কর্ণাটকে সরকার ধরে রাখা এভারেস্ট ডিঙানোর মতোই কঠিন বিজেপি-র কাছে
শনিবার বিকেল ৪টেয় সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিয়ে ফ্লোর-টেস্টে যেতে হবে বিজেপিকে। এটাকেই প্রায় অসম্ভব বলে ব্যাখ্যা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ভাঙব তবু মচকাবো না। বাংলায় এই প্রবাদ জীবনের নানা ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। কর্ণাটকে সরকার গঠন ইস্যুতে কার্যত এমন সত্যেরই মুখোমুখি এখন বিএস ইয়েদুরাপ্পার বিজেপি সরকার।
বৃহস্পতিবার রাজ্যপাল বাজুভাই বালার সামনে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়ে ফেলেছেন ইয়েদুরাপ্পা। তবে শুক্রবার সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশের পর শনিবার বিকেল ৪টেয় সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ দিয়ে ফ্লোর-টেস্টে যেতে হবে বিজেপিকে। বিধানসভায় প্রমাণ করতে হবে ২২৪ বিধানসভা আসনের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন তাঁদের রয়েছে।
[আরও পড়ুন: কর্ণাটক নিয়ে সুপ্রিমকোর্ট ঠিক কী নির্দেশ দিল, জেনে নিন খুঁটিনাটি]
এটাকেই প্রায় অসম্ভব বলে ব্যাখ্যা করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ ভোটে বিজেপি জিতেছে ১০৪টি আসন। সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে তা ৮টি আসন কম। এই অবস্থায় সুপ্রিম কোর্ট একেবারেই সময় দেয়নি যাতে বিজেপি অন্য দলের বিধায়কদের ভাঙিয়ে নিয়ে আসতে পারে।
অথবা গত দেড়দিনে ১জন কংগ্রেস বিধায়ক বাদে বাকীদের কংগ্রেস-জেডিএস একসঙ্গে করে রাখতে পেরেছে। পরে অবশ্য কংগ্রেসের সেই বিধায়কও ঘরে ফিরে এসে কং-জেডিএসকেই সমর্থন করেছেন। ফলে একজন নির্দল বিজেপিকে সমর্থন জানালে বিজেপি ১০৫ সংখ্যায় পৌঁছেছে। ১১২-র ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছতে হলে বিজেপির এখনও প্রয়োজন ৭জন বিধায়কের সমর্থন।
তার উপরে হাতে সময় নেই একেবারেই। এই অবস্থায় বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করা এককথায় অসম্ভব মনে হচ্ছে গেরুয়া শিবিরের কাছে। যদিও জনসমক্ষে নিজেদের আত্মবিশ্বাসী বলে তুলে ধরেছে বিজেপি। তবে সেই আত্মবিশ্বাস শনিবারের ফ্লোর-টেস্টে কতটা ধরে রাখতে পারে বিজেপি সেটাই এখন দেখার।
প্রসঙ্গত, ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর বিজেপি ১০৪টি আসন, কংগ্রেস ৭৮টি আসন, জেডিএস ৩৮টি আসন ও অন্যান্যরা ২টি আসন পেয়ে জয়ী হয়েছে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে গেলে ১১২টি আসন প্রয়োজন।