Click it and Unblock the Notifications
Just In
-
-
-
-
Don't Miss
-
রোদে বের হলেই মাথা যন্ত্রণা কাবু করে? মাইগ্রেন নয় তো! -
আইপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান নিয়ে উচ্ছ্বসিত তামান্না ও রশ্মিকা, পছন্দের ২ ক্রিকেটারেও পুরো মিল -
গ্রাহকদের জন্য সম্পূর্ণ নতুন ফিচার নিয়ে হাজির এয়ারটেল, কীভাবে কাজ করবে?
গ্রামীণ ভারত আরও হাতের মুঠোয়? কী কী পদক্ষেপ করল মোদী সরকার!
২০১৪ সালে মোদী সরকার ক্ষমতা দখলের পর তাই অনেক বাধা পেরতে হয়েছে। এখন দেখা যাক, গ্রামীণ সড়ক তৈরিতে এই সরকার কী কী করেছে।
গ্রামীণ অর্থনীতির জন্য রাস্তা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সুন্দরভাবে নির্মিত রাস্তা শুধু যে সংযোগ বাড়ায় তা নয়, গ্রামবাসীদের জীবন-জীবিকাকেও উন্নত করে তোলে, নতুন দিশা দেখায়। ২০০০ সালে অটল বিহারী বাজপেয়ীর প্রধানমন্ত্রিত্বে গ্রাম সড়ক যোজনা শুরু হয়। দেশের সমস্ত গ্রামীণ এলাকায় সড়ক সংযোগকে উন্নত করতেই এই প্রয়াস চালানো হয়।
আজ থেকে ১৭ বছরে এই যোজনা গ্রামবাসীর স্বপ্নকে আমূল পাল্টে দিয়ে উন্নত সড়কের হাত ধরে। কাঁচা সড়ক থেকে পাকা রাস্তা পেয়েছে গ্রামবাসী। আর এই প্রকল্পকে পরের ইউপিএ সরকার পরের দশ বছরে দারুণ সামলেছে। ইউপিএ-১ সরকার যেমন গতিশীলতার সঙ্গে কাজ করেছিল, ইউপিএ-২ সরকার তার কানাকড়িও করতে পারেনি। শেষদিকে সরকারি কাজকর্ম যেন থমকে গিয়েছিল, অচলাবস্থা তৈরি হয়েছিল। ২০১৪ সালে মোদী সরকার ক্ষমতা দখলের পর তাই অনেক বাধা পেরতে হয়েছে। এখন দেখা যাক, কী কী করতে হয়েছে সরকারকে।
গ্রামীণ সড়ক কেন গুরুত্বপূর্ণ
ভারতের প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ গ্রামে বাস করে। গ্রামবাসীদের আয় বাড়ানো ও প্রাথমিক স্বাস্থ্য ও শিক্ষা দিতে সরকারকে কড়া চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হয়। ফলে গ্রামের রাস্তা সরাসরি এইসমস্ত বিষয়ে সাহায্য না করলেও পরোক্ষভাবে অনেক সাহায্য করে থাকে। যেমন রাস্তা পাকা থাকলে যাতায়াতের সময় বাঁচে। ঠিক যেমনটা শহরের মানুষ ভোগ করেন। গ্রামেও সেই ব্যবস্থাই প্রয়োজন।
এতদিনে কতটা উন্নতি
প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা মেনে ইউপিএ-১ সরকার দারুণ কাজ করেছিল। সেই সময়ে বছরে যে হারে রাস্তা হয়েছে তা প্রশংসনীয়। ইউপিএ-২ সরকারের প্রথম বছরেও সেই হার বজায় ছিল। তবে পরের দিকে তা মুখ থুবড়ে পড়ে। প্রথমদিকে যেখানে প্রতিদিন গড়ে ১৪৩.৯৬ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি হতো, সেখানে পরে তা ৭৩.৪৯ কিমিতে নেমে আসে।
মোদী সরকার এগিয়ে রয়েছে
নরেন্দ্র মোদী সরকার ইউপিএ-২ এর থেকে অনেকটা এগিয়ে রয়েছে। দিনে গড়ে ৩৬ কিলোমিটার বেশি রাস্তা তৈরি করে ২০১৬-১৭ সালে তা হয়েছে গড়ে প্রতিদিন ১০৯.৭ কিলোমিটার। তবে ১২৯.৭ কিলোমিটার করে প্রতিদিন রাস্তাও তৈরি হয়েছে।
আগামী পথ কেমন
বর্তমান এনডিএ সরকার কতটা সাফল্যের সঙ্গে গ্রামীণ সড়ক যোজনাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে তা নিয়ে খানিক প্রশ্নচিহ্ন রয়ে গিয়েছে। আগামিদিনে সরকারকে দিন প্রতি রাস্তায় তৈরি আরও বাড়াতে হবে। এর জন্য যে সমস্ত সমস্যা রয়েছে তা সরিয়ে ফেলতে হবে। নতুন নতুন ভাবনার সঞ্চার করতে হবে। এছাড়া টেন্ডার ব্যবস্থায়ও আধুনিকীকরণ ও স্বচ্ছ্বতা আনতে হবে। তাহলে গ্রামীণ সড়ক তৈরিতে অনেকটা এগোবে নরেন্দ্র মোদী সরকার।
