বিশ্ব ডায়বেটিস দিবসে জেনে রাখুন কোন লক্ষণ দেখে ডায়বেটিস চিনবেন
১৪ নভেম্বর প্রতিবছর আন্তর্জাতিক ডায়বেটিস ফেডারেশন 'বিশ্ব ডায়বেটিস দিবস' পালন করে। কোন কোন লক্ষণ দেখে এই মারণ রোগকে চিনবেন জেনে নিন।
ডায়বেটিস রোগ কোনও মহামারী না হলেও সারা বিশ্বে কোটি কোটি মানুষ এই রোগে আক্রান্ত। এবং ডায়বেটিস সমস্ত বড় রোগকে শরীরে ডেকে আনে। ফলে এটি একজনের থেকে অন্যের দেহে ছড়িয়ে না গেলেও ঘরে ঘরে মানুষ ডায়বেটিসে আক্রান্ত। ১৪ নভেম্বর প্রতিবছর আন্তর্জাতিক ডায়বেটিস ফেডারেশন 'বিশ্ব ডায়বেটিস দিবস' পালন করে। সারা বিশ্বে সচেতনতা গড়ে তুলতেই এই দিনটি পালন করা হয়। এবছরের থিম যেমন মহিলাদের মধ্যে ডায়বেটিস সচেতনতা নিয়ে। কোন কোন লক্ষণ দেখে এই মারণ রোগকে চিনবেন একনজরে জেনে নেওয়া যাক।
[আরও পড়ুন:যৌন মিলনের সময় কেন ভায়াগ্রাও ফেল করতে পারে, জানেন কি]
তৃষ্ণা পাওয়া
রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেলে বারবার জল তেষ্টা পায়। রোগী বেশি জল খেলে তা আবার প্রস্রাবের মধ্য দিয়ে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। আবার তেষ্টা পায়। জল খেতে ইচ্ছে করে। এভাবেই চক্র চলতে থাকলে অবশ্যই সাবধান হোন। প্রয়োজনের বেশি জল তেষ্টা পেলে সচেতন হতে হবে।
[আরও পড়ুন:দৈনন্দিন জীবনে এই পাঁচটা বদল আপনাকে বাঁচাবে স্ট্রোকের হাত থেকে]
খিদে পাওয়া
এমনিতে খিদে পাওয়া ভালো লক্ষণ। আপনার শরীরে মেটাবলিজম ঠিক রয়েছে তা বোঝা যায়। তবে খাবার খাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই যদি ফের খিদে পেয়ে যায় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে একবার রক্তে শর্করার পরিমাণ যাচাই করে নিন।
ঘনঘন প্রস্রাব
রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে গেলে বারবার প্রস্রাব পায়। মহিলাদের ক্ষেত্রে ঋতুচক্রের সময় এমনটা হয়ে থাকতে পারে। তবে তার বাইরে অন্য সময়ে এমন কোনও লক্ষণ দেখলে চিকিৎসকের সঙ্গে কনসাল্ট করে নেওয়া প্রয়োজন।
ওজন হ্রাস পাওয়া
ডায়বেটিক রোগীর ওজন ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে। হঠাৎ করে ওজন হ্রাস পেতে শুরু করলে তা চিন্তার কারণ। প্রস্রাবের সঙ্গে শরীর থেকে প্রয়োজনীয় ফ্যাট ও ক্যালোরি বেশি পরিমাণে বেরিয়ে যায়। যার ফলে হুহু করে ওজন কমে।
নার্ভের সমস্যা
রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে নার্ভ বা স্নায়ুর ক্ষতি করে। ফলে ডায়বেটিসে আক্রান্ত রোগী হাত-পায়ে অসাড়তা লক্ষ্য হতে শুরু করেন। এমন বুঝলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ত্বকের সমস্যা
যেহেতু রক্তের শর্করার পরিমাণ বাড়ে সেহেতু ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। ত্বকের কোনও রোগ হলে ডায়বেটিসে আক্রান্ত রোগীদের সহজে সারতে চায় না। তা দেখে আন্দাজ করা সম্ভব, রক্তে কোনও গোলমাল হলেও হতে পারে।