দিওয়ালিতে এই বহুবিধ আচার অনুষ্ঠান পালিত হয় দেশের নানা প্রান্তে, অজানা কয়েকটি তথ্য
আলোর রোশনাইয়ে দিওয়ালিতে প্রতিবছরই মাতোয়ারা হয় গোটা দেশ। দেশের এক একটি প্রান্তে এক একটি রকমভাবে পালিত হয় দীপাবলি।
আলোর রোশনাইয়ে দিওয়ালিতে প্রতিবছরই মাতোয়ারা হয় গোটা দেশ। দেশের এক একটি প্রান্তে এক একটি রকমভাবে পালিত হয় দীপাবলি। কোথাও কালিপুজো, কোথাও লক্ষ্মীপুজো , তো কোথাও নববর্ষকে স্বাগত জানাবার মরশুম দিওয়ালি। দেশের বিভিন্নপ্রান্তে কীভাবে পালিত হয় এই দিনটি একনজরে দেখে নেওয়া যাক।
[আরও পড়ুন:দীপাবলিতে এই 'বাস্তুশাস্ত্র'-মত মেনে ঘর সাজান, জীবনে আসবে সুখ-সমৃদ্ধি]
বারাণসী
হিন্দুশাস্ত্র মতে বারাণসী হল একটি পবিত্র শহর। যেখানে অবস্থান করেন স্বয়ং বিশ্বনাথ শিব। তাই বারাণসীর দিওয়ালি উদযাপনের ঘরানা একটু আলাদা। এখানে দেব দীপাবলি আয়োজিত হয়। গঙ্গা আরতির সঙ্গে সঙ্গে এখানের গঙ্গার ঘাটে মনোরম রঙ্গোলিতে সাজানো হয়।
বিহার
দিপাবলীতে বিহারে সাধারণত ৫ দিন ধরে পালিত হয় উৎসব। ধনতেরস, ছোটি দিওয়ালি, লক্ষ্মী পুজো , গোবর্ধন পুজো এবং এরপর ভাইফোঁটা পালন করে তারপর শেষ হয় এই উৎসবের আমেজ।
কলকাতা
গোটা দেশ দিওয়ালির দিন ধনসম্পত্তির দেবী লক্ষ্মীর পুজোতে মেতে থাকলেও ,কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে পালিত হয় কালীপুজো। দিওয়ালীর রাতে বাংলার বিভিন্ন জায়গায় ধুমধাম সহকারে শক্তির আরাধনা হয় কালীপুজোর মাধ্যমে। শুধু তাই নয়, বাঙালির উৎসবের পার্বণ শেষ হয় ভাই ফোঁটা দিয়ে।
গুজরাত
দিওয়ালি
মানে
গুজরাতি
ক্যালেন্ডারে
বছরের
শেষ
দিন।
অর্থাৎ
দিওয়ালির
পরের
দিনকে
গুজরাতিরা
নববর্ষ
হিসাবে
পালন
করেন।
এই
উদযাপনের
জন্য
তাঁরা
নানান
রকমের
মিষ্টি,
নিমকি
তৈরি
করেন।
পাশপাশা,
রংগোলী
আর
প্রদীপের
সাজ
তো
থাকেই।
পাঞ্জাব
দিওয়ালির মরশুম মানে পাঞ্জাবে কৃষিকাজের মরশুম শুরু। তাই এই সময়ে সেখানের মনোরম আবহাওয়ায়, ধনলক্ষ্মীকে স্বাগত জানানো হয়। পাঞ্জাবী হিন্দুরা এইদিন যেমন লক্ষঅমী পুজো করেন , তেমনই শিখরাও এদিন গুরুদ্বারা গিয়ে এই উৎসব পালন করেন।
তামিলনাড়ু
উত্তর ভারতে দিওয়ালির নানান প্রথার পাশাপাশি দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলিতেও অন্য রকমের প্রথা প্রচলিত। এই দিন তামিলনাড়ুতে বিভিন্ন গৃহস্থে দীপাবলী লেহিয়াম তৈরি করা হয়,যা হল বিশেষ একটি আয়ুর্বেদিক ঔষধি।
নিয়ম অনুযায়ী এটি দীপাবলির দিন বাড়ির সকলে মিলে খেয়ে থাকেন। অনেকে নিজের পূর্বপূরুষের উদ্দেশে পুজো অর্চনাও করেন এদিন।
ওড়িশা
দিওয়ালির দিন ওড়িশাতে কুরিয়া কাঠি উৎসব উদযাপিত হয়। এটি একটি উপজাতির সংস্কৃতি বলে মনে করা হয়। মূলত এই দিন পূর্বপুরুষদের স্মরণ করে পালিত হয় পুজো।