কলকাতায় কতটা বেড়েছে বাড়ি-ঘরের দাম, দেশের অন্যত্র ছবিটা কেমন, দেখে নিন একনজরে
এই মাসের শুরুতে কেন্দ্রীয় আবাস মন্ত্রকের তরফে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। দেশের মোট ৫০টি শহরের ট্রেন্ড তাতে তুলে ধরা হয়েছে। তাতে বিপরীতমুখী ট্রেন্ড দেখা গিয়েছে।
বাজারে চাহিদা কম ও যোগান বেশি থাকলে কী দাম বাড়তে পারে? অর্থনীতির হিসাবে তা সম্ভব নয়, তবে ভারতের আবাস শিল্প সমস্ত হিসাবকে ভুল প্রমাণিত করে ছেড়েছে। এই মাসের শুরুতে কেন্দ্রীয় আবাস মন্ত্রকের তরফে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে। দেশের মোট ৫০টি শহরের ট্রেন্ড তাতে তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি আরও বলা হয়েছে যে নোট বাতিলের ঘটনার কোনও প্রভাবই আবাস শিল্পে পড়েনি।
আবাস প্রকল্পের দাম
ন্যাশনাল হাউসিং বোর্ডের তথ্য বলছে, ভারতের মোট ৫০টি শহরের মধ্যে ৩২টি শহরে বাড়িঘরের দাম বেড়েছে। এর মধ্যে ১৩টি শহরে আবাস শিল্পে দাম একইরকম রয়েছে ও মাত্র ৫টিতে দাম নিম্নমুখী রয়েছে।
কোন কোন শহর রয়েছে তালিকায়
এর মধ্যে পুনেয় সবচেয়ে বেশি ৪৪ শতাংশ দাম বেড়েছে। তারপরে রয়েছে মুম্বই। সেখানে দাম বেড়েছে ৪১ শতাংশ, বেঙ্গালুরুতে ৩৭ শতাংশ, চেন্নাইয়ে ৩৩ শতাংশের মতো। ২০১৩ অর্থবর্ষ থেকে ২০১৭ সালের শুরুর সময় পর্যন্ত এই হিসাব পেশ করা হয়েছে।
হাউসিং শিল্পে টালমাটাল অবস্থা
গতবছরের শেষে নোট বাতিলের ঘটনা আবাস শিল্পে বড় ধাক্কা দিয়েছে। নগদের যোগানে টান পড়ায় শোচনীয় অবস্থা হয়েছে। পাশাপাশি চাকরির বাজারের সঙ্গীন অবস্থা বিশেষ করে তথ্য প্রযুক্তি সেক্টরে কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘটনা বড় প্রভাব ফেলেছে। এছাড়া রিয়েল এস্টেট রেগুলেশন অ্যাক্ট লাগু হওয়ার পরে সমস্যা বেড়েছে। গতবছরে এই ক্ষেত্রে খরা চলেছিল। তবে এবছরের জানুয়ারি থেকে জুন মাসের মধ্যে ফের বাজার চাঙা হতে শুরু করেছে।
কেন দাম বাড়ছে
ভারতে এখনও বহু সংখ্যক মানুষের নিজের বাড়ি নেই। ফলে মন্দার বাজার সেভাবে থাবা বসাতে পারেনি। তাছাড়া সুদের হার কিছুটা কমে যাওয়ায়ও তার প্রভাব পড়েছে। কারণ গৃহঋণের বৃদ্ধি গত একবছরে ১২ শতাংশ হারে বেড়েছে। অর্থাত মানুষ বাড়ি কিনতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। এর মধ্যে ২৫ লক্ষ টাকার মধ্যে দামের বাড়ি বা ফ্ল্যাটই রয়েছে ৩৬ শতাংশ জায়গা দখল করে।
কলকাতা
কলকাতায় একবছরে যেখানে ফ্ল্যাট-বাড়ির দাম ২ শতাংশ বেড়েছিল। সেখানে গত চারবছরের দাম ২৮ শতাংশ হারে বেড়েছে। এবং ট্রেন্ড ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী।
হাওড়া
কলকাতার পাশাপাশি হাওড়া শহরেও ফ্ল্যাট-বাড়ির দাম অনেকটাই বেড়েছে। একবছরে ১৫ শতাংশ থেকে চারবছরে তা ৬৮ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে।