বিশ্ব এইডস দিবসে জেনে নিন মারণ রোগের সঙ্গে কীভাবে লড়াই চলছে পৃথিবীতে
এইচআইভি এইডস একটি ভয়ঙ্কর মারণ ব্যাধি। দেখে নেওয়া যাক এই রোগ নিয়ে খুঁটিনাটি তথ্য।
এইচআইভি এইডস একটি ভয়ঙ্কর মারণ ব্যাধি। সারা পৃথিবীতে লক্ষ লক্ষ মানুষ ফি বছর এতে প্রাণ হারান। দীর্ঘ সময় ধরে আলাদা কোনও শারীরিক সমস্যা ছাড়াই এই মারণ রোগ শরীরে জাঁকিয়ে বসে। ধীরে ধীরে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে নষ্ট করে দেয়। তারপর শরীরে কোনও রোগ বাসা বাঁধলে তা শরীর সইতে পারে না। অসুরক্ষিত যৌনজীবন, ওরাল সেক্স, আক্রান্তের রক্ত শরীরে যাওয়া, বাবা-মায়ের শরীর থেকে নবজাতকের শরীরে রক্ত বয়ে আসা, ইত্যাদি নানা কারণে এইডস হতে পারে। একনজরে দেখে নেওয়া যাক এই রোগ নিয়ে খুঁটিনাটি তথ্য।
আফ্রিকায় উদ্ভব
পৃথিবীর নিম্ন আয়ের বা অনুন্নত দেশে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি এইডস আক্রান্তের সংখ্যা সাব সাহারান আফ্রিকায়। উনবিংশ শতকে পশ্চিম-মধ্য আফ্রিকা থেকে এই রোগ সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়েছে বলে মনে করা হয়। ১৯৮১ সালে প্রথম এই রোগ ধরা পড়ে। এইচআইভি সংক্রমণের ফলে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ে।
আক্রান্তের সংখ্যায় ভারত তৃতীয়
ভারতের মতো বিপুল জনসংখ্যার দেশে এইডস আক্রান্ত ব্যক্তির সংখ্যা অনেক। সারা পৃথিবীতে এদেশ আক্রান্তের সংখ্যার নিরিখে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। প্রতিবছর অন্তত ১০ লক্ষ মানুষ এইডসের কারণে মারা যান।
পুরুষ আক্রান্ত বেশি
২০১৫ সালের রিপোর্ট অনুযায়ী ১৫-৪৯ বছর বয়সীদের মধ্যে ০.২৬ শতাংশ মানুষ এইডসে আক্রান্ত। তার মধ্যে আলাদা করে দেখলে পুরুষ ০.৩০ শতাংশ ও মহিলা ০.২২ শতাংশ।
কমছে আক্রান্তের সংখ্যা
২০০৭ সালে ভারতে এইডস আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২২.২৬ লক্ষ। ২০১৫ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২১.১৭ লক্ষে। অরক্ষিত যৌনজীবনই ভারতে এইচআইভি এইডসের মূল কারণ বলে সমীক্ষায় উঠে এসেছে।
জীবিতের সংখ্যা বাড়ছে
বিশ্বের নিরিখে যদি দেখা যায় তাহলে গত দেড় দশকে উল্লেখযোগ্যভাবে এইচআইভি আক্রান্ত হয়ে জীবিতের সংখ্যা কমে গিয়েছে। ২০০০ সালে তা ছিল ২কোটি ৭৭ লক্ষ জন। যা ২০১৬ সালে বেড়ে হয়েছে ৩ কোটি ৬৭ লক্ষ জন।
সচেতনা বাঁচাতে পারে মারণ রোগ থেকে
নতুনভাবে এইচআইভি আক্রান্তের সংখ্যাও আগের চেয়ে অনেকটা কমে গিয়েছে। ২০০০ সালে এইচআইভি আক্রান্তের সংখ্যা ৩ কোটি ছিল। ২০১৬ সালে তা কমে হয়েছে ১ কোটি ৮০ লক্ষ জন। অর্থাৎ এইডসের বিরুদ্ধে ধীরে ধীরে হলেও প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে মানব সমাজ। অনুন্নত দেশগুলিতে যৌনতা নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি পেলে এই রোগের প্রকোপ আরও কমে আসবে।