মহাত্মা গান্ধীর এই উবাচগুলি আজও অনুপ্রাণিত করে সমাজ-ভাবনাকে
দেশ ও জাতীর গড়ে ওঠার নেপথ্যে থাকে বহু মানুষের আত্মবলিদান। যাঁদের জীবন-দর্শন ঘিরেই উদ্বুদ্ধ হয় একটা গোটা জাতি, একটা সমাজ।
দেশ ও জাতীর গড়ে ওঠার নেপথ্যে থাকে বহু মানুষের আত্মবলিদান। যাঁদের জীবন-দর্শন ঘিরেই উদ্বুদ্ধ হয় একটা গোটা জাতি, একটা সমাজ। দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় দেশকে অহিংসার পথ ধরে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার রাস্তা দেখিয়েছিলেন মহাত্মা গান্ধী। তাঁর ১৫০ তম জন্মদিনে দেখে নেওয়া যাক গান্ধীজীর কিছু বিশেষ বাণী, যা আজও উদ্বুদ্ধ করে সমাজকে।
জীবন দর্শন
জীবন দর্শন সম্পর্কে গান্ধীজীর একটি এমর উক্তি হল- 'জীবন নশ্বর, তাকে অমর করতে শেখো।' এই উক্তি যুগে যুগে তারুণ্যকে নতুন উদ্যমে এগিয়ে যেতে শিখিয়েছে।
মানবিক গঠন
মানবিক গঠন কেমন হওয়া উচিত? মানসিক বিকাশই বা কেমন হওয়া উচিত? এমন সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে গান্ধীজীর আরও একটি বাণী-'একজন মানুষ তার চিন্তার দ্বারা পরিচালিত, তার ভাবনার মতোই তার ভবিষ্যতের চেহারা হয়।'
ক্ষমতা নিয়ে তাঁর মত
ক্ষমতা কীভাবে ব্যবহার হতে পারে? এই কৌতূহল নিরসন করে গান্ধীজীর বক্তব্য, 'দুর্বল মানুষ ক্ষমাশীল হতে পারে না, ক্ষমা শক্তিমানের ধর্ম'।
মনোবল কীরকম হওয়া প্রয়োজন?
শক্তির উৎব আর মনোবলের মধ্যে সম্পর্ক কী, এমন প্রশ্ন অনেকের মনেই জাগতে পারে। এক্ষেত্রে গান্ধীজীর একটি বাণী উল্লেখ্য, 'শক্তি দেহের ক্ষমতা থেকে আসে না, আসে মনের বলের মাধ্যমে'।
মানসিক নিয়ন্ত্রণ
নিজেকে মানসিকভাবে নিয়ন্ত্রিত রাখবার জন্য কীরকম মনোভাবের প্রয়োজন? উত্তর দিচ্ছে গান্ধীজীর আরও একটি উবাচ-' নিজেকে পালটাও, নিজকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে'।
অহিংসার পাঠ
অহিংসার পাঠ তিনি আজীবন সারা বিশ্বকে পড়িয়ে এসেছেন। আফ্রিকা থেকে ভারত, তাঁর দেখান রাস্তায় চলে শিখেছে আহিংসা আন্দোলনের প্রাসঙ্গিকতা। গান্ধীজী বলেছেন,'অহিংসভাবে তুমি গোটা বিশ্বকে আন্দোলিত করতে পার।'
'গোটা বিশ্বকে অন্ধ করে দেবে ..'
অহিংসার নজরে সকলকে দেখা উচিত। এমনই শিক্ষা দিয়েছে গান্ধীজীর আরও এক বাণী-'চোখের বদলে চোখ গোটা বিশ্বকে অন্ধ করে দেবে'।