হাতে ফুচকা নিয়ে মনে গ্লানি ! আজ থেকে দূরে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে হয়ে যান বিন্দাস
ফুচকা খেতে ভালোবাসেন না এমন কোনও বাঙালি খুঁজে পাওয়া দুষ্কর, কিন্তু যখনই ফুচকা খান তখনই কী মনটা খুঁতখুঁত করে।
ভারতীয়দের অন্যতম জনপ্রিয় একটা খাবার ফুচকা। তবে বাঙালিরা যেই ফুচকা শব্দটা শোনা মাত্রই জিভে জল চলে আসে। তবে যখন ফুচকা খান তখনই কী মনে একটা খুঁতখুঁত কাজ করে। মনে পড়ে যায় ছোটবেলায় মা-বাবা কখনই আপনাকে -আমাকে এই জিনিসটি খেতে দিতে না। অনেক নিষিদ্ধ বস্তুর মতই লুকিয়ে -চুরিয়ে এই ফুচকা খেতে হত। আর সেই গ্লানিটা আজও ফুচকা মুখে পুড়তে গেলে কাজ করে। কিন্তু হয়ে যান বিন্দাস।
বহুরূপে সম্মুখে তোমার
ভারতের বিভিন্ন প্রদেশেই পাওয়া যায় ফুচকা। তবে বিভিন্ন জায়গায় এর নাম নানারকম, কোথাও পানিপুরি. কোথাও গোলগাপ্পা। ভেতরের পুরও এক এক জায়গায় এক এক রকম হয়। কোথাও আলু, কোথাও ছোলা। আবার ফুচকার জল টক, কোথাও মিষ্টি।
টক জলের মহিমা
ফের ফ্ল্যাশব্যাক। যদি বা ফুচকা খাওয়ার পারমিশন বাবা-মা দিতেন, টক জল তো নৈব নৈব চ। খেলেই নাকি ঠান্ডা লাগবেই। একদম ভাববেন না। টক জলে তেঁতুলের প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে। যা আসলে ঘুরিয়ে ঠান্ডা লাগা প্রতিরোধে সাহায্য করে। তেঁতুল দেহে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং হৃদরোগীদের জন্য খুব উপকারী। রক্তে কোলস্টেরল কমানোর কাজে তেঁতুলের আধুনিক ব্যবহার হচ্ছে। ভেষজবিদদের মতে, নিয়মিত তেঁতুল খেলে শরীরে সহজে মেদ জমতে পারে না। এতে টারটারিক এসিড থাকায় খাবার হজমে সহায়তা করে।
ডায়েটেও চলতে পারে ফুচকা
আপনি ডায়েটে আছেন , ফুচকা খেলেই ফুলে যাবেন এমনটা ভাববেন না। বরং বিষয়টাকে একটু উল্টো করে নিন। ফুচকার ভিতরে টক জল তো ফ্যাট কাটারের কাজ করেই, তাই ওটা থাকতেই পারে, তবে পুরটা আলুর না হয়ে ছোলা,মটর এমন কিছুর হলে কোনও সমস্যা থাকবে না। কারণ আলুতে শর্করা থাকে আর ছোলা -মটর দুটিই প্রোটিন।
মন খারাপের দারুণ দাওয়াই
মন খারাপ কিছুতেই চাঙ্গা হওয়া যাচ্ছে না। তাহলে হাতে তুলে নিন ফুচকার গোল বাটি। মুখে পুড়ে দিন একেবারে, ব্যাস আর কী স্বাদকোরককে এত সহজে আর কোনও কিছুই চাঙ্গা করে না। ফলে দেখবেন সহজেই ডিপ্রেশন ওভার।
চিকিৎসকের টিপস
সবকিছুই ঠিক আছে, তবে ফুচকাটা যেন পরিষ্কার জায়গায় তৈরি হয়ে, পরিষ্কার ভাবে পরিবেশন করা হয়। কারণ সেটা যদি না হয় তাহলে যেগুলো গুণ বলে বলা হল, সবকটিই বিষ হিসেবে কাজ করবে।