এই প্রথমবার লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের চেয়ে বিজেপি বেশি প্রার্থী দিয়েছে
দু'হাজার ঊনিশের লোকসভা নির্বাচনের তিনটি দফা শেষ হয়েছে। ভোটগ্রহণ হয়ে গিয়েছে অর্ধেকের বেশি আসনে। বাকি রয়েছে আরও চারটি দফা যার অন্তিমটি অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৯ মে। ফল ঘোষিত হবে ২৩ মে।
দু'হাজার ঊনিশের লোকসভা নির্বাচনের তিনটি দফা শেষ হয়েছে। ভোটগ্রহণ হয়ে গিয়েছে অর্ধেকের বেশি আসনে। বাকি রয়েছে আরও চারটি দফা যার অন্তিমটি অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৯ মে। ফল ঘোষিত হবে ২৩ মে।
এবারের লোকসভা নির্বাচনে একটি অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে। ভারতের নির্বাচনী ইতিহাসে এই প্রথমবার শাসকদল বিজেপি শতাব্দী-প্রাচীন কংগ্রেসের থেকে বেশি আসনে প্রার্থী দিয়েছে। ৫৪৩ আসন বিশিষ্ট সংসদের নির্বাচনে বিজেপির যেখানে প্রার্থী দাঁড়িয়েছেন ৪৩৭জন, সেখানে কংগ্রেসের হয়ে এবারে ভোটে দাঁড়িয়েছেন ৪২৩জন। গতবার সেখানে বিজেপির তরফ থেকে ৪২৮জন এবং কংগ্রেসের তরফ থেকে ৪৬৪জন প্রার্থী দাঁড়িয়েছিলেন।
কংগ্রেসের কম প্রার্থী মানে তারা বেশি জোট তৈরী করতে সফল হচ্ছে?
বিজেপির কাছে কংগ্রেসের এই 'পরাজয়' অবাক করেছে বেশ কিছু পর্যবেক্ষককেই কারণ স্বাধীনতার সময় থেকে কংগ্রেসই এদেশের প্রকৃত জাতীয় দল হিসেবে পরিচিত এবং বিজেপির উত্থান অনেক পরে এবং সারা দেশে তাদের শিকড় ছড়াতে বেশ কিছু সময়ও লেগেছে। কংগ্রেস অতীতে বেশ অনেকবার একক ক্ষমতায় দেশ শাসন করলেও বিজেপি সেই সুযোগ পায় ২০১৪ সালেই প্রথম যখন নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে তারা একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে আর কংগ্রেস তাদের ইতিহাসের জঘন্যতম ফল করে (মাত্র ৪৪টি আসন জেতে)।
কংগ্রেস ও বিজেপির শিবিরে এই নিয়ে পৃথক বিশ্লেষণ রয়েছে। কংগ্রেসের মতে তাদের প্রার্থীর সংখ্যা কমে যাওয়ায় এটাই পরিষ্কার হয় যে তারা এখন বাস্তববাদী ভূমিকা পালন করছে, অন্যান্য বিভিন্ন দলের সঙ্গে জোট করে নির্বাচনে যাচ্ছে। বিজেপির সেখানে বক্তব্য, কলেবরে তারা কংগ্রেসের চেয়ে বড় এবং কংগ্রেস নিজেদের যতটা না জোর, তার চেয়ে বেশি সংখ্যক আসনে লড়াই করছে যার অর্থ জোট তৈরীর কাজে তারা ব্যর্থ।