করোনাকালে কর্মসূত্রের পাশাপাশি বড় মাত্রায় কমছে সামাজিক-পারিবারিক ভ্রমণও! নয়া রেকর্ড ভারতের
করোনা প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে শুরুতেই লকডাউনের রাস্তায় হেঁটেছিল বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশ। তারপরেও আজ প্রায় ৬ কোটি করোনা সংক্রমণের পার করে নয়া রেকর্ড তৈরি করে ফেলেছে গোটা পৃথিবী। এদিক বিশ্বের মধ্যে সবথেকে দীর্ঘায়িত লকডাউন দেখা যায় ভারতেই। সদ্য প্রকাশি একটি সমীক্ষার রিপোর্ট বলছে তাঁর দীর্ঘায়িত ও বলা ভালো বড়সড় প্রভাব পড়ছে ভারতীয় জনজীবনেও।

ওয়ার্ক ফর্ম হোমের কারণেই কী এই বড়সড় ছেদ ?
ইওয়াই ইণ্ডিয়ার সমীক্ষা বলছে করোনাকে উপেক্ষা করে গোটা দেশ ধীরে ধীরে পুরনো ছন্দে ফেরার চেষ্টা করলেও লকডাউনের কারণেউ ভারতীয়রা আরও বেশ ঘরমুখী হয়ে গিয়েছেন। যার জেরে কর্মসূত্রে ভ্রমণের পাশাপাশি সামাজিক ও পরিবারের ভ্রমণের ক্ষেত্রেও বড়মাত্রায় ছেদ পড়েছে ভারতীয় জনজীবনে। এর জন্য অবশ্য গত কয়েক মাসে ভারতীয় কর্মচারীদের ওয়ার্ক ফর্ম হোম প্যাটার্নে অভ্যস্ত হয়ে পড়াকেই দুষছেন বিশেষজ্ঞরা।

কোন ক্ষেত্রে কতটা কমল যাতায়াতের পরিমাণ ?
এই ক্ষেত্রে গোটা বিশ্বের মধ্যেই নয়া রেকর্ড গড়েছে ভারত। ইওয়াই ইণ্ডিয়ার সমীক্ষা বলছে আগের থেকে বর্তমানে কর্মসূত্রে প্রায় ৬৯ শতাংশ কম যাতায়াত করছেন ভারতীয়রা। পাশাপাশি এর ফলে বড়বড় ছেদ পড়েছে সামজিক ভ্রমণের ক্ষেত্রেও। সমীক্ষকার বলছেন করোনাকালে প্রায় ৫৯ শতাংশ কমেছে ভারতীয়দের সামজিক ভ্রমণের পরিমাণ। পাশাপাশি পারিবারিক ভ্রমণ কমেছে প্রায় ৫৮ শতাংশ।

ছাপ পড়ছে অর্থনৈতিক শ্রীবৃদ্ধিতেও
এদিকে ভারতের অবস্থার কথা বলতে গিয়ে সুইডেনের বর্তমান চিত্রেরও তুল্যমূল্য বিশ্লেষণ করেন সমনীক্ষকেরা। প্রায় ১৩৫ কোটির মানুষের বসবাস ভারতে। সেখানে পারাপাত দেশীয় অর্থনীতির শ্রীবৃদ্ধিতেও বড়সড় ছাপ ফেলবে বলেই তাদের মত। অন্যদিকে সুইডেনে মাত্র ১ কোটি মানুষের বাস। সেখানেও কর্মসূত্রে মানুষের যাতায়াতের পরিমাণ প্রায় ৭০ শতাংশ কমেছে শুধুমাত্র করোনাকালেই। কিন্তু আকার ও আয়তেনর বিচারের ভারতের প্রভাব যে সূরপ্রসারী হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

বড়সড় পারাপতন সাপ্তাহিক যাতায়াতেও
অন্যদিকে সদ্য প্রকাশিত সমীক্ষার রিপোর্ট আরও জানাচ্ছে করোনাকালে সাধারণ মানুষের সাপ্তাহিক যাতায়তের সময়সীমাও প্রায় অর্ধেক হয়ে গিয়েছে। আগে যেখানে এই খাতে একজন সাধারণ মানুষ ৬ ঘন্টার বেশি সময় ব্যয় করত বর্তমানে তা ৩.৭ ঘন্টায় নেমে এসেছে। সহজ কথায় প্রায় ৪০ শতাংশ পর্যন্ত পারাপতন লক্ষ্য করা গেছে শুধুমাত্র সাপ্তাহিক যাতায়াতের ক্ষেত্রেই।
দুর্নীতি ও ব্যর্থতা ঢাকতেই কুরুচিকর প্রচার চালানো হচ্ছে, কল্যাণকে পাল্টা আক্রমণ রাজ্যপালের