শুধু পুত্রবধূই নন, গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ আনতে পারবেন মা-বোনেরাও
নয়াদিল্লি, ১৭ সেপ্টেম্বর : শুধু বাড়ির স্ত্রী-রাই নন, এবার থেকে বাড়ি বাকী মহিলারাও গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ এনে আইনের দ্বারস্থ হতে পারবেন বলে সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র সরকার। হলফনামায় জানানো হয়েছে, শুধু বিয়ে করা স্ত্রীরাই নন, বাড়ির বাকী মহিলারাও ছেলে বা ভাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনতে পারবেন। [খুনের দায়ে 'মানুষখেকো বাঘ', বন্দি করার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের]
তবে বাড়ির মা বা বোন পুত্রবধূর বিরুদ্ধে অর্থাৎ বিয়ে হয়ে অন্যের বাড়িতে যাওয়া মেয়েদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ আনতে পারবেন না শাশুড়ি অথবা জা। ২০০৫ সালের গার্হস্থ্য হিংসা আইন মোতাবেক এই অভিযোগ বাড়ি অন্য মহিলারাও আনতে পারবেন বলে জানিয়েছে আদালত। [পানশালায় নর্তকীদের ছুঁলেই হতে পারে ছয় মাসের কারাদণ্ড!]
এতদিন শুধুমাত্র বাড়ির বৌমারাই শ্বশুর বাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ আনতেন। শারীরিক-মানসিক অত্যাচার হোক অথবা যৌতুক নিয়ে বিবাদ, সবেতেই গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ আনা যেত শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। ধারণা তৈরি হয়েছিল যে শুধুমাত্র বাড়ির বৌয়েরাই অভিযোগ দায়ের করতে পারেন। আদপে তা একেবারেই নয় বলে কেন্দ্র জানিয়েছে। [সরকারের সমালোচনা করলেই তা রাষ্ট্রদ্রোহিতা নয়, মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের]
হলফনামায় জানানো হয়েছে, পারিবারিক সম্পর্কের পরিধি অনেক বড়। গার্হস্থ্য সম্পর্কে জড়িয়ে রয়েছেন এমন মহিলারাই চাইলে স্বামী বা পরিবারের অন্য পুরুষ সদস্যদের বিরুদ্ধে হিংসার অভিযোগ আনতে পারেন। আইনে তার সংস্থান রয়েছে। ফলে চাইলেই সঙ্গে সঙ্গে অভিযোগ জানানো যেতে পারে। [স্ত্রীর অকালমৃত্যু হলে সম্পত্তিতে অধিকার থাকবে না স্বামীর : সুপ্রিম কোর্ট]
মূলত গার্হস্থ্য হিংসা থেকে মহিলাদের বাঁচানোই যে এই আইনের মূল উদ্দেশ্য তা কেন্দ্রের তরফে সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই আইনের ফলে মহিলারা সমস্ত ধরনের সুরক্ষা পাবেন বলেই দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।
আইনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হল, পুত্রবধূরা চাইলেই যেমন গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ আনতে পারেন শ্বশুর বাড়ির সবার বিরুদ্ধে, তেমনই বাড়ির অন্য মহিলারাও অভিযোগ আনতে পারবেন তবে পুত্রবধূর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা যাবে না।