(ছবি) ভারত থেকে কীভাবে যুবকদের নিযুক্ত করছে আইএসআইএস, জানেন?
গত ২ বছরে 'মহারাষ্ট্র অ্যান্টি টেরোরিজম স্কোয়াড' -এর প্রচেষ্টায় উগ্রপন্থার রাস্তা থেকে সরিয়ে আনা গিয়েছে ৬০ জন যুবককে। তাদের জবানবন্দী থেকেই উঠে এসেছে এদেশে আইএসআইএসের জাল ছড়ানোর বৃত্তান্ত।
এদেশের মাটিতে অনেকদিন আগেই নিজের থাবা বসিয়েছে জঙ্গি সংগঠন আইএসআইএস । নিজের জালের মধ্যে ক্রমাগত বিঁধে চলেছে ভারতের বহু যুবককে। কিন্তু এই ক'টা দিনে কীভাবে একের পর এক কমবয়সীদের মধ্যে ক্রমাগত নাশকতাবোধ তারা জাগিয়ে তুলছে তাইই উঠে এলো কয়েকজন ধৃত জঙ্গির জবানবন্দী থেকে।['মায়ের রান্নাঘরে কীভাবে বানাবে বোমা'- শেখাচ্ছে IS টেক্সট বই]
গত ২ বছরে 'মহারাষ্ট্র অ্যান্টি টেরোরিজম স্কোয়াড' -এর প্রচেষ্টায় উগ্রপন্থার রাস্তা থেকে সরিয়ে আনা গিয়েছে ৬০ জন যুবককে। যাদের মধ্যে ২০ জন গ্রেফতার হয় মুম্বই থেকে। তাদের জবানবন্দী থেকেই উঠে এসেছে এদেশে আইএসআইএসের জাল ছড়ানোর বৃত্তান্ত।['A ফর AK47, B ফর Bomb' আইএস জঙ্গিদের বইয়ের সহজপাঠ কেমন, জেনে নিন]
সোস্যাল মিডিয়াকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার
ভারতের মাটিতে সংগঠনে সদস্য নিযুক্তির জন্য অনলাইন মাধ্যমকে কাজে লাগায় জঙ্গি সংগঠন আইএসআইএস। এজন্য তাদের অনলাইন বিষয়ক একটি বিশেষ দল রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন জায়গা থেকে কাজ চালায় এই দল।[জঙ্গিরা কত মাস মাইনে পায়? মৃত জঙ্গির পরিবার কত ক্ষতিপূরণ পায়? চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট গোয়েন্দাদের]
কাদের বাছা হয় জঙ্গি হিসাবে?
আইএসআইএস -এর অনলাইন দলের সদস্যরা কড়া নজর রাখে বিশ্বের নানা কট্টরবাদী ইসলামধর্মীয় যুবকদের ওপর। আর তা থেকেই ধিরে ধিরে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে শুরু হয় , নিয়োগের কাজ। তাদের ফেসবুকে আসতে থাকে ধর্মের নামে বহু ব্যক্তিগত বার্তা।
সাধারণ মানুষ থেকে জঙ্গি হওয়ায় প্রক্রিয়া
সদস্যদের অনলাইনের মাধ্যমে বেছে নেওয়ার পর। তাদের মনে ধিরে ধিরে উগ্রপন্থার বীজ বপনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। ধর্মের নামে উদ্বুদ্ধ করা হয় তাদের।
যুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি
একবার যুবককে উগ্রবাদে বিশ্বাসী করে তোলার পর , তাকে পরবর্তী পর্যায়ের জন্য মানসিকভাবে তৈরি করা হয়। তাকে প্রস্তুত করা হয় যুদ্ধের জন্য।
আনুগত্যের পাঠ
একবার জঙ্গি শিবিরের প্রতি সংশ্লিষ্ট যুবকের আনুগত্য তৈরি হয়ে গেলে তারপর তাকে দিয়ে জঙ্গি শিবিরের এক শপথ বাক্য পাঠ করানো হয়। একে 'বানিয়াহ' বলা হয়। এই শপথ পাঠ অনেক সময় অনলাইনের মাধ্যমেও পাঠ করানো হয়ে থাকে।
ফেরার রাস্তা বন্ধ
শপথ পাঠের পর নবনিযুক্ত জঙ্গিদের স্পষ্ট ভাষায় বলা হয় এই পন্থা থেকে আর বেরোনোর রাস্তা নেই। বেরোলে প্রাণনাশের মতো হুমকিও দেওয়া হয় তাদের। এজন্য তারা 'বানিয়াহ' -এর ভিডিওএ দেখিয়েও ব্ল্যাকমেল করে সদস্যদের।
এরপর পাঠানো হয় সিরিয়া
এরপর তাদের বলা হয় যে , তাদের পাঠানো হবে সিরিয়ায়। এটিকে তারা দার-আল-ইসলামের যাত্রা বলে বর্ণনা করে।'দার-আল-ইসলামের' অর্থ 'ইসলামের স্থান'। সেখানে শপথ গিয়ে শপথ পাঠ করার নির্দেশ দেওয়া হয় নতুন জঙ্গিদের। যাতে তারা কোনওভাবে ধর্মের ভয় পেয়ে, সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে না পারে।