বিশ্বকর্মা পুজো মানেই কি শারোদৎবের ঢাকে কাঠি পড়া! বাঙালির জীবনে এর প্রভাব কী
বিশ্বকর্মা পুজো আসা মানেই তার আবহ জানান দেয় উমা আসছেন। উমাকে বরণ করে নিতে প্রস্তুতি শুরু হয় গোটা বাংলা জুড়ে। ততদিনে কাশের বন আর শিশির ভেজা সবুজে পড়ে থাকা শিউলি নিয়ে আসে মায়ের আগমনী বার্তা।
বিশ্বকর্মা পুজো আসা মানেই তার আবহ জানান দেয় উমা আসছেন। উমাকে বরণ করে নিতে প্রস্তুতি শুরু হয় গোটা বাংলা জুড়ে। ততদিনে কাশের বন আর শিশির ভেজা সবুজে পড়ে থাকা শিউলি নিয়ে আসে মায়ের আগমনী বার্তা। এই পরম্পরা যেন প্রকৃতির নিজের সৃষ্টি। আর তার সঙ্গে তাল তাল মিলিয়ে এগোয় বঙ্গ সংস্কৃতি। বিশ্বকর্মা পুজোকে ঘিরে বাঙালির কিছু চেনা অনুভূতি, আবেগের ছবি একনজরে দেখে নেওয়া যাক।
ঘুড়ি
বিশ্বকর্মা পুজো হবে আর আশপাশের বাড়ি থেকে 'ভোকাট্টা' ধ্বনি শোনা যাবে না, তা কি হয়! বিশ্বকর্মা পুজো মানেই বাঙালির নস্টালজিয়ায় প্রথম ধরা দেয় ঘুড়ি। আকাশ জুড়ে এদিন ঘুড়ির মেলা উৎসবের মেজাজ আরও উস্কে দিতে থাকে।
পুজোর কাউন্টডাউন
বিশ্বকর্মা পুজো মানেই বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসবের ঢাকে কাঠি পড়ে যাওয়া। দিকে দিকে এই পুজো ঘিরে উৎসাহ , উদ্দীপনার মধ্যেই বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসবের অপেক্ষার দিনগোনা শুরু হয়ে যায়। আর এই পরম্পরা হার মানেনি আজও।
মেলা
বিশ্বকর্মা পুজা উপলক্ষ্যে বিভিন্ন জায়গায় মেলা আয়োজিত হয়। সাহাগঞ্জের ডানলপ কারখানা ঘিরেও এককালে বিশাল মেলা আয়োজিত হত। তবে কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখন সেখানে বিশ্বকর্মা পুজোর উদযাপন বন্ধ।
[আরও পড়ুন: বিশ্বকর্মাকে ঘিরে কথিত রয়েছে কোন কাহিনি! জানুন পূজার উপযোগিতা ]
কেনাকাটা
বিশ্বকর্মা পুজোর অনেক আগে থেকেই যদিও শুরু হয়ে যায় পুজোর কেনাকাটা। তবে বিশ্বকর্মা পুজো আসা মানেই কেনাকাটায় একটা 'ফাইনাল টাচ' দেওয়ার সময়! তাই এই পুজোর পর থেকেই বিভিন্ন পোশাক থেকে প্রসাধনীর দোকানে বাড়তে থাকে ভিড়।
[আরও পড়ুন:বিশ্বকর্মা পুজোর দিন ভাদ্র মাসের সংক্রান্তি আপনার কেমন কাটবে!কী বলছে রাশিফল]