মাংসের রসনাতেই তাদের বিশ্বজোড়া খ্যাতি, সেই কেএফসিতেই মাংসের হাহাকার
ব্রিটেনে একশোর বেশি রেস্টুরেন্ট বন্ধ করে দিতে বাধ্য হল কেএফসি। মুরগির মাংসের অভাব দেখা দেওয়াতেই রেস্টুরেন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
ব্রিটেনে একশোর বেশি রেস্টুরেন্ট বন্ধ করে দিতে বাধ্য হল কেএফসি। মুরগির মাংসের অভাব দেখা দেওয়াতেই রেস্টুরেন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। কেএফসি জানিয়েছে, সরবরাহকারী সংস্থার কিছু সমস্যার জেরেই এই অসুবিধা।
মুরগির মাংসের জন্য বিখ্যাত কেএফসি। আর কেএফসিতেই কিনা মাংসের অভাব। যার জেরে ব্রিটেনে বন্ধ একশোর বেশি রেষ্টুরেন্ট। বেশ কিছু দিন ধরেই গ্রাহকরা সমস্যায় পড়েছেন বলে স্বীকার করে নিয়েছে কেএফসি কর্তৃপক্ষ। রেষ্টুরেন্টে গিয়েও গ্রাহকরা খাবার না পেয়ে হতাশ হওয়ার ঘটনায় তারা ক্ষমাপ্রার্থী বলে জানিয়েছে কেএফসি। বন্ধ করা রেস্টুরেন্ট আবার খোলা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
কেএফসি ওয়েবসাইটে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েলস, নর্থদার্ন আয়ারল্যান্ডে থাকা ৯০০ শাখার মধ্যে প্রায় ৩০০ টি শাখা সোমবার খোলা ছিল। বেশি কিছু রেষ্টুরেন্টে রাখা ছিল নির্দিষ্ট কিছু মেনু। সেগুলি আবার সামান্য কিছু সময়ের জন্য খুলে রাখা হয়েছিল। তবে সবকিট রেষ্টুরেন্ট পুরোপুরি কবে খুলবে, সে বিষয়টি অজানাই রয়ে গিয়েছে।
সরবরাহকারী সংস্থা ডিএইচএল জানিয়েছে, পরিচালনাগত কিছু অসুবিধার কারণে সরবরাহে অসুবিধা তৈরি হয়েছে।
ইউনাইটেড কিংডম-এ ফাস্ট ফুড চেনে রিভোলিউশন আনতে মাস কয়েক আগেই ডিএইচএলকে সঙ্গী করেছে কেএফসি। এরপরেই এই ঘটনা। সংস্থার অক্টোবরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল, কেএফসি-র গুদাম এবং সরবরাহের কাজটি দেখবে এই ডিএইচএল। একইসঙ্গে খাবারের গুণমান উন্নত করা, নতুন পদ আনার দায়িত্বও দেওয়া হয়েছিল ডিএইচএলকে।
এই পরিস্থিতিতে কেএফসির অনেক গ্রাহকই ভিড় জমাচ্ছেন প্রতিদ্বন্দ্বী সংস্থা ম্যাক ডোনাল্ডসে। কেএফসি তাদের গ্রাহকদের আশ্বস্ত করে জানিয়েছে, কাজ চলছে, শিগগিরই সমস্যা মিটে যাবে।