ভারতে লাফিয়ে বাড়ছে হৃদরোগের কারণে মৃতের সংখ্যা, সামনে এল চারটি প্রধান কারণ
ভারতে দ্রুত হারে বেড়ে চলেছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা। সারা দেশে মোট মৃত্যুর ১৫ শতাংশ আগে ছিল হৃদরোগের কারণে। সেটা ১৯৯০ সাল। তবে ২০১৬ সালে তা একলাফে বেড়ে ২৮ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে।
ভারতে দ্রুত হারে বেড়ে চলেছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা। সারা দেশে মোট মৃত্যুর ১৫ শতাংশ আগে ছিল হৃদরোগের কারণে। সেটা ১৯৯০ সাল। তবে ২০১৬ সালে তা একলাফে বেড়ে ২৮ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে। যার অর্থ এখন একশো জনে অন্তত ২৮ জন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
এর কারণ হিসাবে উঠে আসছে মোট চারটি বিষয়। নুন, চিনি ও ফ্যাট জাতীয় খাবার অতি বেশি পরিমাণে খাওয়া ও চতুর্থ কারণ বায়ু দূষণ। 'দ্য ল্যান্সেট গ্লোবাল হেলথ জার্নাল'-এ এই গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে যে ভারতে হৃদরোগে মৃতদের অর্ধেকই ৭০ বছরের কম বয়স্ক। যার অর্থ হৃদরোগের সঙ্গে বয়সের সম্পর্ক যেন রীতিমতো তলানিতে এসে ঠেকছে। কমবয়সীদের মধ্যে এই রোগ থাবা বসাচ্ছে।
সমীক্ষা বলছে, ১৯৯০ সালে ভারতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ছিল ১৩ লক্ষ। ২০১৬ সালে প্রতিবছরে তা বেড়ে হয়েছে ২৮ লক্ষ।
ভারতে কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজে আক্রান্তের ক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে কেরল, পাঞ্জাব, তামিলনাড়ুর মতো রাজ্য। তারপরই রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ, হিমাচল প্রদেশ, মহারাষ্ট্র, গোয়া ও পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্য। এদিকে স্ট্রোকে আক্রান্ত সবচেয়ে বেশি হয় পশ্চিমবঙ্গ, মেঘালয়, গোয়া, কেরল, পাঞ্জাব, হিমাচলপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ ও তামিলনাড়ুর মতো রাজ্য।
শুধু এই চারটি ফ্যাক্টরের পাশাপাশি অলস জীবনযাপন, নিম্নমানের খাদ্যাভ্যাস, দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটারের সামনে বসা, মোবাইল ফোনের বেশি ব্যবহারকেও গবেষকরা মুখ্য কারণ হিসাবে জানিয়েছেন। এছাড়া ধূমপান, তামাকজাত পণ্য সেবন করা, মদ্যপানের মতো অভ্যাস তো রয়েইছে।