(ছবি) সুকমা: মাও হামলার আড়ালে রয়েছে এই সমস্ত চাঞ্চল্যকর তথ্য
সুকমার মাও হামলায় একের পর এক তথ্যকে সাজালে ঘটনাক্রম সম্পর্কে ধারণা স্পষ্ট হয়। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক,এই ভয়াবহ ঘটনার নেপথ্যের কিছু অজানা দিক।
ছত্তিশগড়ের সুকমায়, মাওবাদীদের হামলা সম্পর্কে সঠিক সময়ে সঠিক তথ্য সিআরপিএফের কাছে এসে পৌঁছোয়নি। ২৬ন জন জওয়ানের মৃত্যুর নেপথ্যে মূলত এই কারণকেই প্রাথমিকভাবে দায়ি করা হচ্ছে।
সুকমায় এই সিআরপিএফ জওয়ানদের ওপর এই হামলার নেপথ্যে উঠে আসছে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। একের পর এক তথ্যকে সাজালে ঘটনাক্রম সম্পর্কে ধারণা স্পষ্ট হয়। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, এই ভয়াবহ ঘটনার নেপথ্যের কিছু অজানা দিক।
খুন হয় গুপ্তচর
সিআরপিএফের তরফেরে গুপ্তচরকে সংঘর্ষের কিছুক্ষণ আগেই ধরে ফেলেছিল মাওবাদীরা। যে এই হামলা সম্পর্কে সিআরপিএফ ক্যাম্পে খবর পাঠানোর আগেই মারা যায় মাওবাদীদের হাতে।
পঞ্চায়েত প্রধান খুন
সূত্রের খবর অনুযায়ী, সুকমায় সিআরপিএফের সঙ্গে খুব ভালো সম্পর্ক হয়ে উঠছিল গ্রামবাসীদের। যা কিছুতেই মেনে নিতে পারছিল না মাওবাদীরা। এরপরই স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানকে খুন করে মাওবাদীরা।
পাল্টে যাওয়া সমীকরণ
সুকমায় পঞ্চায়েত প্রধান দুলার মৃত্যুর পর থেকেই এলাকার মাওবাদী জাল ছড়ানোর সমীকরণ পাল্টে যেতে থাকে। দুলাকে মেরে গ্রামবাসীদের কাছে সতর্ক মূলক বার্তা পাঠাতে চেয়েছিল মাওবাদীরা। যার মূল বক্তব্য সিআরপিএফ বা রাষ্ট্রশক্তির তরফের কারোর সঙ্গে আতাঁত রাখা চলবে না। এনিয়ে বেশ কিছু পোস্টার ও প্যামফ্লেটও গ্রাম জুড়ে ছড়িয়ে দিতে থাকে গ্রামবাসীরা।
সম্পর্কের অবনতি
দুলার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়াতে থাকে। ফলে সিআরপিএফ ক্যাম্পে তাঁরা যাওয়া কমিয়ে দেন। দুতরফের সম্পর্কও সেরকমভাবে ছিলনা। ফলে মাওবাদীদের গতিবিধি সম্পর্কে খোঁজ খবর কম আসতে থাকে সিআরপিএফ ক্যাম্পে।
ঘাঁটি গাড়ে মাওবাদ
সিআরপিএফের কাছে যখন থেকেই তথ্য আসা বন্ধ হয়ে যায়, তখন থেকেই শক্তিশালী হতে থাকে মাওবাদীরা। ভিতরে ভিতরে বড়সড় হামলার জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে থাকে তারা। শক্তপোক্ত হয় তাদের গেরিলা বেহিনী।
৩০০ মাওসেনার বিরুদ্ধে লড়াই
সোমবার ৩০০ জন মাওবাদীর বিরুদ্ধে মুখোমুখি সংঘর্ষ মোটেও সহজ ছিলনা সিআরপিএফএর জন্য। সুকমায় রাস্তা নির্মানের কাজকে নিরাপত্তা দিতেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন জওয়ানরা। তখনই হামলা চালায় মাওবাদীরা।
গ্রামবাসীদের 'ঢাল' করা হয়
সেনা মাওবাদী সংঘর্ষের সময়, গ্রামবাসীদের ঢাল করে এগোতে শুরু করে মাওবাদীরা। ফলে সেনার জন্য এই লড়াই আরও কঠিন হয়ে পড়ে। বেশির ভাগ মাওবাদীই সাদা পোশাকে থাকায়, গ্রামবাসী ও মাওবাদীদের মধ্যে ফারাক বুঝে লড়াই করাটা সমস্যাজনক হয়ে পড়ে সেনার জন্য।
কুখ্যাত মাওবাদীরা হাতছাড়া
সংঘর্ষের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল নাগেশ, সিতু, সোনুর মতো কুখ্যাত মাওবাদীরা। যাদের নাম পুলিশের খাতায় অনেকটাই উপরে। কিন্তু এই লড়াইয়ে তাদের ধরতে পারেনি পুলিশ। বহুদিন ধরে তারা পুলিশ ও সিআরপিএফের গতিবিধির ওপর নজর রেখে তবেই এই অভিযান চালিয়েছে বলে ধারণা পুলিশের।