ব্লাড ক্যান্সারের ওষুধে সারবে করোনা ভাইরাস, নতুন দিশা দেখাচ্ছে আমেরিকার ক্যান্সার ইনস্টিটিউট
ক্যান্সারের ওষুধের মাধ্যমেও করোনা থেকে মুক্তি মিলতে পারে, এমনটি আশা করছে বিজ্ঞানীরা। ব্লাড ক্যান্সারের ওষুধ অ্যাকালব্রুটিনিব যুক্তরাষ্ট্রের হাসপাতালে ভর্তি করোনা আক্রান্ত রোগীদের ওপর প্রয়োগ করে আশার আলো দেখিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
ক্যান্সারের ওষুধ প্রয়োগ কোভিড রোগীকে
গবেষকদের মতে, আমেরিকার ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউট থেকে প্রাপ্তরাও এই ক্যান্সারের ওষুধ অ্যাকালব্রুটিনিব কোভিড-১৯ রোগীদের ব্রুটন টাইরোসিন কিনেস (বিটিকে) প্রোটিনকে অবরুদ্ধ করে দিয়েছিল এবং রোগীকে কিছুটা হলেও সুস্থ করে তুলেছিল। এই গবেষণাটি মুক্তি পেয়েছে সায়েন্স জার্নাল ইমিউনোলজিতে। যদিও এই গবেষণাটিতে এখনও শিলমোহর দেয়নি বিজ্ঞানীরা। এখনও এ নিয়ে বহু পরীক্ষা বাকি রয়েছে।
কিভাবে কাজ করে এই ওষুধ
বিজ্ঞানীদের মতে, এই বিটিকে প্রোটিন দেহে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, ম্যাক্রোফেজ সহ যা প্রতিরোধক কোষ যা সাইটোকাইন হিসাবে পরিচিত প্রোটিন উৎপাদন করে প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে। গবেষকরা জানিয়েছিলেন যে এই প্রোটিনগুলি রাসায়নিক বার্তা হিসাবে কাজ করে যা সরাসরি উদ্দীপিত করে প্রতিরোধ ক্ষমতাকে প্রতিক্রিয়া করতে বাধ্য করে। গুরুতর কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত কিছু রোগীদের মধ্যে, সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যে প্রচুর পরিমাণে সাইটোকাইনস দেহ থেকে একসঙ্গে নিঃসৃত হয়, যার ফলে প্রতিরোধ ব্যবস্থাটি ফুসফুসের মতো অঙ্গগুলির ক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্থ করে, এটি ‘সাইটোকাইন ঝড়' নামে পরিচিত একটি প্রক্রিয়া।
এই ওষুধের প্রয়োগে ৮ জন রোগী সুস্থ হয়েছেন
এরই মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ১৯ জন রোগীর উপর প্রাথমিক গবেষণা চালানো হয়েছে। এর ইতিবাচক ফলাফল বিজ্ঞানীদের ওষুধটি ব্যবহারের নতুন দ্বার খুলে দিয়েছে। হাসপাতালের ১১ জন করোনা রোগী যারা অক্সিজেন সাপোর্টে ছিলেন তাদের ৮ জন এই ওষুধ গ্রহণের ১০ থেকে ১৪ দিনের মাথায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে এসেছেন সেই সঙ্গে স্বাভাবিক ভাবে শ্বাস প্রশ্বাস নেওয়া শুরু করেন। রোগীদের বেশিরভাগের অবস্থা জটিল ছিল। এক থেকে তিনদিনের মধ্যেই বেশিরভাগ রোগী অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন।
লিউকোমিয়া রোগের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়
মূলত একজন প্রাপ্ত বয়স্ক লিউকোমিয়া রোগীর চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় অ্যাকালব্রুটিনিব। তবে এই ওষুধের প্রয়োগের ফলে সুস্থ হতে শুরু করেছে করোনা আক্রান্ত রোগী। সারা বিশ্বে প্রাণঘাতী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬৮ লাখ ৫০ হাজার ৪৭৩ জন, মারা গেছে ৩ লাখ ৯৮ হাজার ২৪৪ জন এবং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩৩ লাখ ৫১ হাজার ২৪৯ জন।