কেন্দ্রের ‘ইজ অফ লিভিং ইনডেক্স ২০২০’ অনুযায়ী বসবাসের স্বাচ্ছন্দ্য রয়েছে দেশের এই দুই শহরে
দশ লক্ষেরও বেশি জনসংখ্যা অধ্যুষিত শহরগুলির মধ্যে বেঙ্গালুরু, পুনে ও আহমেদাবাদে বসবাসের স্বাচ্ছন্দ্য সবচেয়ে বেশি এবং বরেলি, ধানবাদ ও শ্রীনগরে বসবাসের স্বাচ্ছন্দ্য নিম্নতর, এরকমই জানিয়েছে ইজ অফ লিভিংইনডেক্স ২০২০, যা প্রস্তুত করেছে কেন্দ্রীয় আবাসন ও পূর্ত বিভাগ। দশ লক্ষের কম জনসংখ্যা রয়েছে এমন শহরগুলির মধ্যে শিমলার নাম সবার শীর্ষে রয়েছে, অন্যদিকে বিহারের মুজফ্ফরপুরের স্থান সবচেয়ে নীচে।

প্রসঙ্গত, জীবনযাত্রা স্বাচ্ছন্দ্যের পাশাপাশি ব্যবসায়ে স্বাচ্ছন্দ্যের ওপর জোর দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই ২০২০ সালের মূল্যায়ন অনুশীলনে যোগ দিয়েছিল দেশের মোট ১১১টি শহর। ২০১৮ সালে এ সংক্রান্ত প্রথম সূচক প্রকাশিত হয়। এটি পরিচালনা, পরিচয় ও সংস্কৃতি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সুরক্ষা ও নিরাপত্তা, অর্থনীতি, সাধ্যের মধ্যে বাড়ি, জমি ব্যবহারের পরিকল্পনা, জনসাধারণের উন্মুক্ত স্থান, পরিবহন ও গতিশীলতা, জল সরবরাহ, বর্জ্য–জল ব্যবস্থাপনা, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, বিদ্যুৎ ও পরিবেশের মান সহ ১৫টি মূল্যায়নের মানদণ্ডের ওপর ভিত্তি করে শহরগুলিকে বাছাই করা হয়। ২০২০ সালের সূচকে শহুরে ভারতের কতটা অগ্রগতি হয়েছে তার ওপর ভিত্তি করে এই তালিকা করা হয়।
কেন্দ্রীয় আবাসন মন্ত্রী হরদীপ পুরি বলেন, 'ভারতের অবিচ্ছিন্ন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি তার শহরগুলির দ্রুত প্রসারণে প্রতিফলিত হয়। আজকে ভারত বিশ্বের মধ্যে অন্যতম দ্রুত–বর্ধমান বৃহৎ অর্থনীতির একটি। বর্তমান নগরায়নের হারে, ভারতে আগামী ৩০ বছরের মধ্যে ৫০ শতাংশ দেশের নাগরিক শহরে বাস করবে বলে আশা করা হচ্ছে। পুরী স্বীকার করেছেন যে ক্রমবর্ধমান নগরায়ণ উদ্ভাবন এবং বিকাশের প্রতিশ্রুতি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এটি 'উপলব্ধ সংস্থানগুলিতে প্রচণ্ড চাপ’ ফেলেছে।
দশ লক্ষের বেশি বিভাগের শীর্ষস্থানে রয়েছে ইন্দোরের মিউনিসিপ্যালিটি, এরপরই সুরাত ও ভোপাল। অন্যদিকে গুয়াহাটি, কোটা ও শ্রীনগরের স্থান নিম্নে। দশ লক্ষের কম জনসংখ্যা রযেছে এমন শহরের মধ্যে নেতৃত্ব দিচ্ছে দিল্লি মিউনিসিপ্যাস কাউন্সিল, এরপরই রয়েছে তিরুপতি এবম গান্ধীনগর। অন্যদিকে শিলং, ইম্ফল ও কোহিমা মিউনিসিপ্যালিটি সবার নীচে রয়েছে এই বিভাগে।
মিউনিসিপ্যাল সূচকে ১১৪ টি পৌরসভার বিভাগীয় পারফরম্যান্স পরীক্ষা করা হয়েছে (দিল্লিকে ও তিনটে পুরনিগমকে এনডিএমসি পৃথকভাবে মূল্যায়ন করেছিল)। পাঁচটি ভার্টিকাল যা মোট ২০টি সেক্টর এবং ১০০ টি সূচক নিয়ে গঠিত। এমপিআইয়ের আওতাধীন পাঁচটি ভার্টিকালের মধ্যে রয়েছে পরিষেবা, অর্থ, নীতি, প্রযুক্তি ও প্রশাসন।