভালো পরিবেশ ও খাওয়া পাওয়া তো দুরস্থান, কল্পনার উপরে রীতিমতো অত্যাচার করা হতো।

এই অবস্থা ছয় মাস চলার পরে তাঁর বাবা মেয়েকে নিয়ে গ্রামে ফিরে আসেন। তবে কোনও মেয়ে শ্বশুর বাড়ি থেকে ফিরে এলে সেইসময়ে গ্রামের সমাজ তাঁকে হীন দৃষ্টিতে দেখত। কল্পনার সঙ্গেও সেটাই হয়েছিল। কল্পনার মনে হয়েছিল, জীবন যেন তাঁর থমকে গিয়েছে। আগে যাওয়ার রাস্তা হারিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। একদিন দুঃখে বিষ কিনে পিসির বাড়ি চলে যান কল্পনা। ১৬ বছর বয়সে নিজেকে শেষ করে দেওয়ার চেষ্টা করেন।

যদিও পিসি দেখতে পেয়ে কল্পনাকে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে ভর্তি করেন। কল্পনা বেঁচে যান। সেদিন থেকে কল্পনার মনে হয়, নতুন জীবন পেয়েছেন তিনি। এই জীবনকে ভালো কাজে লাগিয়ে বড় হওয়ার চেষ্টা করবেন তিনি। সেলাইয়ের কাজ জানায়, পরিবারের মদতে ফের মুম্বই চলে এসে একটি মিলে কাজ করতে শুরু করেন। দিনে ২ টাকা মজুরি পেতেন। তাই দিয়ে শুরু।

এভাবেই কিছুদিন চলার পরে বেশ কিছু সেলাই মেশিন কিনে নেন কল্পনা। ব্যবসা করবেন তা ঠিক করেই ফেলেছিলেন। এভাবেই নিজে কিছু করার চেষ্টা শুরু করে দিয়েছিলেন। প্রথমে ঋণ নিয়ে আসবাবপত্রের ব্যবসা শুরু করেন। পরে বিউটি পার্লারের ব্যবসা করেন। পরে রিয়েল এস্টেটের ব্যবসাও করে অনেক টাকা লাভ করেন। এভাবেই চলছিল।

কামানি টিউবস কোম্পানির কর্মীরা ২০০০ সালে কল্পনা সরোজের কাছে গিয়ে সংস্থা চালানোর কথা বলেন। কারণ তার আগের কয়েকবছরে সংস্থার ব্যবসা পুরো ধসে গিয়েছিল। মালিককে সরিয়ে কর্মীদের মালিকানা দেওয়া হয়েছিল। তবে তারা কোম্পানি চালাতে পারেননি। ব্যাঙ্ক থেকে অনেক ঋণ নিয়ে ফেলেন। ফলে কল্পনা বিষয়টি শুনেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করে ঋণ মকুবের আবেদন করেন। ও ব্যাঙ্কের সব টাকা ফেরত দেবেন বলে আশ্বাস দেন।

[আরও পড়ুন:এই বীর পুলিশ অফিসার মুখোশ খুলেছিলেন 'বাওয়ারিয়া' গ্যাং ডাকাতদের, জানুন সেই রুদ্ধশ্বাস কাহিনি][আরও পড়ুন:এই বীর পুলিশ অফিসার মুখোশ খুলেছিলেন 'বাওয়ারিয়া' গ্যাং ডাকাতদের, জানুন সেই রুদ্ধশ্বাস কাহিনি]

আদালত কল্পনাকে ৭ বছরের সময় দেয়। তবে কল্পনা ১ বছরে সকলের টাকা ফিরিয়ে দেন। তখন তিনি মালিকানা পেয়ে যান কামানি টিউবসের। এভাবেই ২ টাকা দিয়ে শুরু করে ১০০ কোটি টাকার বেশি সংস্থার মালিক হয়ে গিয়েছেন কম্পনা। ২০১৩ সালে ভারত সরকার কল্পনাকে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করেছে। ভারতীয় মহিলা ব্যাঙ্কের বোর্ড অব ডিরেক্টর্সে তিনি রয়েছেন। ভারতের স্বাধীনতা পরবর্তী আসল আর্থির স্বাধীনতা তৈরির আসল কারিগর কল্পনার মতো মহিলারাই।

[আরও পড়ুন:এই গুজরাতি মুসলিমের কাছে চির কৃতজ্ঞ ছিলেন নেতাজি ,স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে দেশপ্রেমের কাহিনি][আরও পড়ুন:এই গুজরাতি মুসলিমের কাছে চির কৃতজ্ঞ ছিলেন নেতাজি ,স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে দেশপ্রেমের কাহিনি]

English summary
Independence Day Special : Kalpana Saroj, an Indian entrepreneur who has changed the world with her desire to do well for poor
চটজলদি খবরের আপডেট পান
Enable
x
Notification Settings X
Time Settings
Done
Clear Notification X
Do you want to clear all the notifications from your inbox?
Settings X