চটজলদি ত্বকে উজ্জ্বলতা পেতে চাইলে এই টোটকাগুলি ব্যবহার করে দেখুন
এই সময়ে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য অনেকটা হারিয়ে যায়। কোন উপায় অবলম্বন করলে ত্বকের হারানো ঔজ্জ্বল্য ফেরত পাবেন তা দেখে নিন।
হেমন্তের মধ্যেই শীত প্রায় দরজায় টোকা দিচ্ছে। আর মাসখানেকের অপেক্ষা। তারপরই শীতের আগমন হবে সারা দেশে। তবে এখন থেকেই বিকেলের পর হালকা ঠান্ডার আমেজ অনুভূত হতে শুরু করেছে। আবহাওয়া শুষ্ক হওয়ায় ত্বকে টান পড়তে শুরু করেছে। এটাই সময় ত্বকের যত্ন নেওয়ার। শীতের আগেই ত্বকের যত্ন খানিক নিয়ে ফেলতে পারলে বেশি সমস্যা হবে না। এই সময়ে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য অনেকটা হারিয়ে যায়। কোন উপায় অবলম্বন করলে ত্বকের হারানো ঔজ্জ্বল্য ফেরত পাবেন তা দেখে নিন।
দুধ
দুধ স্নান ত্বককে ফরসা হতে সবচেয়ে তাড়াতাড়ি সাহায্য করে। তবে এত দুধে স্নান করা সম্ভব নয়। তবে মুখে অন্তত লাগানো যেতেই পারে। ত্বকে দুধ লাগালে তা যেমন ময়লা তোলে, তেমনই ময়শ্চারাইজও করে তোলে। ফলে কয়েকদিনের ব্যবহারে ত্বকও ফরসা হয়ে ওঠে।
পাতিলেবু
ত্বকের রং ফেরাতে চাইলে লেবু সবসময়ই ব্যবহার করা হয়। পাতিলেবুর সঙ্গে মধু মিশিয়ে ত্বকে অ্যাপ্লাই করুন। এটি স্বাভাবিক ব্লিচের কাজ করবে ও আপনার ত্বকের জেল্লা বাড়িয়ে তুলবে।
গোলাপ জল
বালতিতে প্রতিদিন কয়েক ঢাকনা গোলাপ জল মিশিয়ে স্নান করুন। চাইলে অনেকটা লেবুর রসও মিশিয়ে দিতে পারেন। লেবু ত্বকে ব্লিচের কাজ করবে ও গোলাপ জল স্নানের পরে আপনার জেল্লা ফিরিয়ে আনবে।
ডিমের কুসুম
ডিমের সাদা অংশের পাশাপাশি কুসুমও ত্বকের জন্য দারুণ উপকারী। কুসুম ফেটিয়ে তা ত্বকে মাখতে পারেন। তবে তা মুছে তুলে ফেলার সময়ে মনে করে অবশ্যই ভিনেগার ব্যবহার করবেন। তাহলে ডিমের আঁশটে গন্ধ চলে যাবে এবং ত্বকে জেল্লা আসবে।
ডাবের জল
ডাব বা নারকেলের জলে রয়েছে ন্যাচারাল ময়শ্চারাইজার। ত্বকের জন্য এটি বিশেষ উপকারী। স্বাভাবিক জেল্লা ফেরাতে, ত্বকের কালো ছোপ দূর করতে ডাবের জলের জুড়ি নেই।
টক দই
উজ্জ্বল ত্বক পেতে টক দই ও লেবুর রসের মিশ্রণ তৈরি করে ব্যবহার করুন। এতে প্রাথমিকভাবে কিছুটা ত্বক জ্বালা করলেও দারুণ উজ্জ্বল ভাব আসবে।
পাকা পেপে
পাকা পেপে ও মধু একসঙ্গে মিশিয়ে মাখলে প্রাকৃতিক উপায়ে ত্বককে ব্লিচ করবে। মুখের দাগছোপ দূর হবে, ত্বকের রং হাল্কাও হবে ও ত্বক উজ্জ্বল হবে।