করোনাকালীন সময়ে কীভাবে সময় কাটাচ্ছেন সাংসদেরা? কী ভাবে অবসর যাপন করছেন মোদী-রাহুল?
লকডাউনে থমকে দেশ। মার্ছের শেষার্ধ থেকে মে মাসের শেষার্ধ পর্যন্ত প্রায় একটানা লকডাউন চলে গোটা দেশে। তারপর আনলক পর্ব শুরু হলেও করোনা সংক্রমণের গতিবিধি লক্ষ্য করে এখনও স্থানীয় ভিত্তিতে লকডাউন চলছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। এদিকে করোনা ধাক্কায় বন্ধ লোকসভা থেকে শুরু করে সমস্ত বিধানসভার কাজকর্ম। জামতে ইচ্ছা করে না এই করোনাকালীন পরিস্থিতিতে কিভাবে সময় কাটাচ্ছেন আমাদের জনপ্রতিনিধিরা?
সদ্য প্রকাশিত একটি বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে আমাদের দেশের বেশিরভাগ সাংসদই এই সময় বই পড়ে সময় কাটাচ্ছেন। পাশাপাশি লোকসভার ওয়েবসাইট প্রোফাইলে ৩৭৩ জন সাংসদদের ১২০০-র বেশি হবি ও বিশেষ ধরণের শখের সন্ধান মিলেছে বলে খবর। সেখানেই দেখা যাচ্ছে বেশিরভাগ সাংসদই বই পড়াকেই তাদের পছন্দ তালিকায় সর্বাধিক জনপ্রিয়।
সূত্রের খবর, তালিকায় থাকা শীর্ষ ৩১টি হবির মধ্যে বই পড়ার অভ্যাসকে সবার থেকে এগিয়ে রেখেছেন সাংসদরা। এর মধ্যে সাহিত্য এবং জীবনীমূলক বই পড়ছেন সর্বাধিক সাংসদ। এদিকে 'বিপ্লবী’ গল্প কথা ও বই পড়ার দৌড়ে অনেক বাম সাংসদকেই পিছনেলেছেন শিবসেনার গজানন কীর্তিকর।
এদিকে হরিয়ানার সাংসদ রতন লাল কাটারিয়াও সাফ জানিয়েছেন যে কোনও ভাল বই পড়তেই তিনি সর্বাধিক পছন্দ করেন। এদিকে অনেক সাংসদই আবার শাস্ত্র, জার্নাল এবং সংবাদপত্র পড়তে পছন্দ করেন বলে জানিয়েছেন। যদিও এই ক্ষেত্রে অনেকেরই নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ও পছন্দ তালিকায় রয়েছে। যেমন মোদী জানিয়েছেন কাজ না থাকলে বেশিরভাগ সময় তিনি প্রকৃতির মাঝে থাকতে পছন্দ করেন। রাহুল গান্ধী আবার অবসর সময়ে সাঁতার, আইকিডো প্রাকটিস করতে পছন্দ করেন বলে জানা যাচ্ছে।
যেমন অন্ধ্রপ্রদেশের ওয়াইএসএ অবিনাশ রেড্ডি সেচ প্রকল্পের উপর বিভিন্ন গবেষণাপত্র ও বইপত্র পড়তে পছন্দ করেন বলেন জানিয়েছেন। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গ কংগ্রেসের সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী আবার সুফিবাদের উপর বিভিন্ন বই পড়তে সর্বাধিক পছন্দ করেন। এদিকে বই পড়ার পরেই অবসর সময় কাটানোর ক্ষেত্রে খেলাধূলা এবং ফিটনেস-সম্পর্কিত ক্রিয়াকলাপে যুক্ত থেকেছেন বেশিরভাগ সাংসদ। পাশাপাশি গান, বিভিন্ন সামাজিক কাজকর্মের সঙ্গেও যুক্ত থেকেছেন অনেক সাসংদ।