বর্তমান যুগেও ‘আধুনিক দাসত্বের’ শিকার প্রায় ২.৯ কোটি মহিলা, বলছে রিপোর্ট
ইতিহাসের বইয়ে পড়া প্রাচীনকাল বা মধ্যযুগের দাস প্রথার কথা আমাদের সকলেরই কম-বেশি জানা। একইসাথে দক্ষিণ এশিয়ার ইতিহাস বলছে অন্যান্য দেশের পাশাপাশি ভারতেও এই প্রথা দীর্ঘদিন বিরাজ করত। মূলত সামাজিকভাবে অসহায়, দুঃস্থ নারী ও শিশুরাই সবথেকে বেশি শিকার হয়েছে এই দাসপ্রথার। আজকের যুগে গরুর ছাগলের মতো সেই সময় বিভিন্ন প্রয়োজন কেনা হত মানুষদের। কিন্তু বর্তমান যুগে এই দাসপ্রথার কথা ভাবলেই কেমন যেন গা শিউরে ওঠে। অলীক স্বপ্ন হলেও সদ্য প্রকাশিত একটি রিপোর্ট দেখা যাচ্ছে বর্তমান সময়ে আধুনিক দাসত্বের শিকার হয়েছেন প্রায় ২.৯ কোটি মহিলা।

শ্রমিক, বলপূর্বক বিবাহ, চাকর, বন্ডেড লেবার, যৌন কর্মী হিসাবেই এর মধ্যে বেশিরভাগ মহিলাকে ব্যবহার করা হচ্ছে একাধিক দেশে। শুক্রবার এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সম্প্রতি নতুন আশঙ্কার কথা শোনান 'ওয়াক ফ্রি অ্যান্টি স্লেভারি অর্গানাইজেশনের’ সহ প্রতিষ্ঠাতা গ্রেস ফরেস্ট। তাঁর তথ্যানুযায়ী বর্তমানে গোটা পৃথিবীতে প্রতি ১৩০ জন মহিলার মধ্যে ১ জনই আধুনিক দাসত্বের শিকার। যা অস্ট্রেলিয়ার মোট জনসংখ্যার থেকেও অনেকাংশে বেশি।
গ্রেস ফরেস্টের কথা শুনতে অবাক লাগলেও এটা সত্যি যে পৃথিবীর ইতিহাসে যেকোনও সময়ের তুলনায় বর্তমান যুগেই সবথেকে বেশি মেয়ে ও নারীরা আধুনিক দাসত্বের শিকার হয়েছেন। রাষ্ট্রপুঞ্জ অধীনস্থ আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা এবং অভিবাসনের জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থার সম্মিলিত তথ্য সংগ্রহ করেই বর্তমান পরিসংখ্যান তৈরি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। ওই রিপোর্টেই দেখা যাচ্ছে গোটা দেশে বলপূর্বক যৌন নিপীড়নের ক্ষেত্রে ৯৯ শতাংশই মহিলা। একইসাথে বলপূর্বক বিবাহের সামগ্রিক পরিসংখ্যানের ক্ষেত্রেও ৮৪ শতাংশই মহিলা।