সিগারেটের নেশা ছাড়াতে 'ই-সিগারেট' নয়া পথ দেখাচ্ছে,কী বলছে গবেষণা
ধূমপানের নেশা বহুজনের জীবনেই সর্বনাশ ডেকে এনেছে। অনেকেই এই নেশা থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পারেন না।
ধূমপানের নেশা বহুজনের জীবনেই সর্বনাশ ডেকে এনেছে। অনেকেই এই নেশা থেকে নিজেকে মুক্ত করতে পারেন না। বহু নেতিবাচকভাবনার পিছুটান থেকে মুক্তি পেতে, অনেকেই আশ্রয় নেন ধোঁয়ার। আর ধোঁয়াটে আবহের মধ্যে নিজেকে বুঁদ করে রেখে ডেকে নেন নিজের সর্বনাশকে।
ধূমপান থেকে মুক্তি পেতে এক নয়া উপায়ের কথা জানাল এক সাম্প্রতিক গবেষণা। নর্থ ইস্ট হিলস বিশ্ববিদ্যালয় , ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম নিয়ে কিছুদিন আগেই এক গবেষণা করে। আর সেই গবেষণা থেকে উঠে আসে ই-সিগারেট বা ইলেকট্রনিক সিগারেটের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যহানির সম্ভাবনা কম থাকে।
কী এই ই-সিগারেট?
এটি একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস। যার দ্বারা ধূমপানের নেশা তৈরি হয়। এর মধ্যে একটি তরল থাকে, যাকে উত্তাপ দিলে, তা মূলত বাষ্প তৈরি করে। আসলে এর দ্বারা ধূমপান নয়, বরং বাষ্প সেবন হয় বলে দাবি নির্মাতাদের।
কী বলছে গবেষণা
ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিস্টেম সিগারেটের পরিবর্ত হিসাবে ব্যবহার হতে পারে। এমনই দাবি গবেষণার। আর সিগারেটের থেকে এর দ্বারা স্বাস্থ্যহানি কম হয়। ফলে ধূমপান হঠাৎ করে ছাড়ার ক্ষেত্রে ই-সিগারেট সহজ পন্থা হতে পারে।
যাঁরা সিগারেট ছাড়তে চাইছেন...
নাগরিকদের ধূমপানের নেশা ছাড়াতে বার বার বহু উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তা সত্ত্বেও সিগারেটের ধোঁয়াটে নেশা থেকে মুক্তি পাচ্ছেন না অনেকেই তাঁদের জন্য এই সিগারেটের নেশা কাটাবার অন্যতম উপায় ই সিগারেট।
স্বাস্থ্যের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা কম
গবেষণা বলছে ই-সিগারেট সেবনে তামাকজাত সমস্যাগুলি থেকে দূরে থাকা যায়। এই ই-সিগারেটে ফুসফুসের ক্ষতির সম্ভাবনা এক্কেবারেই কম বলে দাবি গবেষণার।
কম বয়সীদের কাছে জনপ্রিয়
ই-সিগারেটের জনপ্রিয়তা কম বয়সীদের মধ্যে ক্রমেই বেড়ে চলেছে বলে মত গবষকদের। সমীক্ষা বলছে, ২৩ থেকে ৩৫ বছর বয়সীরা ই সিগারেট বেশি ব্যবহার করতে পারে।