৯ লক্ষ মারাঠার নীরব প্রতিবাদে সরগরম মুম্বইয়ের রাস্তা, জানুন বিস্তারিত
মারাঠা ক্রান্তি মোর্চার মৌন মিছিলের জেরে এদিন গোটা মুম্বই-ই প্রায় স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। ঠিক কী হয়েছে এই আন্দোলন ঘিরে তা জেনে নেওয়া যাক একনজরে।
নয় লক্ষ মারাঠা মুম্বইয়ের রাস্তায় বেরিয়ে নীরব প্রতিবাদে শামিল হল। প্রতিবাদ নীরব হলেও তাতে সাড়া দিতে বাধ্য হয়েছে দেবেন্দ্র ফড়নবীশের সরকার। মারাঠা ক্রান্তি মোর্চার দাবি ছিল, নিজের রাজ্যে চারকি ও শিক্ষায় তাদের অগ্রাধিকার দিতে হবে। মিছিল মৌন হলেও গোটা মুম্বইয়ে সাড়া পড়ে গিয়েছে। এদিন গোটা মুম্বই-ই প্রায় স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। ঠিক কী হয়েছে এই আন্দোলন ঘিরে তা জেনে নেওয়া যাক একনজরে।
আন্দোলনের মূল দাবি
নিজের রাজ্যে চাকরি ও শিক্ষা ক্ষেত্রে সংরক্ষণের দাবিতে গতবছরে মহারাষ্ট্রে আন্দোলন শুরু করে 'মারাঠা ক্রান্তি মোর্চা'। গত একবছরে মহারাষ্ট্রের ৫৭টি শহর ঘুরে বুধবার মুম্বই পৌঁছয় নয় লক্ষ মানুষের মৌন মিছিল। তার জেরেই মুম্বই স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে।
রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব
শিবসেনা এবং রিপাবলিকান পার্টি সহ মহারাষ্ট্রের প্রায় সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি শামিল রয়েছে এই ক্রান্তি মোর্চার আন্দোলনে। গতবছরে এই দিনে আন্দোলন শুরু হয়েছিল। মুম্বইয়ে পৌঁছে মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশকে স্মারকলিপি জমা দিয়ে আন্দোলন শেষ হয়।
ক্রান্তি মোর্চার মহামিছিল
গেরুয়া টুপি, গেরুয়া বসন পরে হাতে পতাকা নিয়ে মৌন মিছিল এসে পৌঁছয় মুম্বইয়ের আজাদ ময়দানে। এটা কোনও রাজনৈতিক দলের মঞ্চ নয়, তা বারবার স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
মারাঠা কমিউনিটির প্রতিনিধিত্ব
মহারাষ্ট্রের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩৫ শতাংশ মারাঠা কমিউনিটির সদস্য। গত একবছর ধরে যেভাবে আন্দোলন দানা বেঁধেছে তাতে এদিন মুম্বইয়ে পৌঁছনোর পর মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশের সঙ্গে আলোচনায় বসেন মোর্চার সদস্যরা। সেখানে সংরক্ষণের ক্ষেত্রে বেশ কিছু দাবি সরকার মেনে নিয়েছে।