আর কয়েক বছরের মধ্যেই পৃথিবী থেকে উবে যাবে চকোলেট! কারণ জানালেন বিজ্ঞানীরা
চকোলেট পৃথিবী থেকে উবে যেতে পারে মাত্র কয়েক দশকের মধ্যেই। এমনই খারাপ আশঙ্কার করছেন বিজ্ঞানীরা।
চকোলেট ভালোবাসেন না এমন মানুষ পৃথিবীতে খুব কম রয়েছেন। সকলেরই কমবেশি দুর্বলতা রয়েছে চকোলেটের প্রতি। এহেন লোভনীয় চকোলেট পৃথিবী থেকে উবে যেতে পারে মাত্র কয়েক দশকের মধ্যেই। এমনই খারাপ আশঙ্কার করছেন বিজ্ঞানীরা। বেশ কয়েকবছর ধরে গবেষণার পর বিজ্ঞানীরা এই তথ্য তুলে ধরেছেন। ফলে এই দাবি কোনওভাবেই অমূলক নয়।
আর মাত্র তিন দশক
বলা হচ্ছে, আর মাত্র ত্রিশ বছর। ২০৫০ সালের পর পৃথিবীতে চকোলেটের অস্বিত্ব থাকবে না। আর তার প্রধান কারণ পরিবেশের পরিবর্তন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চকোলেটের মূল উৎস যে কোকো গাছ, তার বৃদ্ধির জন্য অনেক বৃষ্টিপাত প্রয়োজন। পৃথিবীর তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় এই গাছের বৃদ্ধি থমকে গিয়েছে।
[আরও পড়ুন:ভারতে মাংসাশী ব্যক্তিদের এবার চোকাতে হতে পারে আলাদা 'ট্যাক্স']
দায়ী উষ্ণ আবহাওয়া
মার্কিন ন্যাশনাল ওশিয়ানিক অ্যান্ড অ্যাটমসফেরিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনকে উদ্ধৃত করে ইংল্যান্ডের মেট্রো সংবাদসংস্থা জানিয়েছে, ৩০ বছরের মধ্যে পৃথিবীর তাপমাত্রা ২.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর বাড়লেই চকোলেট শিল্প মুখ থুবড়ে পড়বে।
আশঙ্কা সত্যি হতে পারে
যে হারে তাপমাত্রা বাড়ছে তাতে বৃষ্টিপাত আগামিদিনে যতই বাড়ুক চকোলেট শিল্পকে বাঁচাতে পারবে না। কারণ গরম আবহাওয়া তাতে বাধা তৈরি করবে।
ঘানায় প্রভাব সবচেয়ে বেশি
আফ্রিকার দেশ আইভরি কোস্ট ও ঘানা সারা পৃথিবীর মোট চকোলেটের ৫০ শতাংশ তৈরি করে। ঘানার চকোলেট পৃথিবীর সেরা বলে খ্যাতি রয়েছে। সেখানে এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়বে।
কঠিন চ্যালেঞ্জ
যে হারে চকোলেট শিল্পে প্রভাব পড়ছে তাতে আগামি কয়েকবছরের মধ্যেই বছরে ১ লক্ষ টন করে কম চকোলেট উৎপাদন হবে। এছাড়া চকোলেট উৎপাদনকারী চাষিদের বেশিরভাগই অসংগঠিত ক্ষেত্রে আটকে রয়েছেন। যার ফলে ছোট ছোট জায়গায় নিজের মতো করে কোকো গাছের চাষ করছেন। এই সমস্ত চাষি ও শ্রমিকদের এক ছাতার তলায় এনে চকোলেট শিল্পকে বাঁচানো বেশ কঠিন কাজ সন্দেহ নেই।