For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts
Oneindia App Download

দুর্গাপুজো স্পেশাল গল্প : রেডিও

শরতের আকাশে পেঁজা তুলোর সারি। রোদটাও চেনা। শুধু অচেনা শহর। মা দুর্গার আগমণী বার্তা বয়ে আনার উপলক্ষ্য থাকলেও, নেই কাশ বন, শিউলি কুড়ানো সুগন্ধী সকাল।

  • |
Google Oneindia Bengali News

শরতের আকাশে পেঁজা তুলোর সারি। রোদটাও চেনা। শুধু অচেনা শহর। মা দুর্গার আগমণী বার্তা বয়ে আনার উপলক্ষ্য থাকলেও, নেই কাশ বন, শিউলি কুড়ানো সুগন্ধী সকাল। পাল পাড়ার চেনা মেঠো গন্ধ, খড়-বিচুলি, নির্মীয়মান প্যান্ডেলের বাঁশের কাঠামোয় স্কুল ফেরত শৈশবের বাদুরঝোলা- সবই শোভনকে টানে ঠিক আগেরই মতো। তবু সে অসহায়। আফসোস হয় ভেবে যে রেডিও-তে মহিষাসুরমর্দিনী এবার আর শোনা হবে না তার। তবু তারই মাঝে উঁকি দেয় এক চিলতে সুখ। পুজোর মুখে কলকাতা থেকে রাতের ফ্লাইটে শোভনের শহরে আসছে কোনও বিশেষ জন। সেসুখে অফিসেও মন বসে না শোভনের।

দুর্গাপুজো স্পেশাল গল্প : রেডিও

ফ্লাইট ল্যান্ড করার ঘণ্টা দেড়েক আগেই এয়ারপোর্টে পৌঁছে যায় বাঙালি বাবু। বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বৈদ্যুতিন সময়দ্রষ্টা জানায়, রাত আটটা বেজে দশ মিনিট। বাড়ি পৌঁছতে বেশ রাত হয়ে যাবে। খাওয়া-দাওয়া সারতে তো আরও দেরি। এমতাবস্থায় ক্ষিদে ক্ষিদে ভাব মেটানোর মোক্ষম ওষুধ, এক প্যাকেট হর্লিক্স বিস্কুট। অফিস থেকে বেরোনোর পথে ভাগ্যিস তার প্রয়োজন অনুভব করেছিল শোভন, তাই তো এ যাত্রায় রক্ষে।

এক প্যাকেট বিস্কুট ও হাফ লিটার জল তারিয়ে তারিয়ে উদরস্থ করে ও রকমারি মানুষের হরেক কার্যপদ্ধতি পর্যবেক্ষণে সময় যে বেগে ধায়, টেরই পায় না শোভন। ঘড়ির কাটা সাড়ে ৯টা ছুঁতেই বিমানবন্দরের অ্যারাইভাল গেটের বাইরে টাঙানো ইলেকট্রনিক বোর্ডের দিকে সে এগিয়ে যায়। খবর আসে, প্রিয়জনের আকাশ-রথ মাটি ছুঁয়েছে। অনতিবিলম্বে শোভনের চোখ-মুখে কর্মব্যস্ত দিনের ফ্যাকাশে ক্লান্তি রাতারাতি উধাও হয়। ভিড় ঠেলে গেটের অদূরে রেলিং ধরে দাঁড়িয়ে তার অপেক্ষা শুরু হয়।

অপেক্ষা মাস, সপ্তাহ, দিন, ঘণ্টা ঘুরে আর মাত্র কয়েক মিনিট কিংবা সেকেন্ডের কাটায় দণ্ডায়মান। বিমানবন্দরের এগজিট গেট বা বাহির পথ দিয়ে একে একে বেরিয়ে আসতে শুরু করেন বিমানের যাত্রীরা- ঢাউস ব্যাগে উপচে পড়া ট্রলি ঠেলে কেউ একা, কেউ দোকা তো কেউ সবান্ধবে। কিন্তু যার জন্য অপেক্ষা সেই তো ডুমুরের ফুল। এবার অস্থির হয়ে পড়ে শোভনের মন। কপাল কুচকে নেমে আসে চিন্তা। তবু তার কৌতুহলী দৃষ্টি স্থির থাকে সমুখপানে।

এভাবে বেশ কিছুটা সময় কেটে যায়। তারও কিছু পরে অপেক্ষার অবসান হয়। স্ত্রী নন্দিতা দূর থেকে হাত নাড়াতেই স্বস্তিসূচক হাসি ফোটে শোভনের মুখে। পরক্ষণে বাড়তে থাকে তার হৃদস্পন্দনও- ঠিক সেই দিনের মতো, যেদিন 'ভালোবাসি' বলার নিমিত্তে মাটির ভাড়ে গরম চা দারুণ কম্পনে ছলকেছিল হাতে। রাতারাতি পাল্টে গিয়েছিল আকাশ, আলো, গাছ-গাছালির রং-রূপ, বৃষ্টিসিক্ত পাখির ডানা। চেনা রাস্তা, অলি-গলিও হেঁটেছিল নিরুদ্দেশের সন্ধানে।

ছ-মাসের অপেক্ষা যে শেষ, তা বিশ্বাসই হয় না আদ্যন্ত বাঙালি-আবেগপ্রবণ আধা-শহুরে যুবকের। মনে মনে ওই মুহূর্তকে ধরে রাখার ফন্দি আঁটে সে। পরক্ষণে তার সম্বিতও ফেরে। হাত নেড়ে নন্দিতাকে এগজিট পয়েন্টের মুখে আসতে বলে শোভন। নিজেও গিয়ে দাঁড়ায় সেখানে। সেকেন্ডের কাটার সঙ্গে তাল ঠুকে চলে তার করগোনা। তা শেষ হওয়ার আগেই শোভনের সামনে হাজির হয় নন্দিতা। একে অপরের দিকে তাকিয়ে থাকে দম্পতি। কে কতটা রোগা হয়েছে, ছলছলে চোখে তার হিসেব কষা চলে প্রথম চোটে। পরক্ষণে অস্ফূট হাসিও হয় সঙ্গী। শুরু হয় বাড়ি ফেরার তোড়জোড়। দশের কাটা পেরোনো সেই রাতে এয়ারপোর্ট ট্যাক্সিই হয় তাদের সারথি। নন্দিতা পৌঁছেছে, মুঠোফোনে সেই খবর পৌঁছয় কলকাতার দুই বাড়িতে।

খোদ কলকাতা থেকে ১৫ কিমি দূরে শহরতলিতে শোভনের পৈতৃক বাড়ি। নন্দিতার বাবার ফ্ল্যাট রঘুনাথপুরে। ইউনিভার্সিটিতে পড়তে গিয়ে একে অপরের কাছে আসা, দুই পরিবারের একাত্মতা, বিয়ে ঠিক হওয়া- সবই চলছিল সোজাপথে। আচমকাই প্রবল ঝড়ে লন্ডভন্ড হয় সাজানো বাগান। হঠাৎ ধরা পড়া মারণ রোগে নন্দিতার মা গত হন। মৃত্যু-পথযাত্রীর শেষ ইচ্ছায় শোকের আবহেই তড়িঘড়ি দুই হাত এক হয়। নমঃ-নমঃ করে মেটে বিয়ে। সেসব লড়াইয়ের স্মৃতি আজও ব্যাথা দেয় নব দম্পতিকে।

শোভন বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত। নন্দিতা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের শিক্ষিকা। সুখ-দুঃখে চলছিল তাদের সংসার। তাও স্থায়ী হয় না। শোভনের হেড অফিস তাকে বেঙ্গালুরু পাঠাবে বলে ঠিক করে। শত চেষ্টা করেও অফিসকে বোঝাতে পারে না সে। চটজলদি নন্দিতার পক্ষেও শোভনকে সঙ্গ দেওয়া সম্ভব হয় না। তার স্কুলে হাজারও সমস্যা। অগত্যা একাই কলকাতা ছাড়ে বছর তিরিশের যুবক। তারপর কেটে যায় ছ-মাস। বাবা-মা-স্ত্রীর মুখ দেখার জন্য অস্থির হয়ে ওঠে শোভন। ওদিকে নন্দিতারও উড়ু-উড়ু মন। দুই পরিবারের সম্মতিতে সেও পাড়ি জমায় দক্ষিণের অভিজাত শহরে।

এলেই তো আর হল না। অচেনা শহরে নতুন করে সংসার সাজানো কী মুখের কথা। নতুন লোক, নতুন পরিবেশ, নতুন চ্যালেঞ্জ সে সামলাতে পারবে তো, ট্যাক্সিতে বসে সেসবই ভাবছিল নন্দিতা। শোভনের ডাকে তার হুঁশ ফেরে। গাড়ি দাঁড়ায় বাড়ির মুখে। ট্যাক্সি ড্রাইভারকে ভাড়া বুঝিয়ে লট-বহর নিয়ে ঘরে পৌঁছয় দম্পতি। রান্নার ঝক্কি নেই। কলকাতা থেকে নিজের হাতে করা রুটি, শাশুড়ির রাঁধা খাসির মাংস, শ্বশুড়ের পাঠানো নকুড়ের মিষ্টি আকাশপথে এনেছেন নন্দিতা। তার বাবার তরফে চা-ও পৌঁছেছে অন-ডিমান্ডে। ওদিকে পুজোর মুখে শোভন-নন্দিতাকে নতুন জমা-কাপড় পাঠিয়েছেন আত্মীয়রা। কলকাতায় থাকলে যেমনটা হত আর কী!

সবই হচ্ছে, তবু কোথাও যেন সবই খাপছাড়া। মহালয়ার সাত দিন আগেও পুজোর গন্ধ যেন চাতকের জল চাওয়া। বেঙ্গালুরুতে বাঙালির অভাব নেই। পাল্লা দিয়ে বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশনের ভিড়ও কম নয়। মস্ত বড় পুজোও হয় সেখানে। তবু সবটাই যেন বিশ্বায়ন ঘেঁষা। থিমের যুগে দামি দুর্গার মতোই সব কেমন যেন আতিশয্যে ভরপুর। সেই মাটির টান, বীরেন্দ্রকৃষ্ণের চণ্ডীপাঠ, মহালয়ার গান চাইলেও আর পায় না শোভন।

চাইলেই কী পাওয়া যায় কাকভোরে রেডিও-তে সেই ব্যারি টোনের 'আকাশবাণী কলকাতা, শুনবেন মহিষাসুরমর্দিনী'! মায়ের ছলছলে চোখের ভক্তি, বাবার আবেগে মাখা 'জাগো তুমি জাগো' শোনা হবে না, ভেবেই মন খারাপের দেশে মন চলে যায় শোভনের। পরক্ষণে বাস্তবকে মেনেও নেয় সে। মনের সঙ্গে কথা বলে শোভন।

রাতে খাওয়া-দাওয়া সেরে ক্লান্ত শরীরেই কিছু জিনিস ব্যাগ থেকে বের করে আলমারিতে রাখে নন্দিতা। শোভন তাকে সাহায্য করে। ব্যাগের গভীরে আচমকাই বাঙালি বাবুর হাতে ঠেকে শক্তকিছু। সযত্নে কাগজে মোড়া মাঝারি মাপের এই বস্তুটি কী, স্ত্রীকে প্রশ্ন করে শোভন। খানিক হেসে স্বামীকে তা খুলে দেখতে বলে নন্দিতা। চোখে-মুখে শিশু সুলভ বিস্ময় নিয়ে প্যাকিং খুলে বছর তিরিশের ওই যুবক তো থ। বাড়ির সেই পুরনো রেডিও এখানে কেন, স্ত্রীর কাছে জানতে চায় শোভন। শুরুতে মুখ বন্ধই রাখে বছর তিরিশের গৃহকর্ত্রী। শুধু হেসেই চলে সে। শোভনের অস্থিরতা দেখে শেষে আর রহস্য চেপে রাখতে পারে না নন্দিতা। জানায়, রেডিওটি পাঠিয়েছেন তার শাশুড়ি মা।

শোভনের বাবা ছিলেন পোস্ট অফিসের বড়বাবু। কোনও এককালে আকাশবাণী কলকাতার যুববাণী বিভাগে ঘোষক, আবৃত্তিকার ও নাট্যকার হিসেবেও নাম করেছিলেন বলে শোনা যায়। এখন মঞ্চ নাটক পরিচালনাই তাঁর নেশা। বৃহত্তর জগতে অবাধ বিচরণ। উল্টোদিকে জ্ঞান হওয়ার পর থেকে মাকে পরিবার সামলাতেই দেখেছে শোভন। সংসারের খুটিনাটি তাঁর নখদর্পনে। বাইরের পৃথিবী ততটা আপন ছিল না তাঁর। বাঙালি বাড়ির গৃহিনীরা যেমন হন আর কী!

ছাপোশা বাঙালি বাড়ির আর পাঁচ জন মহিলার মতো শোভনের মায়ের জগতও ছিল তাঁকে ঘিরেই। বাবার মতো বড় না হলেও এও বা কম কী! সংসারের যাবতীয় ঝড়-ঝাপটা সামলে, পুঙ্খানুপু্ঙ্খ হিসেব রেখেই দিন কেটে যেত তাঁর। ভক্তিভরে পুজো-আচ্ছাও চলতো সমানে। সিংহাসনে বাঙালিদের পরিচিত প্রায় সব দেবতাই অধিষ্ঠিত ছিলেন। ষষ্ঠী থেকে দশমী, দুর্গাপুজো চলাকালীন প্রয়োজনীয় সব রীতিই মাকে পালন করতে দেখেছে শোভন। মহালয়ার ভোরে রেডিও, বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র, বাণী কুমার ও পঙ্কজ কুমার মল্লিকের ত্রিবেণী সংগমের পরিচয়, মায়ের 'ওঠ বাবু' ডাক ও স্পর্শেই পেত শোভন।

শোভনের বেশ মনে পড়ছে, কোনও এক মহালয়ার ভোরে জানলা দিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে ছিলেন তার মা। কাছে ডেকে শোভনকেও সেদিকে তাকাতে বলেছিলেন। অগাধ বিশ্বাসে জানিয়েছিলেন, এদিনই নাকি পুষ্পক রথে আকাশ থেকে নেমে আসেন মা দুর্গা। স্নিগ্ধ মনে নাকি তা দেখাও যায়। শিশুমনে সেই বিশ্বাস গেঁথে গিয়েছিল শোভনের জীবনে। তাই নাস্তিক হয়েও মহালয়ার ভোরে, আবছা আকাশে তাকিয়ে থাকা অভ্যাসে পরিণত হয় তার। কী জানি কী খুঁজে পায় সেখানে। এক লহমায় সেসবই চোখের সামনে ভেসে ওঠে শোভনের। ছলছল করে ওঠে মন।

'কী হল গো তোমার', স্ত্রী নন্দিতার প্রশ্নে সম্বিত ফেরে শোভনের। মায়ের পাঠানো রেডিও-র দিকে তাকিয়ে পুরনো দিনের কথা মনে পড়ে যায় তার। নন্দিতা জানায় যে তার শাশুড়ির বিশ্বাস, বেঙ্গালুরুতেও ওই রেডিও-তে নাকি শোনা যাবে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের মহিষাসুরমর্দিনী। তাই আসার সময় শাশুড়ি মা তার হাতে সেই রেডিও তুলে দেন বলে শোভনকে জানায় নন্দিতা।

'তুমি না করলে না কেন', স্ত্রীকে প্রশ্ন করে শোভন। নন্দিতার কথায়- তা খারাপ দেখায়। মা তার ছেলেকে ওই উপহার সরল বিশ্বাসে পাঠিয়েছেন। বউমাকে আবার চুপিচুপি জানিয়েছেন, এই করাগণ্ডার বাজারে ছেলেকে তিনি আর কী-ই বা দেবেন। বাড়ির এই পুরনো রেডিও-ই তাঁর সবেধন নীলমণি। মহালয়ার ভোরে অন্তত তা ছেলের কাজে আসবে বলে বিশ্বাস করেন ওই ষাটোর্ধ্ব মহিলা। ধারণা, এভাবে অন্তত একবার হলেও মায়ের কথা ভাববে শোভন।
মায়ের কথাগুলো শোভনের মর্মে আঘাত করে। সে আবেগতাড়িত হয়ে পড়ে। মায়ের টান আরও একবার অনুভব করে বছর তিরিশের বাঙালি যুবক। আর কথা না বাড়িয়ে রেডিওখানি সযত্নে আলমারিতে তুলে রাখে শোভন। অ্যান্ড্রয়েড, আইফোন, সুপার জি-র যুগেও মনে এই নির্ভেজাল সরল ঐকান্তিকতা লালন করা বোধহয় মায়েদের পক্ষেই সম্ভব, তা সন্তানরা ছাড়া আর কেই বা বুঝবে! সে রাতে ঘুম এল না শোভনের। মুঠো ফোনে রোজ দু-বার মায়ের সঙ্গে কথা বলেও কত কী যে বলা বা শোনা বাকি থেকে যায় তার। অনর্গল সেসবই ভেবে চলে শোভন।

এরই মাঝে কেটে যায় সপ্তাহ। মহালয়ার আগের রাতে অফিস থেকে দেরিতে ফেরে শোভন। খাওয়া-দাওয়া সেরে চুপচাপ শুয়েও পড়ে সে। কিছু পরে ঘুমিয়ে পড়ে নন্দিতাও। ভোরে আচমকাই ঘুম ভেঙে যায় তার। অন্ধকারে পাশে শোভনকে না দেখে চমকে যায় নন্দিতা। দু-বার স্বামীকে ডেকেও সাড়া না পেয়ে ঘাবড়ে যায় গৃহিনী। অন্ধকার হাতড়ে ঘর থেকে বেরিয়ে ডাইনিং-এ গিয়ে দেখে, জানলার কাছে বসে আছে শোভন। আকাশের দিকে চোখ। পাশে রাখা তার মায়ের পাঠানো সেই রেডিও। শব্দহীন, তবু যেন তাতে বেজে চলেছে 'রূপং দেহী, জয়ং দেহী'।

ঠিক সেই মুহূর্তে নিজেকে হারিয়ে ফেলে নন্দিতাও। স্বামীর পাশে দাঁড়িয়ে সেও কেঁদে চলে। নিজের স্বর্গীয় মায়ের কথা মনে পড়ে তার। প্রিয় মানুষকে ওই আকাশে খুঁজে বেড়ায় নন্দিতা। এভাবে কেটে যায় অনেকটা সময়। কখন যে আলো ফোটে, টেরও পায় না দম্পতি। হুঁশ ফেরে শোভনের। পরম ভালোবাসায় স্ত্রীকে কাছে টেনে নেয় সে। দেবীপক্ষের আবাহন ঘটে অবশেষে।

দুর্গাপুজো স্পেশাল গল্প : মাটির মুখোশদুর্গাপুজো স্পেশাল গল্প : মাটির মুখোশ

দুর্গাপুজো স্পেশাল গল্প : মাটির মুখোশদুর্গাপুজো স্পেশাল গল্প : মাটির মুখোশ

English summary
Durga Puja 2019 : A story of mother and son connected by a small Radio in Bengali
চটজলদি খবরের আপডেট পান
Enable
x
Notification Settings X
Time Settings
Done
Clear Notification X
Do you want to clear all the notifications from your inbox?
Settings X