সারা বিশ্বে নিষিদ্ধ কীটনাশকের রমরমা ব্যবহার ভারতে, শাক-সবজির মাধ্যমে প্রতিদিন আমাদের পেটে যাচ্ছে
সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নিষিদ্ধ কীটনাশক রমরমিয়ে চলছে ভারতের বাজারে।
সম্প্রতি মহারাষ্ট্রে কীটনাশকের ব্যবহারের কারণে বেশ কয়েকজন কৃষক প্রাণ হারিয়েছেন। যার ফলে চাষবাসে কীটনাশকের ব্যবহার নিয়ে ফের একবার প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। অভিযোগ উঠছে, সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নিষিদ্ধ কীটনাশক রমরমিয়ে চলছে ভারতের বাজারে।
মহারাষ্ট্রে কীটনাশকের জেরে মৃত্যু
মহারাষ্ট্রের ঘটনার পরে দিল্লির এক কীটনাশক পরীক্ষাকেন্দ্র সাতটি মহা ক্ষতিকর কীটনাশকের উল্লেখ করেছে যা ভারতে চাষবাসের সময়ে রমরমিয়ে ব্যবহার করা হচ্ছে। ২০১৫ সালে এই পরিস্থিতি একবার সরেজমিনে পরীক্ষা করেছিল সরকার। ক্ষতিকর কীটনাশকের ব্যবহার জেনেও তা ব্যান করা হয়নি। সেই নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠছে।
এক-তৃতীয়াংশ ক্ষতিকর কীটনাশক
বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষতিকর ১৮টি ক্লাস-ওয়ান কীটনাশকের মধ্যে ভারতে ব্যবহৃত এই সাতটি কীটনাশকের নাম রয়েছে। ২০১৫-১৬ সালে চাষবাসে ব্যবহৃত কীটনাশকের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশই ছিল এই কীটনাশক।
কীটনাশকের পরীক্ষা
কেন্দ্র কর্তৃক তৈরি কমিটি অবশেষে ৬৬টি কীটনাশকের মূল্যায়ন করেছে। তার মধ্যে ১৩টিকে ২০১৮ সাল থেকে নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। ২০২০ সালে আরও ছয়টি কীটনাশকের ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হবে।
কড়া নিয়মের প্রয়োজন
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কীটনাশকের কারণে অসুস্থ হওয়া ও মৃত্যু আটকে পারে সরকার। এজন্য কড়া নিয়ম করতে হবে। মহারাষ্ট্রের মতো কীটনাশকের জেরে মৃত্যু দেশের অন্য রাজ্যেও সমানে বেড়ে চলেছে। ফলে কীটনাশকের ব্যবহার নিয়ে কড়া নিয়মবিধি হওয়া প্রয়োজন।
হু-এর নির্দেশ মানার সুপারিশ
ক্ষতিকারক কীটনাশকের মধ্যে মোনোক্রোটোফস, অক্সিডেমেটোনমেথি, অ্যাসিফেট, প্রফেনোফোসের নাম ভীষণভাবে সামনে এসেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই কীটনাশকগুলিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। তবে ভারতে তার ব্যবহার হচ্ছে। সেই অবস্থা থেকেই সরে আসার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা।