গুজরাতে বজায় থাকবে গেরুয়া আধিপত্য, সম্ভাব্য কত আসন পাবে বিজেপি, কী বলছে সমীক্ষা
এদিনই টাইমস নাও ও ভিএমআরের যৌথ ওপিনিয়ন সার্ভে রিপোর্ট পেশ হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর গুজরাতে সমস্ত বিরোধিতা সত্ত্বে সংখ্যাধিক্য আসন নিয়ে জিততে চলেছে বিজেপি।
গুজরাত বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে চলেছে এই বছরের ডিসেম্বরেই। এদিন বুধবার নির্ঘণ্ট ঘোষণা করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আর এদিনই টাইমস নাও ও ভিএমআরের যৌথ ওপিনিয়ন সার্ভে রিপোর্ট পেশ হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর গুজরাতে সমস্ত বিরোধিতা সত্ত্বে সংখ্যাধিক্য আসন নিয়ে জিততে চলেছে বিজেপি। আর ফের একবার কংগ্রেস পরাজয়ের গ্লানি ভোগ করতে চলেছে।
গুজরাতের মোট ৮টি আলাদা অঞ্চলে ৬ হাজারের বেশি মানুষের উপরে এই সমীক্ষা করা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে বিজেপি ২০১২ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলকে টপকে আরও ভালো ফল করতে চলেছে। আর তার মূল কৃতিত্ব নরেন্দ্র মোদীর। মুখ্যমন্ত্রী থেকে প্রধানমন্ত্রিত্বের আসনে বসা মোদীর দলকেই রাজ্যের দায়িত্ব তুলে দিতে চাইছেন গুজরাতি জনতা। পাশাপাশি কংগ্রেসের প্রতি বিশ্বাসযোগ্যতা নতুন করে তৈরিই হয়নি, এমনটাই বলছে টাইমস নাও-এর সমীক্ষা রিপোর্ট।
গুজরাতে ২০১২ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে তিনজন মুখ্যমন্ত্রী এসেছেন। এঁদের মধ্যে কে বেশি জনপ্রিয়? এই প্রশ্নে ৬৭ শতাংশ মানুষ নরেন্দ্র মোদীকে ভোট দিয়েছেন। আনন্দীবেন প্যাটেল পেয়েছেন ২০ শতাংশ ভোট। এবং বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি পেয়েছেন ১৩ শতাংশ ভোট।
প্রশ্ন ছিল কোন দলের গুজরাত নির্বাচনে জেতা উচিত। সেই প্রশ্নে ৫০ শতাংশ মানুষ বিজেপিকে বেছে নিয়েছেন। কংগ্রেসকে বেছেছেন ৪৪ শতাংশ মানুষ। শঙ্কর সিং বাঘেলার দলকে বেছেছেন ২ শতাংশ মানুষ আম আদমি পার্টিকে বেছেছেন ১ শতাংশ ও অন্যান্যদের ৩ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছেন।
সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে, ২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি পেতে চলেছে ৫২ শতাংশ ভোট। কংগ্রেস পেতে পারে ৩৭ শতাংশ ভোট ও অন্যান্যদের ঝুলিতে যেতে পারে ১১ শতাংশ ভোট। ২০১২ সালে বিজেপি পেয়েছিল ৪৮ শতাংশ ভোট। সেক্ষেত্রে এবছর ভোটের শেয়ার বাড়তে পারে। অন্যদিকে কংগ্রেস ৩৯ শতাংশ থেকে কমে ৩৭-এ নামতে পারে। অন্যান্যদের ভোটের শেয়ারও ১৩ শতাংশ থেকে কমে ১১-তে নামতে পারে।
তবে এক্ষেত্রে ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটের ফলাফল খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিজেপি ২০১৪ লোকসভা ভোটের নিরিখে বিধানসভা ভিত্তিক ৬০ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। কংগ্রেস পেয়েছিল ৩৩ শতাংশ ভোট। অন্যদিকে বাকীরা পেয়েছিল ৭ শতাংশ ভোট। তবে তিনবছরে ভোটের শতাংশ ভাগাভাগিতে যে পরিবর্তন এসেছে তা লক্ষ্যণীয়।
এবার আসা যাক ভোটের আসনের ক্ষেত্রে। টাইমস নাও সমীক্ষা বলছে, বিজেপি আসন্ন বিধানসভা আসনে ১১৮-১৩৪টি আসন পাবে। কংগ্রেস পেতে পারে ৪৯-৬১টি আসন। অন্যান্যরা জিততে পারে ০-৩টি আসন।
২০১২ সালের বিধানসভা ভোটের ফলাফল দেখলে বোঝা যাবে, বিজেপি সেবার পেয়েছিল ১১৫টি আসন। কংগ্রেসের ঝোলায় গিয়েছিল ৬১টি আসন ও অন্যান্যরা ৬টি আসন পেয়েছিল। ২০১৪ সালের আসন সংখ্যা অনুযায়ী বিজেপির ভাগে ছিল ১৬৫টি বিধানসভা আসন। কংগ্রেসের ভাগে ছিল ১৭টি আসন ও বাকীরা কোনও আসন জোটাতে পারেনি। সেদিক থেকে দেখলেও তিনবছরে ভোটের শেয়ার বা আসন দুটোই বিজেপির কমে গিয়েছে।