শহিদ ক্ষুদিরাম বসুর জীবনের বিভিন্ন অধ্যায় আজও উদ্বুদ্ধ করে বৈপ্লবিক চেতনায়
স্বাধীন, উন্নয়নশীল এক ভারত, যেখানে কোনও ভেদ থাকবেনা, থাকবেনা দাসত্বের আতঙ্ক, অত্যাচারের ভয়... এমনই এক ভারতের স্বপ্ন দেখেছিলেন দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামীরা।
স্বাধীন, উন্নয়নশীল এক ভারত, যেখানে কোনও ভেদ থাকবেনা, থাকবেনা দাসত্বের আতঙ্ক, অত্যাচারের ভয়... এমনই এক ভারতের স্বপ্ন দেখেছিলেন দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামীরা। যাঁদের রক্তক্ষয়ী আত্মবলিদানে এদেশ পালন করতে চলেছে স্বাধীনতার ৭২ তম বর্ষকে।
দেশের জন্য আত্মবলিদানের অগ্নিকুণ্ডে যখন হাজার হাজার তরুণের দল ঝাঁপিয়ে পড়েছে, তখন বাংলা দেখেছে এক ১৮ বছরের তরতাজা প্রাণের নির্ভিক রূপ। বাংলা দেখেছে ক্ষুদিরাম বসুকে। গোটা ভারত দেখেছে স্বাধীনতার লড়াইয়ে এক যুবকের আত্মবলিদান। ১১ অগাস্ট ১৯০৮ সাল, ব্রিটিশ শাসকের ফাঁসির আদেশে দেশের জন্য আত্মবলিদান করেন ক্ষুদিরাম বসু। এমন বীর বিপ্লবীর জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ই যেন বিদ্রোহের চেতনায় লিখেছিলেন সর্বেশ্বর।
জন্ম
মেদিনীপুরের কেশপুরের মোহবনী গ্রাম। ব্রিটিশ শাসিত ভারতে সেগ্রামেও ছড়িয়ে পড়েছে স্বাধীনতার জিগির। এমন সময়ে ১৮৮৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন ক্ষুদিরাম বসু। ত্রৈলক্যনাথ বসু ও লক্ষ্মীপ্রিয়া দেবীর ঘর আলো করে জন্ম নেন এই বাংলার এই বীর সন্তান।
কেন নাম হল ক্ষুদিরাম?
ক্ষুদিরামের জন্মের আগে ত্রৈলক্যনাথ ও লক্ষ্মীপ্রিয়ার দুই পুত্র সন্তান আগেই মারা যায়। এই পুত্র সন্তানটি যাতে সুস্থ থাকে, তার জন্য তিন মুঠো খুদের বিনিময়ে নিজের বোনের কাছে ক্ষুদিরামকে তুলে দেন লক্ষ্মীপ্রিয়া। খুদের বিনিময়ে সন্তানকে তুলে দেওয়া হয় বলে ছেলের নাম রাখেন 'ক্ষুদিরাম'।
শিক্ষাজীবন ও দেশপ্রেম
তমলুকের হ্যামিলন্টন স্কুল ও মেদিনীপুর কলিজিয়েট স্কুলের ছাত্র ক্ষুদিরাম ছোট থেকেই ভীষণ ডানপিটে , লড়াকু স্বভাবের ছিলেন। দেশ যখন স্বাধীনতার আন্দলনে ক্রমেই জ্বলে উঠছে এমন এক সময় সত্যেন্দ্রনাথ বসুর সংস্পর্শে আসেন ক্ষুদিরাম। কিশোর ক্ষুদিরামের মনেও জ্বলতে থাকে স্বাধীনতা কামনার মশাল।
ইওরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণ
১৯০৮
সাল,
৩০
এপ্রিলের
রাত।
রাত
সাড়ে
আটটার
সময়
সেদিন
বিহারের
মজফফরপুরের
ইওরোপিয়ান
ক্লাবে
জমে
উঠেছিল
ব্রিটিশ
পুলিশ
অফিসারদের
উল্লাসের
আসর।
আর
সেখানে
ক্ষুদিরাম
বোমা
হামলা
চালান।
ব্রিটিশদের
কাছে
পৌঁছয়
স্পষ্ট
বার্তা..
ভারতীয়রা
আর
সহ্য
করতে
রাজি
নয়
তাঁদের!
ঘটনার
৩
বছর
পর
ধরা
পড়েন
বীর
বিপ্লবী।
১৮
বছরের
ক্ষুদিরামকে
রেয়াত
করেনি
ব্রিটিশ
সরকার।
ফাঁসি
হয়
তাঁর।
দেশ
আজও
কুর্ণিশ
জানায়
এই
বীর
বিপ্লবীকে।