করোনা থেকে বাঁচতে মাস্ক পরার সময় এই সাতটি জিনিস অবশ্যই মাথায় রাখবেন
করোনা থেকে বাঁচতে মাস্ক পরার সময় এই সাতটি জিনিস অবশ্যই মাথায় রাখবেন
এ বছরের মার্চ মাসে যখন কোভিড–১৯–কে প্রথম মহামারি হিসাবে ঘোষণা করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, তখন তিনটে গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ যা বিশ্ববাসীকে মেনে চলতে হবে, তার মধ্যে অন্যতম হল মাস্ক পরা। অন্য দু’টি হল সামাজিক দুরত্ব ও যথাযথভাবে হাত ধোওয়া। ল্যানসেটের করা সম্প্রতি এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে যে মাস্ক পরা, চোখকে সুরক্ষা দেওয়া ও ঠিকঠাকভাবে শারীরিক দুরত্ব বজায় রাখতে পারলে মানুষ থেকে মানুষের মধ্যে কোভিড–১৯ সংক্রমণ হওয়ার হার হ্রাস পেতে পারে।
সব মাস্ক একরকম হয় না
আপনি হয়ত এখন বাইরে পা দেওয়ার আগে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য মাস্ক পরেই বের হন। তবে আপনাকে এটা মাথায় রাখতে হবে যেন আপনার মাস্কটি তিনটি স্তরযুক্ত হয়, যেমনটা হু সুপারিশ করেছে। মেডরেক্সিভ সম্প্রতি এক সমীক্ষায় জানিয়েছে যে শতকরা কটন ফেব্রিক মাস্ক কোভিড-১৯ প্রতিরোধে কার্যকর, তাই আপনি কটন মাস্ক ব্যবহার করছেন সে বিষয়ে নিশ্চিত হন। এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ আপনার মাস্ক যেন আপনার মুখে সঠিকভাবে বসে বসে যায়। যাতে আপনার মুখ ও নাক, মুখের কিছুটা অংশ ও চোয়ালের নীচটা ঢাকা পড়ে যায়। ঢিলেঢালা মাস্ক ভাইরাসের ঝুঁকি বাড়ায় আবার খুব আঁটসাঁট মাস্কেও শ্বাস নিতে কষ্ট হয়, তাই এই দুই মাস্কের মধ্যে কোনওটাই যেন আপনার না হয়।
একবার আপনার হাতে সঠিক মাস্কটি এসে গেলে তা আপনাকে পরতে হবে, ব্যবহার করতে হবে এবং সঠিক পদ্ধতিতে পরিস্কারও করতে হবে। তার জন্য এই সাতটি নিয়ম মেনে চলুন
১) মাস্ক ছোঁয়া
মাস্কটাকে ঠিকঠাক করে পরার জন্য যদি এটাকে ছুঁতে হয়, তবে সার্স-কোভ-২ সংক্রমণের ঝুঁকি বেড়ে যায়। মুখে হাত দেওয়া বা ছোঁওয়ার অভ্যাস এবার সচেতনভাবে এড়িয়ে চলতে হবে।
২) একই মাস্ক দীর্ঘসময় ধরে পরে থাকা
কণা এবং জীবাণুগুলি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত তলদেশে জমা হতে থাকে এবং আপনার মাস্কও ব্যতিক্রম নয়। যদি আপনি একই মাস্ক সারাদিন ধরে পরে থাকেন তবে কোভিড-১৯ শুধু নয় অন্য সংক্রমণের ঝুঁকিও থেকে যায়।
৩) ভেজা মাস্ক পরা
ভারতীয় গ্রীষ্ণকালিন মরশুমে আদ্রতা ও তাপমাত্রা এতটাই বেশি যে আপনি মাস্ক পরার কিছুক্ষণের মধ্যে ঘেমে যেতে বাধ্য হবেন। তাই অনেকেই মাস্ক ভিজিয়ে পরেন। তবে ভেজা মাস্ক পরলে তা দমবন্ধের পাশাপাশি ভাইরাসের ক্ষেত্রেও কম কার্যকর। তাই খুব সাবধানের সঙ্গে ভেজা মাস্ক খুলুন, ফেলে দিন অথবা আলাদা করে রাখুন এবং যখন আপনার প্রয়োজন নতুন একটি মাস্ক নিন।
৪) আপনার নাক উন্মোচন করা
মাস্ক আপনার নাককেও যথাযথভাবে ঢেকে রাখে, তাই নাক থেকে এটাকে খুলে রাখা মহামারির সময় কোনও বিকল্প নয়। যদিও মাস্কের ওপর থেকে নিঃশ্বাস নিতে গেলে কষ্ট হয় তাই কটন ফেব্রিক মাস্ক ব্যবহার করুন। মাস্কের ভেতর থেকে শ্বাস নেওয়া প্রয়োজন, নাক বের করে নয়।
৫) মাস্ক খুলে কথা বলা
মাস্ক খুলে কথা বলার অর্থ হল আপনি শুধু মাস্কটাকেই ছুঁলেন না তার সঙ্গে সঙ্গে সার্স-কোভ-২-এর ভাইরাসও ফোঁটার মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার সম্ভাবনা তৈরি করে দিলেন।
৬) মাস্ক সঠিকভাবে খোলা হয় না
এই ছোট একটি ভুলও করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। তাই মাস্ক খোলার সময় কানের পাশে থাকা স্ট্র্যাপ আগে খুলুন বা মাথার ওপর দিয়ে খুলে ফেলুন মাস্কটিকে না ছুঁয়ে। মাস্ক খোলার পর তাকে সঙ্গে সঙ্গে জীবাণুমুক্ত করতে হবে অথবা এটাকে সবকিছুর থেকে আলাদা রেখে দিন, যতক্ষণ না জীবাণুমুক্ত করছেন।
৭) যথাযথভাবে মাস্ক জীবাণুমুক্ত করা হয় না
যথাযথ জীবাণুমুক্ত না করে পুনরায় সেই মাস্ক ব্যবহার করা ঠিক নয়। প্রথমে মাস্কটিকে গরম জল ও সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে এরপর তা সূর্যের আলোয় পাঁচ ঘণ্টা শোকানোর জন্য রাখতে হবে অথবা পাঁচ মিনিট পর্যন্ত সেটিকে ইস্ত্রিও করতে পারেন, এগুলি স্বাভাবিক উপায়ে জীবাণুমুক্ত করা।
সোনার দাম এবার কমতির পথে! কলকাতার দর আজ কত