এই যৌনকেচ্ছাগুলি একসময়ে ভারতীয় রাজনীতিকে ঝড় তুলে দিয়েছে
দেশের পরিচিত নেতা-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে নানা সময়ে উঠেছে যৌন কেচ্ছার অভিযোগ। কার কার নাম সামনে এসেছে তা জেনে নেওয়া যাক একনজরে।
বলিউডে কাস্টিং কাউচ বা যৌন কেলেঙ্কারি নিয়ে মুখ খুলে বিতর্ক উসকে দিয়েছেন বিখ্যাত কোরিওগ্রাফার সরোজ খান। সেই বিতর্কে ঘি ঢেলে কংগ্রেস নেত্রী রেণুকা চৌধুরী জানিয়েছেন, সংসদ সহ সর্বত্র কাস্টিং কাউচের সমস্যা রয়েছে। তবে সংসদে না হলেও দেশের পরিচিত নেতা-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে নানা সময়ে উঠেছে যৌন কেচ্ছার অভিযোগ। কার কার নাম সামনে এসেছে তা জেনে নেওয়া যাক একনজরে।
হার্দিক প্যাটেল
গুজরাতের পতিদার আন্দোলনের নেতা হার্দিক প্যাটেলকে নিয়ে সেক্স সিডি সামনে আসে গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনের আগে। তা নিয়ে তুমুল হইচই হয়। এক মহিলার সঙ্গে আপত্তিজনক অবস্থায় হোটেলের বিছানায় শুয়ে হার্দিকের মতো কেউ আমোদ করছেন। এমন ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে যায়। এই নিয়ে বিরোধী বিজেপি রাজনীতি করছে বলে হার্দিক অভিযোগ করেন।
বাবু লাল নাগর
রাজস্থান সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী বাবু লাল নাগরের বিরুদ্ধে ৩৫ বছর বয়সী এক মহিলার সঙ্গে যৌনতায় মেতে ওঠার অভিযোগ ওঠে। মহিলা অভিযোগ করেন, সরকারি চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাবু লাল নাগর তাঁকে যৌন হেনস্থা করেছেন।
রাঘবজী লাখমসি সাভালা
২০১৩ সালে বিজেপি নেতা রাঘবজীকে মধ্যপ্রদেশের অর্থমন্ত্রীর পদ থেকে সরতে হয়। বাড়ির পরিচারিকার সঙ্গে যৌন হেনস্থার অভিযোগ ওঠে। বিজেপি থেকে তাকে বরখাস্ত করা হয়। পরে গ্রেফতারও হন তিনি।
অভিষেক মনু সিংভী
কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভীর সেক্স সিডি ২০১২ সালে বহুচর্চিত হয়ে উঠেছিল। এক মহিলার সঙ্গে প্রথমে কথা ও পরে যৌন কর্মে লিপ্ত হন অভিষেক। মহিলা অ্যাডভোকেট ছিলেন। তাকে বিচারক করার প্রতিশ্রুতি দিয়েই নাকি অভিষেক মনু সিংভী যৌনতায় মাতেন। সেই সিডি নকল বলে সিংভী দাবি করেন। তবে কংগ্রেসের পদ থেকে তাঁকে সরতে হয়।
গোপাল কান্দা
হরিয়ানার মন্ত্রী গোপাল কান্দার সঙ্গে বিমানসেবিকা গীতিকা শর্মার সম্পর্ক নিয়ে চর্চা হয়। গোপাল গীতিকাকে যৌন হেনস্থা করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। ২০১২ সালের ৫ অগাস্ট গীতিকা সুইসাইড নোটে গোপালের নাম লিখে যান।
মহীপাল মাদেরনা
২০১১ সালে রাজস্থানের রাজনীতিবিদ মহীপাল মাদেরনা অভিযুক্ত হন বনোয়ারী দেবী যৌনকেচ্ছায়। আপত্তিকর অবস্থায় তাকে দেখা যায় বলে অভিযোগ। বনোয়ারী দেবী ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে খুন হন। এই ঘটনায় মন্ত্রিত্বেপ পদ খোয়ান মহীপাল।
এনডি তিওয়ারী
তেলুগু নিউজ চ্যানেল কংগ্রেস নেতা তথা একসময়ের রাজ্যপাল এনডি তিওয়ারীর যৌন কেচ্ছা তুলে ধরে। দেখা যায় রাজভবনে তিনজন মহিলার সঙ্গে তিওয়ারী শুয়ে রয়েছেন। তার জেরে তিওয়ারীকে পদ খোয়াতে হয়। ২০০৮ সালে জানা যায় রোহিত শেখর তিওয়ারীর আসল সন্তান।
সঞ্জয় জোশী
সেক্স সিডি বিতর্কে বিজেপি নেতা সঞ্জয় জোশীকে জেনারেল সেক্রেটারির পদ খোয়াতে হয়। বিজেপি দলের রজত জয়ন্তী বর্ষের সময় এই সিডি প্রকাশ্যে আসে। সেখানে এক মহিলার সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় সঞ্জয় জোশীকে দেখা যায়।
সুরেশ রাম
দলিত নেতা বাবু জগজীবন রামের ১৯৭৮ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়া নিশ্চিত ছিল। তাহলেই দেশ প্রথম দলিত প্রধানমন্ত্রী পেত। তবে তাঁর ছেলে সুরেশ রাম যৌন কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়েন। সুরেশের নগ্ন ছবি ম্যাগাজিনে বেরিয়ে যায়। সেখানে দেখা যায় সুষমা নামে একটি মেয়ের সঙ্গে রয়েছেন সুরেশ। আর সেই ম্যাগাজিনের সম্পাদক ছিলেন ইন্দিরা গান্ধীর পুত্রবধূ মানেকা গান্ধী।