স্টেশনে ওয়াইফাই পরিষেবা কীভাবে দেয় গুগল রেলটেল, জানলে অবাক হবেন
প্রতিটি বড় স্টেশনে ওয়াই-ফাই পরিষেবা দিতে কীভাবে কাজ করে গুগল রেলটেল, রয়েছে অনেক বাধা- বিপত্তিও।
দেশের প্রতিটি বড় রেলস্টেশনে ওয়াইফাই পরিষেবা দেওয়া প্রধানমন্ত্রী মোদীর ডিজিটাল ইন্ডিয়ার অন্যতম লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যেই ২০১৬ সালে রেলটেলের সঙ্গে হাত মেলায় গুগল। ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসেই দেশের প্রথম ওয়াইফাই স্টেশনের স্বীকৃতি পায় মুম্বই সেন্ট্রাল। এখনও পর্যন্ত ১৪০ টিরও বেশি স্টেশনে ওয়াইফাই ব্রডব্যান্ড পরিষেবা চালু করা হয়েছে। ২০১৮ সালের মধ্যে ৪০০টিরও বেশি স্টেশনে ওয়াইফাই পরিষেবা চালুর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।
কী কারণে গুগল ভারতীয় রেলের সঙ্গে পার্টনারশিপ করল তা যথেষ্টই যুক্তিসঙ্গত। গুগলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রেলটেলের বর্তমানে ৪৫ হাজার কিমি অপটিক ফাইবার ইন্টারনেট রয়েছে, যা ৪ - ৫ হাজার স্টেশনে বিস্তৃত। কিন্তু সমস্যা হল এগুলি সবই তারযুক্ত। ফলে ওয়াইফাই ব্রডব্যান্ডের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হচ্ছিল রেলটেলকে। এছাড়াও প্রতিটি স্টেশনেরই নিজস্ব কিছু সমস্যা রয়েছে। যেমন খোলা জায়গায় রাউটার বসালে, সিগন্য়াল ছড়িয়ে পড়তে পারে, সেক্ষেত্রে ওয়াইফাই থাকলেও তার গতি হবে খুবই কম। ফলে স্টেশের ছাদে ৫০ মিটার দুরত্বে রাউটার বসানোর কাজ শুরু করে গুগল। সেইসঙ্গে ফুটওভারব্রিজের নিচেও ওয়াইফাই রাউটার বসালে তাতে অসুবিধে হবে বলে গুগলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
প্রথমেই গুগল যেটা করল তা হল বড় স্টেশনগুলিতে ওয়াইফাই স্পটগুলিকে চিহ্নিত করল, এরপর সেই রিপোর্ট পাঠানো হল রেলটেলের কাছে। রেলটেল অনুমোদন দেওয়ার পরই কাজ শুরু করে দেয় গুগল। তবে স্টেশনগুলিকে ওয়াইফাই জোন করা হলেও সমস্যা থেকেই যাচ্ছে। যারমধ্যে অন্যতম হল রিলায়েন্স জিও। এই স্টেশনগুলিতে ওয়াইফাই পরিষেবা থাকলেও তা মাত্র ৩০ মিনিটের জন্যই বিনামূল্যে পাওয়া যায়। কিন্তু সস্তার জিও আজকাল হাতে হাতে। আর জিও ৪জি-র স্পিডও খুবই ভাল। ফলে গুগল রেলটেলের ওয়াইফাই অনেকেই লগইন করছেন না। তাঁদের কাছে জিও-ই সেরা বিকল্প। সমস্যা আরও আছে, একসঙ্গে বেশি ট্রেন স্টেশনে ঢুকলে যাত্রীদের চাপও বাড়ে। তখনই পড়ে যায় ওয়াইফাই স্পিড।
তবে ধীর গতিতে হলেও এগোচ্ছে গুগল রেলটেলের ব্যবহারকারীর সংখ্যা। জিও লঞ্চ করার সময়ে গুগল রেলটেলের ইউজার্স ৫০ লক্ষ হলেও বর্তমানে তা বেড়ে ৬৫ লক্ষ হয়েছে বলে দাবি রেলের।