নওয়াজ শরিফ পাকিস্তানি সেনাকে বিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছেন, বেনজির তোপ ইমরান খানের
ইমরান কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে। বলেন শরিফ শুধু তাঁর দেশের নিরাপত্তার কাছে সবচেয়ে বড় বিপদ তো বটেই, পাশাপাশি পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীকেও তিনি বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ায় মেতেছেন।
পাকিস্তানি রাজনীতিতে সেখানকার সরকারপক্ষ সেনাকে কোণঠাসা করেছে, এমনটা বিশেষ শোনা যায় না। কিনতু এবার সে-দেশের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সভাপতি ইমরান খান সেরকম অভিযোগই তুললেন।
সোমবার (অক্টোবর ২৪) পাকিস্তানের প্রাক্তন এই ক্রিকেটার কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে। বলেন শরিফ শুধু তাঁর দেশের নিরাপত্তার কাছে সবচেয়ে বড় বিপদ তো বটেই, পাশাপাশি পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীকেও তিনি বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার খেলায় মেতেছেন, জানিয়েছে সে-দেশের সংবাদমাধ্যম।
ইমরান বলেন পাকিস্তানি সেনা সে-সেদেশের জঙ্গি সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে জার্ব-ই-আজব অভিযানের পাশাপাশি পাঞ্জাব প্রদেশের কুখ্যাত ছোটু গ্যাং-এর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিয়ে তাদের গুরুত্ব বুঝিয়েছে।
শরিফকে লক্ষ্য করে ইমরান বলেন এবার পাকিস্তানি সেনাকে প্রয়োজন পড়বে "মোটু গ্যাং"-এর বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার।
আগামী ২ নভেম্বর পিটিআই-এর ইসলামাবাদে প্রতিবাদ কর্মসূচির এক সপ্তাহ আগে ইমরান খানের এই আক্রমণ খুব তাৎপর্যপূর্ণ মনে করা হচ্ছে। ঐদিন পিটিআই এবং শাসক দল পিএমএল-এন-এর পেশীশক্তির প্রদর্শনে পাকিস্তানের রাজধানী অচল হয়ে পড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।
এর আগে রবিবার (২৩ অক্টোবর) চৌষট্টি বছর বয়সী ইমরান বলেন যে ইসলামাবাদে তাঁর দলের প্রতিবাদ ধর্ণার সময়ে যদি কোনও "তৃতীয় শক্তি" ঢুকে পড়ে, তবে তার জন্য দায়ী থাকবে প্রধানমন্ত্রী শরিফই।
পাকিস্তানের একমাত্র বিশ্বকাপ-জয়ী অধিনায়ক ইমরান এও অভিযোগ করে বলেন যে পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ভারত-ইজরায়েলি লবির থেকেও সাহায্য চেয়েছেন নিজের দুর্নীতি ঢাকার জন্য। এখানে উল্লেখ্য সম্প্রতি 'পানামা পেপার্স' কাণ্ডে শরিফের পরিবারের কয়েকজনের নাম জড়িয়ে পড়াতে ইমরান খান সেই ইস্যুটিকে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে হাতিয়ার করেন। নভেম্বর মাসে হতে চলা ধর্নাটিও পিটিআই এই উদ্দেশ্য নিয়েই করবে।
যতক্ষণ না শরিফ পানামা পেপার্স কাণ্ডে তাঁর পরিবারের বিদেশে গচ্ছিত রাখা ধনের নৈতিক দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিচ্ছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত তাঁরা তাঁর সরকারকে কাজ করতে দেবে না।
নিয়ন্ত্রণরেখা লঙ্ঘনের ব্যাপারেও ইমরান খান একহাত নেন শরিফকে। বলেন, যখনই দেখা যায় প্রধানমন্ত্রী চাপে রয়েছেন, তখনই নিয়ন্ত্রণরেখায় শুরু হয় গোলাগুলি।