ব্রিটিশ রাজ বনাম বর্তমান ভারত, আয়ের বৈষম্য আমরা কোথায় দাঁড়িয়ে, দেখে নিন
ন্যাশনাল স্যাম্পেল সার্ভে রিপোর্ট বলছে, ভারতে আয়ের বৈষম্য বাড়ছে। বিশেষ করে বেতন বৈষম্য সবচেয়ে বেশি প্রকট হয়ে উঠেছে।
ভারতে আয়ের বৈষম্য অনেক বড় মাত্রায় থাকতে পারে, তবে দেশের সবচেয়ে বিত্তশালী ব্যক্তিদের আয় ব্রিটিশ আমলের নিরিখে বর্তমান সময়ে যতটা বেড়েছে তা তাক লাগিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। অর্থনীতিবিদ টমাস পিকেটি ও লুকাস চ্যানেলের গবেষণা অন্তত তেমনই বলছে।
১৯৩০ সালে ভারতের জনসংখ্যার ১ শতাংশ রোজগেরে ব্যক্তিরা দেশের ২১ শতাংশ আয়ের মালিক ছিলেন। তবে ১৯৮০-র দশকে ভারতে আয়ের বৈষম্যের হেরফেরে তা কমে যায় অনেকটাই। তবে ফের তা ২২ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে বর্তমান সময়ে।
ঘটনাচক্রে সত্তর ও আশির দশকে ভারতে আয়ের ফারাক বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জিডিপিরও ইন্দ্রপতন হয়েছিল। সঙ্গে কমেছিল মাথাপিছু আয়ের হার। বর্তমান সময়ে ভারতের শ্রীবৃদ্ধির পর তা সমাজের সব স্তরে পৌঁছচ্ছে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। কারণ এখনও উচ্চবিত্তদের সঙ্গে সমাজের নিচুতলার মানুষদের ফারাক আকাশ-পাতালের।
অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, ভারতের মতো বিরাট দেশে সঠিকভাবে আয়ের বণ্টন চিহ্নিতকরণ এক দীর্ঘমেয়াদি ও ব্যাপক প্রক্রিয়া। এদেশে আয়করের নথি সর্বসমক্ষে আনা হয় না। ফলে সঠিকভাবে নির্ধারণ করা সহজ নয়।
তবে ২০০৪-০৫ সালের ন্যাশনাল স্যাম্পেল সার্ভে রিপোর্ট বলছে, ভারতে আয়ের বৈষম্য বাড়ছে। বিশেষ করে বেতন বৈষম্য সবচেয়ে বেশি প্রকট হয়ে উঠেছে। অর্থনীতিবিদদের বক্তব্য, ভারতের অর্থনীতি দ্রুতগতিতে এগোনোর ফলে দারিদ্র দূরীকরণ অনেকটা সম্ভব হলেও তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে আয়ের বৈষম্য।