একাকীত্ব ধূমপান করার চেয়েও বিপজ্জনক, ডেকে আনে হৃদরোগের বিপদ, জানাল গবেষণা
নিঃসঙ্গ জীবন, একাকী থাকা, জীবনে বন্ধু না থাকা ধূমপান করার চেয়েও বেশি বিপজ্জনক। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এমনই তথ্য তুলে ধরেছেন। সামাজিক একাকীত্বের ফলে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। যা ধূমপানের ফলেও ততটা হয় না বলে দাবি করেছেন গবেষকরা। [হিংসা, রাগ বাড়ার পিছনে রয়েছে পরিবেশের কারসাজি, জানাল গবেষণা]
রয়্যাস স্যোসাইটি বি-র গবেষণা বলছে, একাকীত্বের ফলে অবসাদ মন ও শরীরকে গ্রাস করে। যার ফলে রক্তে ফাইব্রিনোজেন নামের প্রোটিন বাড়িয়ে তোলে যা রক্তকে জমাট বাঁধিয়ে স্ট্রোকের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে। [গরুর মূত্রে বিশুদ্ধ সোনা পেলেন বিজ্ঞানীরা]

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বিভিন্ন পরিবার ও তাদের সঙ্গে যুক্ত বন্ধুবান্ধব ও আত্মীয়দেরও রক্তে থাকা ফাইব্রিনোজেন প্রোটিনের মাত্রা পরীক্ষা করে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন। তাঁরা দেখেছেন, কোনও মানুষের সামাজিক মেলামেশা যত কম, সে যত একাকী ততই তাঁর রক্তে এই প্রোটিনের মাত্রা বেশি। [আপনার শিশুও বিছানা ভেজাবে যদি ছোটবেলায় এই অভ্যাস আপনার থাকে!]
ধরা যাক যে মানুষের সামাজিক মেলামেশা মাত্র ৫ জন মানুষের সঙ্গে, তাদের ক্ষেত্রে ফাইব্রিনোজেন প্রোটিনের মাত্রা রক্তে ২০ শতাংশ হারে বেশি তাদের থেকে যাদের সামাজিক বন্ধু অন্ততপক্ষে ২৫ জন। আপনার সামাজিক মেলামেশা যদি ১০-১২ জনের কম হয় তাহলে আপনার রক্তে এই প্রোটিনের মাত্রা এতটাই বেশি থাকবে যা ধূমপান করার চেয়েও বেশি। [ঘ্যানঘ্যানে স্ত্রী, অখুশি বিবাহিত জীবন আপনার থেকে দূরে রাখবে ডায়বেটিসকে]
সেজন্যই গবেষকরা জানাচ্ছেন, সামাজিক একাকীত্ব মানুষকে জীবনের দৌড়ে পিছনে ফেলে দিচ্ছে। সামাজিক মেলামেশার উপরেই নির্ভর করছে আপনার হৃদরোগের সম্ভাবনা বেশি না কম। মেলামেশা যত বেশি হবে, বন্ধু যত বেশি হবে ততই তা শরীরকে ভালো রাখবে, নচেৎ নয়।