গুজরাতে ভোট যুদ্ধে কারা এগিয়ে, কী বলছে টাইমস নাও-ভিএমআর সমীক্ষা
ফের একবার গুজরাত দখল করবে বিজেপি নাকি এবার কংগ্রেসের ভাগ্যের শিঁকে ছিঁড়বে? কী বলছে টাইমস নাও-ভিএমআর সমীক্ষা, আসুন জেনে নেওয়া যাক।
মাঝে আর মাত্র দুটি দিন। তারপরই বহু প্রতীক্ষিত গুজরাত ভোটযুদ্ধে নামবে বিজেপি-কংগ্রেস সহ রাজনৈতিক দলগুলি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্যে কারা শেষ হাসি হাসবে? ফের একবার গুজরাত দখল করবে বিজেপি নাকি এবার কংগ্রেসের ভাগ্যের শিঁকে ছিঁড়বে? কী বলছে টাইমস নাও-ভিএমআর সমীক্ষা, আসুন জেনে নেওয়া যাক।
বিজেপির জয়
ওপিনিয়ন পোল অনুযায়ী বিজেপি ফের একবার গুজরাতে বড় ব্যবধানে জিততে চলেছে। টাইমস নাও ভিএমআর সমীক্ষা বলছে বিজেপি ১১১টি সম্ভাব্য আসন পাবে। যার অর্থ ঘোষিত ১৫০টি আসন থেকে অনেক পিছনে শেষ করবে বিজেপি।
কংগ্রেস দ্বিতীয়
কংগ্রেস পেতে পারে সম্ভাব্য ৬৮টি আসন। ২০১২ সালে কংগ্রেস পেয়েছিল ৬১টি আসন। এবার এই ফল হলে আগের বারের চেয়ে ৭টি আসন বেশি পাবে কংগ্রেস।
ভোট শেয়ার
সমীক্ষার ফলাফল বলছে বিজেপির ভোট শেয়ার আগের চেয়ে ৩ শতাংশ কমেছে। আর কংগ্রেসের বেড়েছে ১ শতাংশ ভোট শেয়ার। ২০১২ সালের পর থেকেই তা হয়েছে। যদিও এখনও কংগ্রেসের চেয়ে ভোট শেয়ারে বিজেপি ৫ শতাংশ এগিয়ে রয়েছে।
বিজেপি কমেছে
ভোট শেয়ারের ক্ষেত্রে মধ্য গুজরাতে বিজেপি ২০১২ সালে ৪৬ শতাংশ ছিল, এখনও ৪৬ শতাংশই রয়েছে। কংগ্রেস ৪১ থেকে কমে ৪০ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে। কচ্ছ ও সৌরাষ্ট্রে ২০১২ সালের তুলনায় ১ শতাংশ ভোট শেয়ার কমে বিজেপি ৪৪ শতাংশে রয়েছে। কংগ্রেসের ৪ শতাংশ বেড়ে ৪১ শতাংশ হয়েছে।
এগিয়েছে কংগ্রেস
উত্তর গুজরাতে বিজেপি সবচেয়ে বেশি ধাক্কা খেয়েছে। ভোট শেয়ার ৫ শতাংশ কমে ৪৫-এ এসে ঠেকেছে। কংগ্রেসের ২ শতাংশ বেড়ে ৪২ হয়েছে। দক্ষিণ গুজরাতেও বিজেপির অবস্থা আগের চেয়ে খারাপ। ৫২ শতাংশ থেকে কমে ৪৬ শতাংশ হয়েছে। এদিকে কংগ্রেসের ৩৭ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩৯ শতাংশ হয়েছে। চারটি অঞ্চলের সবমিলিয়ে বিজেপি ২০১২ সালের ৪৮ শতাংশের তুলনায় কমে ৪৫ শতাংশ হয়েছে। আর কংগ্রেস সবমিলিয়ে ১ শতাংশ বেড়ে ৪০ শতাংশ ভোট শেয়ার পেতে পারে।
হার্দিকের সেক্স সিডি
প্রশ্ন করা হয়েছিল হার্দিক প্যাটেলের সেক্স সিডি সামনে আসায় কতটা ফারাক পড়বে? ৬০ শতাংশ মানুষ বলেছেন কোনও ফারাক পড়বে না। ২৪ শতাংশ বলেছেন এতে ইমেজ ক্ষতি হয়েছে। ১৬ শতাংশ সমবেদনা জানিয়েছেন।
হার্দিক-কংগ্রেস জুটি
হার্দিক ও কংগ্রেসের চুক্তিতে কার বেশি লাভ হয়েছে? কংগ্রেসের লাভ বলছেন ৩৫ শতাংশ মানুষ। ৩৮ শতাংশ বিশ্বাস করেন হার্দিকের এতে লাভ হয়েছে। ২৭ শতাংশ আবার মনে করছেন কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে হার্দিক ভুল করেছেন।
সোমনাথ মন্দির ইস্যু
সোমনাথ মন্দিরে রাহুলের যাওয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল। ৪৫ শতাংশ মনে করছেন রাহুলের সোমনাথ মন্দিরে যাওয়া সাহায্য করবে। তবে বাকী ৫৫ শতাংশ মনে করছেন রাহুলের সোমনাথ মন্দিরে যাওয়া ও তারপরের বিতর্কে আদতে রাহুলের ক্ষতিই হল।
পছন্দের মুখ্যমন্ত্রী
প্রশ্ন ছিল মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে কাকে বেশি পছন্দ গুজরাতবাসীর। এতে সংখ্যাধিক্য মানুষ বিজয় রূপানির নামই করেছেন। কিছু মানুষ নিতিন প্যাটেলের নাম বলেছেন। কেউ বলছেন আনন্দীবেন প্যাটেল অথবা শক্তি সিং গোহিলের নাম। তবে ফেভারিট রূপানিই।
প্রভাব ফেলা ইস্যু
গুজরাত ভোটারদের প্রভাবিত করবে কোন ফ্যাক্টরগুলি? এই প্রশ্নে প্যাটেল ইস্যুর কথা বলেছেন ৩১ শতাংশ মানুষ। ২৩ শতাংশ বলেছেন গুজরাত গৌরবের কথা। ২৩ শতাংশ মানুষ স্থানীয় প্রার্থীর কথা বলেছেন। ৭ শতাংশ মানুষ জাতপাতের কথা বলেছেন য এই ভোটে বড় প্রভাব ফেলবে।