ফেসবুক কি ডিলিট করতে হবে! এই প্রশ্নে তোলপাড় সারা বিশ্ব, জানুন গোটা ঘটনা
গোটা দুনিয়া উত্তাল ফেসবুক ডেটা ফাঁসের ঘটনায়। একনজরে জেনে নেওয়া যাক কী হয়েছে।
হোয়াটসঅ্যাপের প্রাক্তন সহ প্রতিষ্ঠাতা ব্রায়ান অ্যাকটন ফেসবুকের বিরুদ্ধে নতুন প্রচার শুরু করেছেন। ২০১৪ সালে হোয়াটসঅ্যাপকে কিনে নিয়েছিল ফেসবুক। তখন আর এক প্রতিষ্ঠাতা জ্যান কৌউম ফেসবুকে থেকে গেলেও অ্যাকটন বেরিয়ে আসেন। আলাদা ব্যবসা শুরু করেন। তবে এবার বেরিয়ে এসে একগুচ্ছ নয়া অভিযোগ করেছেন। যার সঙ্গে ফেসবুকের গোপনে তথ্য বিক্রির অভিযোগের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। তিনি এক নতুন ফেসবুক বিরোধী প্রচার শুরু করেছেন। পাশাপাশি কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা নামে যে রাজনৈতিক পরামর্শদাতা সংস্থা ফেসবুকের থেকে ইউজারদের তথ্য নিয়ে তা ফাঁস করেছিল তা নিয়েও সরব হয়েছেন। সবমিলিয়ে গোটা দুনিয়া উত্তাল ফেসবুক ডেটা ফাঁসের ঘটনায়। একনজরে জেনে নেওয়া যাক কী হয়েছে।
ইউজারের তথ্য ফাঁস
২০১৬ সালে মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের হয়ে কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা নামে এক রাজনৈতিক পরামর্শদাতা সংস্থা প্রচার করে। এই সংস্থাকেই তাদের বিপুল পরিমাণ ইউজারদের তথ্য ব্যবহারের অনুমতি ফেসবুক দিয়েছিল। যে খবর এখন সামনে আসায় হইচই পড়ে গিয়েছে।
[আরও পড়ুন:ইউজারদের অন্ধকারে রেখে তথ্য চুরির অভিযোগ! জোর বিপদে ফেসবুক ]
তদন্তে হোয়াইট হাউস
হোয়াইট হাউস বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। মার্কিন শেয়ার বাজারে ধস নেমেছে। একদিনের মধ্যে ফেসবুকে ৫ হাজার কোটি ডলারের বেশি সম্পত্তি ক্ষতি হয়েছে। সেই সময়ে ৫ কোটি ফেসবুক ব্যবহারকারীর তথ্য ফাঁস করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
অভিযোগ অস্বীকারের পালা
ফেসবুক এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরে কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। ফেসবুক কর্তারা এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি। এদিকে কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা-ও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ফেসবুক বিরোধী প্রচার
এসবের মাঝে প্রাক্তন হোয়াটসঅ্যাপ প্রতিষ্ঠাতা ব্রায়ান অ্যাকটন #DeleteFacebook নামে একটি প্রচার শুরু করেছেন। তিনি নিজের প্রচারের জন্য এই প্রচার করেছেন নাকি ফেসবুকের উপরে রাগ থেকে তা তাঁর টুইটে স্পষ্ট নয়। ২০১৪ সালে হোয়াটসঅ্যাপকে কিনে নিয়েছিল ফেসবুক। তখন আর এক প্রতিষ্ঠাতা জ্যান কৌউম ফেসবুকে থেকে গেলেও অ্যাকটন বেরিয়ে এসে আলাদা ব্যবসা শুরু করেন। এবার নতুন অভিযোগ করেছেন।
জুকারবার্গকে নিশানা
নির্বাচনের সময়ে কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা নামে সংস্থাকে রিপাবলিকানের জনৈক সমর্থক রবার্ট মের্কের দেড় কোটি ডলার অর্থ সাহায্য করেন। যে খবর সামনে আসার পরে হইচই পড়ে গিয়েছে। কেউ কেউ চাইছেন জুকারবার্গকেও জেরা করা হোক। রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট দুটি দলই তদন্ত চাইছে। এই বিষয়ে উদ্বিগ্ন ইউরোপীয় ইউনিয়নও।
একেরপর এক অভিযোগ
এর আগে ফেসবুকে কাজ করা চামাথ পালিহাপিটিয়া, শিন পার্কার, জাস্টিন রোসেনস্টেইনের মতো কর্তারা নানা সময়ে রণকৌশল নিয়ে সরব হয়েছেন। এবার সেই তালিকায় যোগ হল অ্যাকটনের নাম। ফেসবুকে যেন টালমাটাল অবস্থা চলছে। শেয়ার নেমে গিয়েছে। জুকারবার্গের দিকে অভিযোগের আঙুল উঠেছে। তার উপরে ফেসবুক মুছে ফেলার প্রচার শুরু হয়েছে।