গুজরাত ভোটের ফলাফল কী প্রভাব ফেলবে ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে
গুজরাতের যুদ্ধে সম্মুখ-সমরে অবতীর্ণ হয়েছিল বিজেপি-কংগ্রেস। নরেন্দ্র মোদী ম্যাজিকে ভর করে গুজরাতে ক্ষমতা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে বিজেপি। এই নিয়ে ষষ্ঠবার গুজরাতে ক্ষমতায় আসছে গেরুয়া শিবির। তবে এই নির্বাচনের পরিসংখ্যানকে শুধু দেখলেই চলবে না। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের দিকে তাকালে এই নির্বাচনের গুরুত্ব অপরিসীম। আগামী লোকসভা ভোটে এই নির্বাচনের ফলাফল প্রভাব ফেলবে সন্দেহ নেই।

আতসকাঁচের নিচে মোদীর গেমপ্ল্যান
নরেন্দ্র মোদীর গুজরাত মডেল এই প্রথমবার স্ক্যানারের নিচে এসেছে। অনেকে খুল্লামখুল্লা সমালোচনা করেছেন। কংগ্রেস বাদেও বিরোধিতার আরও অনেক মুখ উঠে এসেছে। জিগনেশ মেওয়ানি, অল্পেশ ঠাকোর ও সর্বোপরি হার্দিক প্যাটেল বিজেপি বিরোধিতায় সরব হয়ে দারুণ সাড়া পেয়েছেন। এছাড়া জিএসটি বলবৎ হওয়ায় তা বেশ কিছু জায়গায় বিজেপির বিপক্ষে গিয়েছে।

কঠিন অঙ্ক কষতে হবে বিজেপিকে
এই নির্বাচনকে আপাতভাবে দেখলে মনে হবে বিজেপি সহজেই উতরে গিয়েছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বারবারই বলছেন, বিজেপিকে বেশ কষ্ট করেই নির্বাচনে জিততে হয়েছে। কংগ্রেস দারুণ লড়াই দিয়েছে। সেই ধাক্কা এতটাই যে আগামী লোকসভা ভোটের আগে গুজরাত জয় করতে হলে বিজেপিকে কঠিন অঙ্ক কষতে হবে। তুলো চাষি থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীদের একটা বড় অংশ বিজেপির উপরে জিএসটি সহ নানা কারণে ক্ষেপে রয়েছে।

২০১৮ বড় লড়াই
২০১৭ সালে উত্তরপ্রদেশ, গোয়া, হিমাচলপ্রদেশ ও গুজরাতে বিজেপি ভালো ফল করেছে। সরকার তৈরি করেছে। ২০১৮ সালে আরও বজড় লড়াই অপেক্ষা করে থাকবে। সামনের বছর মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তিশগড় ও কর্ণাটকে বড় লড়াই হবে। গুজরাতে মোদীর ঘরের রাজ্যে রাহুলের নেতৃত্বে যেরকম লড়াই কংগ্রেস করে দেখাল তাতে কর্ণাটক বাদে বাকী বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বিজেপির লড়াই কঠিন করে তুলতে পারে কংগ্রেস। আর কর্ণাটকেও ধীরে ধীরে ঘর গোছাতে শুরু করেছে সিদ্দারামাইয়ার দল। তাই কর্ণাটকেও বিজেপির সহজ জয় আসা কঠিন।

সরকার বিরোধী হাওয়া
রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়ে প্রতিষ্ঠানবিরোধী হাওয়া বিজেপির বিপক্ষে যেতে পারে। এই রাজ্যগুলিতে বেশ কয়েকবছর ধরে বিজেপি ক্ষমতায় রয়েছে। ফলে সেই অবস্থাকে কাজে লাগিয়ে রাহুল গান্ধীর কংগ্রেস আগামী লোকসভা ভোটে কড়া চ্যালেঞ্জের মধ্যে ফেলতে চলেছে বিজেপিকে। আঞ্চলিক দলগুলিকে এক ছাতার তলায় করে কংগ্রেস ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হলে বিজেপির চাপ বাড়বে বই কমবে না।